ভারতের নাগাল্যান্ডে কারাগারের ভিতরে ঢুকে একজন মুসলিম যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে প্রদেশটিতে। বিক্ষোভ যাতে ব্যাপক আকার ধারণ করতে না পারে এজন্য প্রদেশটিতে ইন্টারনেট ও মোবাইলে বার্তা প্রদানের সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। শনিবার রাত থেকেই ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে সেখানে। রোববার ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে সেখানকার মুসলিমরা। খবর এনডিটিভির।
এদিকে, কারাগারের ভিতরে উপজাতীয় দুর্বৃত্তদের ঢুকতে পুলিশি সহায়তার সত্যতা স্বীকার করেছে কারাগারের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা। মুসলিমদের অভিযোগ ছিল, কারাগারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকতে সহায়তা করে কারা পুলিশ। আর ভেতরে ঢুকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় মুসলিম যুবক সৈয়দ শরীফ উদ্দীন খানকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তবে, ধর্ষণের ঘটনা সাজানো বলে স্থানীয় মুসলিমদের দাবি।
এদিকে, সৈয়দ শরীফকে হত্যার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যার ঘটনাটি ভিডিওতে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছেন কে বা কারা। আর ইন্টারনেটে তা দেখে উত্তেজিত হয়ে মুসলিমরা রাস্তায় নেমে আসেন। আর এ কারণে গতরাতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নাগাল্যান্ডের দিমাপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় উপজাতিদের অভিযোগ সৈয়দ শরীফ উপজাতিকে এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন। এই অভিযোগে তাকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু নিহতের ভাইয়ের দাবি, যে নারী এই অভিযোগ করেছেন তিনি তার ভাইয়ের স্ত্রীর দূর সম্পর্কের আত্মীয়া। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার একদল দৃর্বৃত্ত কারগারের তালা ভেঙ্গে সৈয়দ শরীফকে বের করে নিয়ে আসে। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। শুধু তাই নয় মোটরসাইকেলের পিছনে বেঁধে তাকে ৭ কিলোমিটার দূরে দিমাপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃতদেহটিকে একটি উঁচু টাওয়ারের মাথায় ঝুলিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা।
সৈয়দ শরীফের মৃতদেহ তার বাড়ি আসামের করিমগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হলে জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। নাগাল্যান্ড ও করিমগঞ্জ উভয় জায়গাতেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দিমাপুরে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।
ইনসাফ এর সৌজন্যে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন