বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, ছাত্রলীগ অব্যাহত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজী, নৈরাজ্য ও নৃশংসতার মাধ্যমে ক্রমেই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো কে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত করেছে।
তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের মাসিক সেক্রেটারীয়েট বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমানের পরিচালনায় এসময় সেক্রেটারীয়েট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, সম্প্রতি একই দিনে চবি ও চুয়েটে তার কিছু নমুনা দেখেছে দেশবাসী। চবিতে ভর্তিপরিক্ষা চলা কালীন সময়ে তারা প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজী করে, যা হাজার হাজার ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকদের আতঙ্কিত করে। তাদের এ হামলা শুধু নিজেরাই নয় বরং ওসি সহ কয়েকজন পুলিশ গুরুতর আহত হয়েছে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রামদাতে শান দেয়ার ভয়ঙ্কর ছবি দেখে দেশবাসী হতবাক হয়েছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এর আগেও দেশবাসী প্রত্যাক্ষ করেছে। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ গুলোতে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করতে রামদাতে শান দেয়ার বর্বরতম ঘটনা এবারই প্রথম। এর আগেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনে দুপুরে ছাত্রলীগের প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র চালনা প্রশিক্ষন, প্রতিটি সংঘর্ষে অস্ত্রের আধিক্য, তাদের নিয়ন্ত্রিত হল থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার দেখেছে দেশবাসী। তাদের এই অস্ত্রবাজীতে নিজ ও প্রতিপক্ষ সংগঠনের নেতাকর্মীরাই শুধু খুন হয়নি বরং রংপুরে তাদের গুলিতে নিহত হয় নিষ্পাপ শিশু। কয়েকদিন আগে ফেনীতে ছাত্রলীগের হামলায় এক সংখালঘু মহিলার গর্ভপাত হয়েছে, গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে মায়ের পেটের শিশু পর্যন্ত। খুন ও নৃশসংতা ছাত্রলীগের নিত্য দিনের কাজে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রশাসনের মদদে ছাত্রলীগ তাদের জঙ্গিপনার জন্য ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গুলোকে। যা বার বার তাদের আগ্নেআস্ত্রের মহড়া এবং অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে প্রমাণ হয়। তাদের সন্ত্রাসের কারণে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হাজারো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ আজ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। আমরা সরকারকে বলব, অন্যদের দিকে অঙ্গুগুলি নির্দেশ না করে নিজেদের লালিত সন্ত্রাসীদের দিকে তাকান। অস্ত্রবাজী, হত্যা, নৃশসংসতা যদি জঙ্গিপনা হয় তাহলে ছাত্রলীগের চেয়ে বড় জঙ্গি সংগঠন দেশে আর নেই। আমরা অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগের জিম্মিদশা থেকে ক্যাম্পাস গুলোকে উদ্ধার করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকার, গণমাধ্যম ও সচেতন দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন