ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫

মুজাহিদের মৃত্যুদন্ড বহালে শিবিরের নিন্দা


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সফল মন্ত্রী, বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা, গণমানুষের প্রিয় মুখ, জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে করা রিভিও আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। 
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, কোন ন্যায় বিচার নয় বরং এই রায়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন হয়েছে। সরকার একদলীয় শাসন ব্যাবস্থা কায়েম করতে একের পর এক জুডিশিয়াল কিলিং এর আশ্রয় নিয়েছে। আজকের এই ফরমায়েশি রায় তার ধারাবাহিকতা মাত্র। সামান্য বিবেক সম্পন্ন মানুষ এ রায় মেনে নিতে পারেনা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সাজানো মামলায় তাকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। কোন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীও নেই। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত মুজাহিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলাধীন কোন থানায় বা বাংলাদেশের অন্য কোন থানায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সংঘটিত কোন অপরাধের জন্য কোন মামলা হয়েছে, এমন কোন তথ্য তিনি তার তদন্তে পাননি। মামলার তদন্তকারী আরো স্বীকার করেছেন যে, মুজাহিদ আল বদর, শান্তি কমিটি, রাজাকার বা আল শামস বা এই ধরনের কোন সহযোগী বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, এমন কোন তথ্য তিনি তার তদন্তকালে পাননি। এমনকি গতকাল রাষ্ট্রের এটর্নী জেনারেল গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে স্বীকার করেছেন যে, মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। মামলার পদে পদে রয়েছে অসঙ্গতি ও বিভ্রান্তি। তাকে আল বদর কমান্ডার হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও কে কখন কিভাবে তাকে নিয়োগ দিয়েছেন তার কোন প্রমাণ দেয়া হয়নি। কাকে হত্যা করার জন্য মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে তাও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই। স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে আল বদর কমান্ডারদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার পর্যন্ত ঘোষনা করা হয়েছিল। কিন্তু তখন তার
নাম কেউ কখনো উল্লেখ করেনি। বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড নিয়ে দালাল আইনে ৪২টি মামলা হয়েছিল। কিন্তু কোনটিতেই তাকে আসামী করা হয়নি। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি দেশে থেকেই পড়াশুনা ও চাকুরী করেছেন। নিয়োজিত ছিলেন সাংবাদিকতার পেশায়ও। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন অপরাধে বাংলাদেশের কোন জেলায় একটি মামলা এমনকি একটি জিডিও হয়নি। তবুও সরকারের মিথ্যা মামলায় তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। যা সম্পুর্ণ ন্যায়বিচার পরিপন্থী। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সাজানো মামলা ও এই ন্যায় ভ্রষ্ট রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা দৃঢ় ভাবে বলতে চাই, কোন মানবতা বিরোধী অপরাধ নয় বরং শুধুমাত্র ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতা হওয়ার অপরাধেই এই ফরমায়েশি রায় দেয়া হয়েছে। সরকার তার পেশি শক্তি বলে যে মিথ্যাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে, সময়ের ব্যবধানে তা তাদের জন্যই বুমেরাং হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ে একজন নিরাপরাধ জনপ্রিয় নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হলে জনগণ কিছুতেই তা মেনে নেবেনা। বিজ্ঞপ্তি 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন