বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দেখামাত্র পুলিশের গুলি উপেক্ষা করে রাজধানীসহ সারাদেশে যেভাবে জনগণ রাজপথে নেমেছে দখলদার সরকার তাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার এক বিবৃতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পতনের খাদের কিনারায় দাড়িয়ে সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় এখন বিচার বিভাগের কাঁধে ভর করে অবরোধ কর্মসূচি ঠেকাতে চাচ্ছে। আন্দোলন ঠেকানোর নামে গণহত্যা, গুপ্তহত্যা, গণগ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, গণনিপীড়ন করে শাসকগোষ্ঠী তাদের অবৈধ ক্ষমতার সকল সময় পাড় করে দিয়েছেন। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ায় সরকারের হাতের সকল র্কাড খেলা শেষ হয়ে গেছে। এখন আর পতনবেলায় কোন ছলচাতুরীই কাজে আসবেনা।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে বিরোধীদল র্নিমূলে যতই সময় ক্ষেপনের ফন্দি করবে প্রত্যেকটি চাতুরীর জন্যই তাদের কঠিন মূল্য দিতে হবে। দ্রুততম সময়ে দখলদার ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন নিশ্চিত করতে পাড়ায় মহল্লায় ২০দলীয় জোটের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গঠনের আহবান জানান।
আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর অতি-উৎসাহী কিছু কর্মকর্তার নির্লজ্জ রাজনৈতিক উসকানীমূলক বক্তব্যের কারণে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড দিন দিন বাড়ছে। হরতাল-অবরোধের মিছিলে নির্বিচারে গুলি, লাঠিচার্জের পাশাপাশি কোন প্রকার মামলা ছাড়াই বাসা-বাড়ি, কর্মস্থল থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে চালানো হচ্ছে নির্মম নির্যাতন।
আজ সোমবার পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে মিছিল থেকে দুই ছাত্রশিবির কর্মীকে আটক করে পায়ে গুলি করে পুলিশ ।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিরোধী দল দমনের এই ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত কোন গণতান্ত্রিক ও সভ্য সমাজে মোটেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, গুম-খুন-হুলিয়া দিয়ে শাসকগোষ্ঠী জনগণকে আতঙ্কে রাখতে চেয়েছিল যাতে তারা সরকারের পতন দাবী না করে; কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে একদলীয় শাসন টিকিয়ে রাখতে তারা জনগণের বিরুদ্ধে যে অসম যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল সেই ভয় ভীতি উপেক্ষা করে দেশবাসী আজ রাস্তায় নেমেছে। তাই সরকার এখন আতঙ্কে ভুগছে।
জনাতঙ্ক আড়াল করতেই সরকারের পুতুলমন্ত্রীদের কয়েকজন গণমাধ্যমে বায়বীয় আস্ফালন করছেন । গণতন্ত্রের দুষশন এ সকল ব্যক্তিবর্গ জনরোষের শিকার হওয়ার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে চাইলেও জনগণ তাদের পালাতে দেবেনা। বিবৃতিতে জামায়াত নেতা বলেন, ২০দলীয় জোটের র্শীষ নেতৃত্বকে গ্রেফতার করতে শাসকচক্র একের পর এক চাতুরী করছে।
অব্যাহত গণহত্যা, গুপ্তহত্যা ও গণগ্রেফতারের কারণে আন্দোলনের গতি প্রকৃতি এখন তৃণমূল পর্যাযের নেতা-কর্মীদের প্রাণসত্তা থেকে উৎসারিত হচ্ছে।
তাই জনতার গভীর চৈতণ্য থেকে আন্দোলনের জনজোয়ার তৈরী হয়েছে দখলদার সরকার তা রুখতে পারবেনা।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে জালেম সরকার আন্দোলনকারী জনতার উপর শেষ আঘাতের যে ফন্দি করছে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে অঞ্চলভেদে স্থানীয় কৌশল নির্ধারণ করে সর্বাত্বক সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। উর্পযুপরি বেআইনী আদেশ দেয়ার কারণে জনপ্রশাসনের সবক্ষেত্রে শাসকদলের প্রতি যে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে শিগগিরই তা জনতার আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে র্দুবার মিলিত সংগ্রামে দখলদার ফ্যাসীবাদের পতন ঘটাবে।
অবৈধ সরকার পতনের দাবীতে ২০ দলের আহ্বানে চলমান অবরোধ ও হরতালসহ গণগন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে প্রতিটি কর্মসূচীতে সর্বাত্মক অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা মহানগরবাসীকে অভিনন্দন জানান মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
সেই সঙ্গে গনতন্ত্র ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসাবে লাগাতার অবরোধ ও বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত হরতালসহ সকল কর্মসূচী সফল করতে রাজধানীর সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে মাঠে নেমে এসে আন্দোলন চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে নিয়ে গিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য আহ্বান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন