ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫

সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হরতাল সফল করায় নগরবাসীকে অভিনন্দন কোনো অপশক্তিই ইসলামপ্রিয় দেশপ্রেমিক ও মুক্তিকামী জনতার সম্মিলিত সংগ্রামকে দমাতে পারবে না - রফিকুল ইসলাম খান


সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সফল মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যার প্রতিবাদে আহুত হরতালে রাজধানীতে পুলিশের বাধা, হামলা, লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ, গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঢাকা মহানগরীতে হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করায় সকল স্তরের নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
সোমবার দেয়া বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ যে একজন জননেতা ছিলেন তা তার জানাযায় লোক সমাগম থেকেই পরিষ্কার। সরকারের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা, ভয়-ভীতি, হামলা-গ্রেফতার উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাজার হাজার শোকার্ত জনতা নামাযে জানাযায় শরীক হয়েছে। জানাযা থেকে গ্রেফতার ও কারাদণ্ডও শোকবিহ্বল জনতার স্রোতকে রুখতে পারেনি। সারা দেশে গায়েবান জানাযাগুলোও জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। দেশের বাইরেও গায়েবানা জানাযায় শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছে। এ থেকে প্রমাণ হয় জীবিত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের চেয়ে শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ অনেক বেশি শক্তিশালী। কোনো অপশক্তিই এই ইসলামপ্রিয়, দেশপ্রেমিক ও মুক্তিকামী জনতার সম্মিলিত সংগ্রামকে দমাতে পারবে না বরং তারা দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে শহীদানের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করবে।
তিনি বলেন, শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের হত্যার প্রতিবাদে রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছে। জনগণ হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে খুনী সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। কিন্তু সরকার শান্তিপ্রিয় জনতার উপর পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে রাজধানীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। পুলিশ হরতাল সমর্থকদের বাধা, হামলা, লাটিচার্জ ও নির্বিচারে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার থেকে সাধারণ পথচারীরাও রেহাই পাননি। ক্ষেত্র বিশেষে গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে মেসে ও বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করেছে। রাজধানীর ফকিরাপুল দিয়ে মোটর সাইকেল যোগে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কোর্টে যাওয়ার পথে পল্টন মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আইনজীবী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন ও একইভাবে গ্রেফতার করেছে নূর মোহাম্মদ ম-লকে। প্রথমে তাদেরকে পল্টন মডেল থানায় নেয়া হলেও পরে উভয়ইকেই ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তরায় হরতালের সমর্থনে মিছিলের পর অভিযান চালিয়ে মনির, আশরাফ ও ওমর ফারুক গ্রেফতার করে তাদেরকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। 
মাওলানা খান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে আরও ৮ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও পল্টন থেকে ১ জন এবং গুলশান থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যার হরতালে শুধু রাজধানীতেই ২৫ জনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু শোকার্ত ও শান্তিপ্রিয় জনতা সরকারের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সকাল-সন্ধ্যার শান্তিপূর্ণ হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করেছে। তিনি জনতার শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচিতে বাধাদান, হামলা, লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ, এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীনসহ গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং সকল বাধা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সকাল-সন্ধ্যার হরতাল কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করায় সকল স্তরের নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন