বান্দরবানের লামায় স্টুডিওতে ছবি তুলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার যৌন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ধর্ষিত হয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর এক এতিম ছাত্রী (১৫)। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জানতে পারে ছাত্রীর অভিভাকরা। পরে লজ্জায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই বালিকা।
লামা উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা মুসলিম পাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম চন্দন দাশ। তিনি লামা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিষপানের পর অসুস্থ অবস্থায় ছাত্রীটিকে লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন।
সে মেরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী এবং মেরাখোলা মুসলিমপাড়া গ্রামের অসহায় ও এতিম মেয়ে। তার বাবা অনেক আগেই মারা গেছে।
ছাত্রীর পরিবার সূত্র জানায়, মাস দুয়েক আগে লামা বাজারে মা মনি স্টুডিওতে ছবি তুলতে যায় ওই ছাত্রী। এসময় বিয়েসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন দাশ তাকে ধর্ষণ করে। লজ্জায় তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে না জানালেও এক পর্যায়ে ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এতে তার মা হালিমা বেগম টের পেয়ে যান। মা তাকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টার দিকে ওই ছাত্রী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় ধর্ষিতার পরিবার তাকে দ্রুত লামা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. শফিউর রহমান মজুমদার বাংলামেইলকে বলেন, আপাতত কিশোরীর বিষপানের চিকিৎসা চলছে। সে এক দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হতে পারে। তবে রোগী সুস্থ হওয়ার পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে বিস্তারিত বলা যাবে।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলামেইলকে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শনিবার সন্ধায় আসামি চন্দন দাশকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলামেইল২৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন