ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুল আলমকে গ্রেফতারের চার দিন পর আজ আদালতে হাজির ও তার উপর অমানষিক নির্যাতনের নিন্দা এবং তার মুক্তি দাবী করে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, গত ৭ই নভেম্বর রাজধানীর বাংলামোটর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে যথা সময়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে তার সন্ধান দাবী করে বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকেও একাধিক বিবৃতির মাধ্যমে তার সন্ধান ও মুক্তি দাবী করা হয়। অবশেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তার চোখের নিচসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের বিভিন্ন চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। রমনা থানা পুলিশ তার নামে মিথ্যা বিষ্ফোরক আইনে মামলা ৪(খ)/৬ (১১-১১-১৫) দায়ের করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, এ্যাড: রোকন রেজা, এ্যাড: আবুবক্কর ছিদ্দিক, এ্যড: শাহজাহান, এ্যড: ফোরকানুজ্জামান, এ্যাড: হেলাল উদ্দিনসহ অর্ধশত আইনজীবি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, তাকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তারের পর আইন অনুযায়ী আদালতে হাজির না করা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা প্রদান সর্বক্ষেত্রেই প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন হয়েছে। একজন মেধাবী ছাত্রনেতার উপর এমন বেআইনি আচরণেরর মধ্যদিয়ে জুলুম নির্যাতনের আরেকটি নিকৃষ্ট নজির স্থাপন হলো। আমরা আশঙ্কা করছি, রিমান্ডের নামে তার উপর আবারো বর্বর নির্যাতন চালানো হতে পারে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারের এমন আচরণ সংবিধান ও নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী। এই ধারাবাহিক বেআইনি আচরণে তাদের উপর থেকে মানুষের আস্থার বদলে অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যা জাতির জন্য দারুন হতাশা ও লজ্জার। আমরা অবিলম্বে আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি প্রদান ও ভবিষ্যতে এমন বেআইনি আচরণ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন