ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫

গোটা বাংলাদেশ এখন ফাঁসির জাত


ট্রাবুন্যালের ফাঁসিকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলাদেশ এখন ফাঁসির জাত। সর্বত্রই ফাঁসির উল্লাসে ফেটে পড়া অজগরের বিষাক্ত এক উম্মাদ জাতি। মানুষের জান নিতে এতো উল্লাস আমি জীবনে দেখিনি।
বহু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে গেলো ২০ বছরে। কম্বোডিয়া, সুদান, বসনিয়া, লিবিয়ার মতো দেশগুলোর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনেকেই জানেন। কিন্তু এসব কি হচ্ছে বাংলাদেশে? 
টেলিভিশন খুললেই ফাঁসির দড়ি, যমটুপি, তওবা পড়ানো, শেষ খাবারের মেন্যু, পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা, মৃত্যুপরোয়ানা, ফাঁসির মঞ্চে ওঠানো, মৃত্যুকূপের ছবি, টেবিল-চেয়ারের বর্ণনা, ফাঁসির মহড়া, জল্লাদের উইকিপিডিয়া, এম্বুলেন্সের আগমন, সিভিল সার্জনের ঘড়ি, কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে হাজার হাজার মৃত্যু প্রত্যাশি মানুষের গানবাজনা। এর মধ্যেই জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, অপ্রাপ্ত বয়স্ক সাংবাদিক লীগের মুখে ইঁদুর মারার খবর। 
অদূরেই মিষ্টি এবং ফুলসহ গণজাগরণ মঞ্চের পাগলাগারদ। উম্মাদগুলো, বাদরের মতো চিৎকার করে যা বলছে, আমার কোনই সন্দেহ নেই, মাখন চলে যাওয়ায় এই দেশ এখন ঘোল।
টেলিভিশন খুললেই ফাঁসির দড়ি দেখতে দেখতে প্রশ্ন করি, পাইকারী লাইসেন্স দেয়ার কারণ কি এটাই? সারা বছর জুড়েই ফাঁসির খবর প্রচার করতে হবে? মনে হচ্ছে, আজরাইল লীগ, হাম্বা লীগ, আফ্রিকান মাগুর লীগের সঙ্গে জল্লাদ লীগ, ফাঁসি লীগ, গোরখাদক লীগ, চিৎকার লীগ, সাংবাদিক লীগ, টেলিভিশন লীগও থাকবে। আমার কথা মিথ্যা হলে, টেলিভিশনে এইগুলো কি? 
টেলিভিশন একটি বহু মাত্রিক প্রচার মাধ্যম কিন্তু বাংলা টিভি খুললেই ফাঁসি নিয়ে যে উম্মাদনা, ৪র্থ পর্যায়ে ক্যান্সারও এদের চেয়ে অধিক নিরাপদ। এমনকি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণও কম মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফাঁসি লীগ সমপ্রদায়কে সৃষ্টি করে দিল্লি-ঢাকা--ভারত দেশটাকে এক হাড়ি ঘোল বানিয়ে ফেলেছে।

জীবন্ত কিংবদন্তী "স্যার সাইফুল আজম"...


প্যালেস্টাইনীদের সংগ্রাম নিয়ে পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই একজন পরিচিত বাংলাদেশীর নাম পেলাম। ইসরাইলের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যুদ্ধ বিমানকে ভুপাতিত করার রেকর্ডটা ৪৮ বছর যাবৎ উনার দখলে! ভদ্রলোক চারটি পৃথক দেশের বিমান বাহিনীকে সার্ভিস দিয়েছেন, তিনটি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধ করে শত্রুপক্ষের বিমান ধ্বংশ করেছেন এবং তিনটি দেশ থেকেবীরত্বসূচক খেতাব পেয়েছেন! এটাও একটা বিশ্ব রেকর্ড! যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উনাকে পৃথিবীর জীবিত ২২ জন 'লিভিং ঈগল' হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে!
তিনি এখনো জীবিত আছেন, বাংলাদেশেই আছেন। আমরা ক'জন তাঁকে চিনি? আমরা মুছা ইব্রাহিমের মিথ্যা এভারেস্ট জয়ের কাহিনী শিশুপাঠ্য করি, যাতে করে আগামী প্রজন্ম প্রতারক
হতে পারে। কিন্তু সাইফুল আজমদের উপেক্ষা করি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ কখনো বীর হবার উৎসাহ না পায়।
Akm Wahiduzzaman পোস্টটির পড়ার পর বাকিটা কৌতূহল নিয়ে খুঁজে বের করলাম এই জীবন্ত কিংবদন্তীকে... এই জীবন্ত কিংবদন্তী হচ্ছেন 
"স্যার সাইফুল আজম"...
সাইফুল আজম ১৯৪১ সালে পাবনা জেলার খগড়বাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পর ১৯৫৬ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তান যান। ১৯৬০ সালে তিনি জিডি পাইলট ব্রাঞ্চের একজন পাইলট হন।
জুন ৬ , ১৯৬৭। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে। তৎকালীন পাকিস্তান এয়ারফোর্স থেকে ডেপুটেশনে আসা গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম পশ্চিম ইরাকের এক বিমান ঘাটিতে অবস্থান করছে। অনেকটা ভোজবাজির মতোই আকাশে চারটা ইজ্রায়েলি বিমানের ( যাদের কে এস্কোর্ট
করছিলো দুইটা ইস্রায়েলি মিরেজ ফাইটার ) উদয় হয়। আকস্মিক আক্রমণে ইরাকি এয়ারফোর্স
বিপর্জস্ত ।ইসারায়েলি ক্যাপ্টেন ড্রোর একের পর এক ইরাকি বিমানের ভবলীলা সাংগ করে চলেছে। তার সাথে সঙ্গী হিসাবে আছে আরেক ইজ্রায়েলি ক্যাপ্টেন গোলান। এই অবস্থায় আকাশে উড়াল দেয় সাইফুল আজম। উড়াল দেবার কিছুক্ষণের মাঝেই তার উইংম্যান কেও ফেলে দেয়
ইজ্রায়েলি ক্যাপ্টেন ড্রোর। কিন্তু সাইফুল আজম অন্য ধাতুতে গড়া। একে একে গোলান, ড্রোর সবার প্লেন ফেলে দেয় সে। মোটামুটি একা লড়াই করে ইজ্রায়েলি বিমান গুলোকে ইরাকের আকাশ ছাড়তে বাধ্য করে সে। ক্যাপ্টেন ড্রোর এবং গোলান কে পরে যুদ্ধবন্দী হিসাবে আটক
রাখা হয়।
এখন পর্যন্ত আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ সংখ্যক বিমান ঘায়েল করার রেকর্ড ক্যাপ্টেন সাইফুল আজমের।
এছাড়া প্রথম বিশবযুদ্ধ থেকে শুরু করে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক শত্রুপক্ষের বিমান ঘায়েল করার
রেকর্ড এর তালিকায় ও তিনি উপরের দিকে আছেন। আরব-ইস্রায়েল যুদ্ধে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ জর্দান-ইরাক-পাকিস্তান তাকে বীরত্ব সূচক পদকে ভূষিত করে। তিনটি দেশের সম্মান সূচক সামরিক পদক অর্জনের ঘটনা সামরিক ইতিহাসে বিরল। একই সাথে তিনটি দেশের হয়ে যুদ্ধ করা এবং একই ব্যাক্তির দ্বারা একের অধিক শ্ত্রু রাষ্ট্রের (ভারত এবং ইসরায়েল) বিমান ভূপাতিত করার বিরল রেকর্ডের অধিকারীও এই একই ব্যাক্তি।
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় তাকে সাময়িক ভাবে সারাগোধাতে অবস্থিত ১৭ স্কোয়াড্রন এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আযম এ সময় এফ-৮৬ স্যাবর জেট বিমান এর পাইলট হিসেবে প্রধানত পদাতিক সহায়ক মিশন পরিচালনা করতেন। ১৯৬৫ সালের ১৯ এ সেপ্টেম্বর বিখ্যাত চাবিন্দা ট্যাংক যুদ্ধে অংশ নেন তিনি এবং বিমান থেকে রকেট ও গোলা বর্ষন করে একাধিক ভারতিয় ট্যাংককে ধ্বংস ও অকার্যকর করেন। এসময় চারটি ভারতিয় ”Gnat”জঙ্গি বিমান তাদের উপর আক্রমন করে। সাধারন ভাবে বিমান থেকে ভুমিতে যুদ্ধের উপযোগি অস্ত্র সজ্জিত থাকায় এসময় পাকিস্তানি বিমানগুলির পালিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ফ্লাইট লেফটেনান্ট সাইফুল আযম রুখে দাড়ান এবং বিমান যুদ্ধ বা ডগ ফাইটে একটি ভারতিয় ”Gnat” জঙ্গি বিমান ভুপাতিত করেন।
এই কৃতিত্বের জন্য তাকে পাকিস্তানে ”সিতারা-ইজুরায়ত” (বাংলাদেশের বীরবিক্রম এর সমতুল্য, পাকিস্তানের তৃতীয় সামরিক বীরত্বের খেতাব) পদকে ভুষিত করা হয়।
১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি চারটি F-86 Sabre এর ফরমেশনে অংশ নিয়ে ভারতের ভূমীতে আক্রমণের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করেন। হঠাৎ দুইটি ভারতীয় Folland Gnat (Folland Gnat, F-86 এর চেয়ে Superior) তাদের পথ রোধ করে। ঘটনার জেরে সৃষ্ট ডগফাইটে সাইফুল আজম একটি Folland Gnat গোলাবর্ষণ করে ভূপাতিত করেন (পাইলট,ফ্লাইং অফিসার ভি মায়াদেব নিরাপদে Ejectকরে বেরিয়ে আসলে তাকে যুদ্ধবন্দি করা হয়). অন্য Folland Gnat টি রনেভঙ্গ দিয়েছে বুঝতে পারার পর সেটিকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়।
১৯৬৬ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম এবং অপর আরেক জন পাকিস্তানী বিমান বাহিনীর অফিসার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সারওয়ার সাদকে রাজকীয় জর্ডান বিমান বাহিনীতে প্রেষণে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তারা রাজকীয় জর্ডান বিমান বাহিনীর Hawker Hunter অপারেট করতেন। তারা সেখানে ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ৫জুন ১৯৬৭ সালে আল মাফরাক থেকে উড্ডয়নের পর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম একটি Mystere IV কে তার দ্বিতীয়শিকারে পরিণত করেন।
এই ঘটনার মাত্র দুই দিন পর, ৭ জুন ১৯৬৭ ইরাকী বিমান বাহিনীতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে পশ্চিম ইরাকী এয়ার ফিল্ড H-3 এ তিনি অবস্থান করাকালে, ইসরাইলী জঙ্গি জেট এয়ার ফিল্ড H-3 আক্রমণ করে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম ইরাকী Hawker Hunter বিমান নিয়ে উড্ডয়ন করে একটি Mirage III এবং একটি Vautour Bomber ভূপাতিত করেন (Vautour Bomber টির ছোট্ট কিছু ভগ্নাবশেষ সাইফুল আজমের Hunter এ গেঁথে থাকতে দেখা যায়, যা থেকে তার সহকর্মীরা বুঝতে পারেন তিনি বিমানটিকে আকাশেই
গুড়িয়ে দিয়েছেন)। উল্লেখ্য Mirage III সাইফুল আজমের Hawker Hunter এর তুলনায় বহুগুণে Superior। এছাড়া Mystere IV ও এয়ার টু এয়ার কমব্যাটের ক্ষেত্রে Hawker Hunter এর চেয়ে Superior। Mirage III, Mystere IV সাইফুল আজমের Skill, Tactics ও সাহসের কাছে পরাস্ত হয়েছে। কিন্তু সাইফুল আযম ও তার স্কোয়াড্রন সাফল্য লাভ করলেও অন্যান্য জর্দানি বিমানগুলি ব্যার্থ হয় এবং ইসরাইলি বোমা বর্ষনে বেশিরভাগ জর্দানি বিমান ভুমিতেই ধ্বংস হয়ে যায় ও রানওয়েগুলি ক্ষতি গ্রস্ত হয়। 
সাইফুল আযম তার সাফল্যের জন্য জর্দানিদের প্রসংশা ও শ্রদ্ধা পান। বাদশাহ হুসাইন তার নিজের গাড়িতে করে সাইফুল আযমকে তার মেস এরৎ পেীছিয়ে দেন। জর্দান থেকে আর উড্ড্য়ন সম্ভব না হওয়ায় জর্দানি বিমান বাহিনীর পাইলটরা প্রতিবেশি ইরাকি বিমান বাহিনীতে সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাইফুল আযম আবারওপাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে ইরাকি বিমান বাহিনীর হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এবারও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ইরাকি বিমান বাহিনীর হকার হান্টার বিমান নিয়ে তিনি তৎকালিন সর্বাধুনিক ফ্রান্সের "মিরেজ-৩সি" বিমান ভুপাতিত করেন। তিনি একটি ”ভেটর”বোমারু বিমানও ভুপাতিত করেন। তার অসাধারণ কৌশল ও সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে জর্দান সরকার ”ওয়াসমা ই ইস্তেকলাল” বা স্বাধিনতা পদক এবং ইরাক কর্তক ”নওয়াত-ই সুজ্জাত” পদকে ভুষিত করে। জর্ডান ও ইরাক উভয় দেশই তাকে বীর পদক প্রদান করে।
১৯৭১ সালে বাঙ্গালী হওয়ায় তাকে পাকিস্তান বিমান বাহিনী Grounded করে। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশের জন্ম হলে তিনি নতুন গঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর Director of Flight Safety এবং পরবর্তীতে Director of Operation হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৭ সালে তিনি উইং কমান্ডার পদে পদোন্নতি পান এবং ঢাকা বিমান বাহিনী ঘাটির বেস কমান্ডার হন। ১৯৮০ সালে সাইফুল আজম বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণ করার পর তিনি দুই টার্মে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি Film Development Corporation এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকও ছিলেন।
তিনি ১৯৯১-৯৬ সালে পাবনা-৩ আসন থেকে (চাটমোহর উপজেলা, ফরিদপুর উপজেলা ও ভাঙ্গুরা উপজেলা) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (BNP) পক্ষে পঞ্চম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে নাতাশা ট্রেডিং এজেন্সি, লিঃ (এয়ার ক্রাফট ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি একটি ট্রাভেল এজেন্সিও পরিচালনা করেন। স্ত্রী নাতাশা, তিন সন্তানের জনক তিনি।
২০০১ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। তিনি বাইশ জন “Living Eagles”এর একজন। সংগৃহীত 

দি ইকোনমিস্টের নিবন্ধ বিবাদীদের অধিকার নিদারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে ট্রাইব্যুনালে


খ্যাতনামা ব্রিটিশ সাময়িকী ‘দি ইকোনমিস্ট’ বাংলাদেশ রাজনীতি এবং মৃত্যু: ‘দি নুজ টাইটেন’ বিরোধীদের ভুল এবং এবং হাসিনা তার নিজের পথে’ শীর্ষক একটি নিবন্ধে বলেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ২২ নভেম্বর যে ফাঁদের দরজা খুলেছে, তাতে ফাঁসির মাধ্যমে কেবল বাংলাদেশের দুই প্রখ্যাত বিরোধী ব্যক্তির জীবনের সমাপ্তিই ঘটেনি। এর ফলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের কাজেরও সমাপ্তি ঘনিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের পৃথক হওয়ার যুদ্ধে সংঘটিত ঘৃণ্য অপরাধের বিচার করার জন্য ৫ বছর আগে এ দেশীয় আদালতটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইকোনোমিস্টের ওয়েবসাইটে নিবন্ধটি রয়েছে।
ওই যুদ্ধের নৃশংসতার সঠিক বর্ণনা প্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু ট্রাইব্যুনালটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এ ট্রাইব্যুনাল বিবাদীর অধিকার নিদারুণভাবে ক্ষুণ্ন করেছে এবং রাজনৈতিক অনধিকার চর্চায় আগ্রহী ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার জন্য এ সবকিছুই লাভজনক। তিনি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের সময়কার ঘটনার প্রতিশোধ নিলেন এবং তিনি তার চিরশত্রু খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মারাত্মক ক্ষতি করলেন। 
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, মৃত্যু হওয়া দুই ব্যক্তির প্রথমজন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পরিবার বেশ সুস¤পর্কযুক্ত। তার রাজনীতিক পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে মাঝে মাঝে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যখন লৌহমানব আইয়ুব খান অনুপস্থিত থাকতেন। মি. চৌধুরী নিজেও দুইবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাকে প্রায়ই পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দূত হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ট্রাইব্যুনাল তাকে বিভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এর মধ্যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে চক্রান্ত করে হিন্দুদের হত্যার অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এরপরও ট্রাইব্যুনাল নিরপেক্ষ ছিল না। বাদী পক্ষ ৪১ জন সাক্ষীকে হাজির করার অনুমতি পেয়েছে, অথচ বিবাদী পক্ষ পেয়েছে মাত্র ৪ জন। সাবেক একজন আমেরিকান রাষ্ট্রদূতসহ আরও অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দিতে দেয়নি আদালত। তাদের হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, কথিত অপরাধসমূহ সংঘটনের সময় মি. চৌধুরী পাকিস্তানে ছিলেন।
দ্বিতীয় ব্যক্তি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ছিলেন ইসলামপন্থী দল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল। বিএনপি সর্বশেষ যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দলটি ছিল বিএনপির জোটসঙ্গী-তিনি নিজে ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। মুজাহিদ ১৯৭১ সালে আল বদরের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার হিসেবে বুদ্ধিজীবী ও হিন্দুদের হত্যাকাণ্ড সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আধা-সামরিক বাহিনী আল বদর জামায়াতের ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের নিয়োগ দেয় ও বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের পিছু নেয়। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন জনক শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা এখন বলতে পারবেন যে, ২০০৯ সালের নির্বাচনের পূর্বে নৃশংসতায় দায়ীদের শাস্তি দেয়ার যে কথা তিনি দিয়েছিলেন, তা তিনি রাখতে পেরেছেন।
এদিকে বেগম জিয়া (জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী) ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকা-ের অনেক পরে ক্ষমতারোহন করেন তিনি। লন্ডনে কিছুকাল কাটিয়ে এ সপ্তাহে দেশে ফিরেছেন। কর্তৃপক্ষ তার বিমানকে ঢাকায় অবতরণ করতে দিয়েছে। তার সমর্থকদের মাঠ থেকে তাড়িয়েও দেয়া হয়েছে। তার পরিবারকে ক্রমেই উদ্দেশ্যহীন দেখাচ্ছে। মাত্র সত্তর বছর বয়সী হলেও, এ নারীর মধ্যে ইতিমধ্যে ভঙ্গুরতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তার ছেলে ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তার মায়ের ‘ক্লেপটোক্রেটিক’ প্রশাসনে দুর্নীতি করার অভিযোগে মামলা থাকায় তিনিও লন্ডন থেকে ফিরতে পারছেন না। দলের ভেতরের অনেকেই বর্ণনা করেছেন অগোছালো উত্তরাধিকারের কথা। সাবেক এক নেতা তারেক রহমানের ‘লম্বা ও বিপজ্জনক হাত’ ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাতে দলের অক্ষমতা নিয়ে আক্ষেপ করেছেন। খুব সহজেই দলটি রাস্তায় সহিংসতা উস্কে দিতে বলছে ক্যাডারদের।
তৃণমূলে শক্তিশালী সমর্থন থাকলেও, ব্যবসায়িক পৃষ্ঠপোষকদের ক্ষমতা হারাচ্ছে বিএনপি। সর্বশেষ নির্বাচন বয়কট করায় দলের কোন এমপিও নেই। পরবর্তী নির্বাচন ২০১৯ সালের আগে হবে না। এবং যদি শেখ হাসিনা বর্তমান অবস্থানই ধরে রাখেন, তবে সর্বশেষ নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের দায়িত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে না। ওদিকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনীতিকদের হয়রানি করা অব্যাহত রেখেছে, ঠিক যেমনটি বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন করেছিল। অনেকেই এখন কারাগারে, বাকিরা পালিয়েছেন অথবা আত্মগোপনে গেছেন। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অনেক মামলা। বাকি যারা আছেন, তাদের অনেকে তারেক রহমান-বিহীন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন। ২০ নবেম্বর নাজমুল হুদা, বিএনপির সাবেক বড় নেতা, নতুন দল ‘তৃণমূল বিএনপি’র ঘোষণা দিয়েছেন।
কিন্তু বিএনপির সমস্যা কলঙ্কিত আপাত-উত্তরাধিকারের চেয়েও বেশি কিছু। দলটি পাশের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতকে নিশ্চয়তা দিতে পারছে না যে, ভবিষ্যতের বিএনপি সরকারের সময়ে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য নিরাপদ থাকবে। জামায়াতের সঙ্গে স¤পর্ক ক্ষুণ্ন করতে বিএনপির অনিচ্ছায় এতে উপকার হচ্ছে না। জামায়াত সৌদি-প্রভাবিত ইসলামের প্রচার চালায়, খুব শিগগিরই এটি বেআইনি ঘোষিত হতে পারে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ ও ভারতের সম্পর্ক ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হচ্ছে। এ মাসে অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতের চাহিদার বিশাল তালিকার সর্বশেষটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। অনুপ চেটিয়া আসামের একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা, যাকে বাংলাদেশ ১৮ বছর ধরে কারাগারে পুরে রেখেছে দর কষাকষির ভালো অবলম্বন হিসেবে।
ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনে উদ্যোম ফিরে পেতে পারে বিএনপি। কিন্তু প্রায় সর্বত্রই আওয়ামী লীগের আধিপত্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও আইনি প্রতিষ্ঠানসমূহ, যেগুলোকে সুরক্ষিত করার কথা ছিল দেশের ভিত্তিমূলের, সেগুলোর মূল্য অবশ্য ভিন্ন বিষয়।

শোকাহত পরিবারের সাথে কেন এই জুলুম?

আলী আহম্মদ মাবরুর :ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা (শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদ) এবং তার সহকর্মীদের অপপ্রচারের শিকার আর নির্মম ভিকটিম হতে দেখেছি, এখনও হতে দেখছি প্রতিনিয়তই। এবার তার নিষ্ঠুর শিকার হচ্ছি আমাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন।

আমার বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রানভিক্ষা চেয়েছেন এই খবর ২২ নভেম্বর মিডিয়ার মাধ্যমে সর্বপ্রথম জানতে পারি। মিডিয়া কোন ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে কারা কর্তৃপক্ষের বরাদ দিয়ে এই সংবাদ প্রচার করে গোটা দিন। সপ্তাহ খানিক পার হতে চললো আমার পিতার শাহাদাতের। এখনো অনেক সাংবাদিক ফোন দিয়ে প্রশ্ন করে শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদ কি এই ধরনের কোন আবেদন করেছিলেন? অথচ যার নুন্যতম কমন সেন্স আছে তিনিও নিশ্চয়ই বুঝবেন, রাষ্ট্রপতি তথাকথিত প্রানভিক্ষার আবেদন নাকচ করে রাত সাড়ে ১০ টায়। আর কারা কর্তৃপক্ষ শেষ সাক্ষাতের জন্য আমাদের ডাকে রাত ৮ টায়। বিষয়টা যদি মার্সি পিটিশনই হতো, তাহলে প্রেসিডেন্ট তার সিদ্ধান্ত দেয়ার আড়াই থেকে তিন ঘন্টা আগে কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের ডাকতো না। সেই সাহস বা ক্ষমতা অথবা সুযোগ কোনটাই কারা কর্তৃপক্ষের নেই। আসলে এই ধরনের কোন আবেদনের যে কোন অস্তিত্বই নেই, সেদিনের ঘটনার ধারাবাহিকতাই তার প্রমান। তারপরও এই মিথ্যাচার করতে তাদের বিবেক বাঁধা দেয়নি।
আমার বাবার শাহাদাতের দুদিন পর আমার এক খালুর বিরুদ্ধে দৈনিক যুগান্তরের মত পত্রিকায় মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে সেই খালুকে (শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদের ভায়রা) জামায়াতের সহ-কোষাধক্ষ হিসেবে অভিহিত করা হয়। জামায়াত সেই সংবাদের প্রতিবাদ জানায়।
আবার শুনলাম, আমাদের পরিবার নাকি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছে- এই মর্মে কোন দৈনিকে একটা খবর প্রকাশিত হয়েছে। ২১ নভেম্বর আমরা তার সাথে সাক্ষাত করেছি। শাহাদাতের আগে তার সাথে দেখা করার কোন সুযোগ বা আগ্রহ আমাদের ছিলনা। তাই সেই সময় তার সাথে আমাদের দেখা হয়নি। আর আমরা আব্বার শাহাদাতের পর থেকে ফরিদপুরেই আছি। মাঝে একদিন ঢাকায় গিয়েছিলাম। 
অল্প সময় থেকে আবার ফরিদপুর ফিরে এসেছি। এখানে নেট কানেকশন ভালো না। পত্রিকা পড়ার মত মানসিকতাও থাকেনা। সারাদিন লোকজনের ভীড়। তাই কোন পত্রিকায় কি খবর প্রকাশিত হচ্ছে তা ঠিক জানিওনা।
মানুষের মুখ থেকে শুনি। আমরা যেখানে ঢাকাতেই নেই, সেখানে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ কিভাবে করবো? অথচ তার প্রেস উইং এর জনৈক এক কর্মকর্তার সুত্র দিয়েই নাকি সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। আমি রীতিমত হতবাক।
আসলে শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদের বিরুদ্ধে ২২ নভেম্বর থেকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে নোংরা অপপ্রচার চলছে, এই সব সংবাদ তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। কিন্তু কেন এই অপপ্রচার? একজন মানুষের মৃত্যু নিয়েও কেন এত নাটক? তার শোকাহত পরিবারের সাথে কেন এই জুলুম?
তারা যদি মনে করে এই সব সংবাদ দিয়ে শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদের পরিবারকে তারা কাবু করবে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। কেননা এই সব অপপ্রচারে আমরা আরো সাহসী হই। আমাদের শহীদ বাবাকে নিয়ে আমাদের গর্ব আর সম্মানবোধ আরও বাড়ে। কেননা আমরা বুঝতে পারি, আমার বাবা আসলেই বাতিল শক্তির জন্য মুর্তমান আতংক ছিলেন। ওরা আমার বাবার সাহস, দৃঢ়চেতা মনোভাব আর সততাকে ভয় পায়। তাই জীবিত আলী আহসান মো: মুজাহিদের মত শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদকেও তারা এত ভয় পায়।
আলহামদুলিল্লাহ। এই ভয় তাদের থাকুক। আমাদের সাহস আর সততাই আমাদের শক্তি। আমাদের পিতা আমাদের গর্বের ধন। আর তোমরা শুনে রাখো, আসলেই জীবিত মুজাহিদের তুলনায় শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদ সহস্ত্রগুন শক্তিশালী। বিডিটুডে এর সৌজন্যে

ডিএমপির (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলামের ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্যে জামায়াতের নিন্দা

 ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম গত ২৬ নভেম্বর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেছেন তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ বিবৃতিতে বলেন, ডিএমপির (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম জামায়াত ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। 

গতকাল শুক্রবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত কামরাঙ্গীর চরের আবদুল আজিজ মিয়ার সাথে জামায়াতের কোন সম্পর্ক নেই। কামরাঙ্গীর চরের আবদুল আজিজ মিয়ার পুত্র ফজলে রাব্বী রাকীব হাসান এবং বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার মাসুদ রানার সাথে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক নেই। জামায়াত ছাত্রশিবিরের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশ্যেই ডিএমপির (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম তাদের সাথে জামায়াত ছাত্রশিবিরের সম্পর্ক থাকার কথা প্রচার করছেন। ধরনের ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তিনি অনৈতিক কাজ করেছেন। 

ধরনের ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি ডিএমপির (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলামের প্রতি আহ্বান জানান

শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫

গ্রেফতার আব্দুল হকের সাথে জামায়াত-শিবিরের সম্পর্ক নেই : জামায়াত


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বিশিষ্টজনদের হত্যার হুমকির অভিযোগ গ্রেফতার আব্দুল হকের সাথে জামায়াত-শিবিরের দূরতম সম্পর্ক নেই বা তেজগাঁও শিল্পঞ্চল এলাকায় এই নামে জামায়াত-শিবিরের কর্মী তো দূরের কথা কোনো সমর্থকও নেই। আজ বুধবার দৈনিক সমকাল, বিডিনিউজ২৪ ডটকম ও কয়েকটি টিভি চ্যনেলসহ বিভিন্ন অনলাইনে ‘বিশিষ্টজনদের হত্যার হুমকিদাতা জামায়াতকর্মী গ্রেফতার’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। মহানগরী আমির বলেন, সবকিছুতেই জামায়াত-শিবিরকে জড়িত করা মহল বিশেষের মুখস্ত বিদ্যায় পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার নিজেদের পর্বত প্রমাণ ব্যর্থতা ঢাকতেই সব কিছুর দায়ভার জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের চাপাচ্ছে। সরকারের সাথে পাল্লা দিয়ে বিশেষ মহলও এ ধরনের অপপ্রচার চালাতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেছে। তারা সত্য-মিথ্যা বাছ-বিচার না করেই দেশে সংঘঠিত সব অপকর্মের দায়ভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল ও ক্ষমতাসীনদের তোষণ করে চলেছে। যা কারো কাম্য নয়। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের উপর অপপ্রচারের ধারাবাহিকতায় আজ দৈনিক সমকাল, বিডিনিউজ২৪ডটকম ও কয়েকটি টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় ‘বিশিষ্টজনদের হত্যার হুমকিদাতা জামায়াতকর্মী গ্রেফতার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত খবরটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দশ্যপ্রণোদিত। গ্রেফতারকৃত আব্দুল হকের সাথে জামায়াত-শিবিরের দূরতম সম্পর্ক নেই বা তেজগাঁও শিল্পঞ্চল এলাকায় এই নামে জামায়াত-শিবিরের কর্মী তো দূরের কথা কোনো সমর্থকও নেই। সমকালে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বরাত দেয়া হলেও মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেসব্রিফিং এ গ্রেফতারকৃতকে জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, জামায়াত একটি আদর্শিক, গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক, সাংবিধানিক, শান্তিপ্রিয় ও গণমানুষের জন্য কল্যাণকামী সংগঠন। জনগণের প্রত্যক্ষ মহামতের ভিত্তিতেই জামায়াত এদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই জামায়াত নেতাকর্মীদের যেকোনো বেআইনী কাজে অংশগ্রহণ, সন্ত্রাস, নাশকতা, হত্যা, হত্যার হুমকি মহল বিশেষের ইসলাম বিদ্বেষ ও উর্বর মস্তিস্কের কল্পনা ছাড়া কিছু নয়। তিনি গ্রেফতারকৃতকে জামায়াতের কর্মী হিসেবে সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আগামী দিনে এধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

উৎসঃ নয়াদিগন্ত

মোসাদ্দেকা বেগমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদের শ্বাশুড়ি মোসাদ্দেকা বেগমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ২৪ নভেম্বর এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।

শোকবাণীতে তিনি মরহুমার জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আল্লাহ তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন। আমীন ॥

শিবিরের ২ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে -ডা. তাহের


যশোরে আসিক ভিলা নামক একটি ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্থানীয় নেতা হাবিবুল্লাহ ও কামরুল হাসান নিহত এবং আল-মামুন গুরুতরভাবে আহত হওয়ার নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন, ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। হত্যা, অপহরণ, গুম, চাঁদাবাজি, ভর্তি ও সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণসহ হেন অপকর্ম নেই যা তারা করছে না। তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে সকল ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে সহযোগিতা করেই যাচ্ছে। তারা খুন-খারাবি করে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটাচ্ছে। 
তিনি আরো বলেন, গত ২৩ নবেম্বর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যশোরের আসিক ভিলা নামক একটি ছাত্রাবাসে দিনে-দুপুরে হামলা করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা এম.এম. কলেজের ছাত্র হাবিবুল্লাহ ও কামরুল হাসানকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ও আল-মামুনকে গুরুতরভাবে আহত করেছে। এ ঘটনা থেকেই বুঝা যাচ্ছে দেশে ছাত্রলীগ কী ভয়ংকর সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। 
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা হাবিবুল্লাহ ও কামরুল হাসানের হত্যাকারীদের অবিলম্বের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। 
নিহত হাবিবুল্লাহ ও কামরুল হাসানের শাহাদাত কবুল করার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। সেই সাথে তিনি আহত আল-মামুনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।