ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫

নিখোঁজের ছয় দিন অতিবাহিত: তিতুমীর কলেজের ছাত্র মেহেদীর সন্ধান চেয়েছে তার পরিবার


স্টাফ রিপোর্টার : তিতুমীর কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রদলকর্মী মেহেদী হাসান রুয়েলের সন্ধান চেয়েছে তার পরিবার। রুয়েলকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তার মা  আঞ্জুমান আরা।
 গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নিখোঁজ মেহেদী হোসেন রুয়েলের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান, বড় বোন মাহমুদা আক্তার, বোন জামাই হায়দার আলী, ছোট ভাই জুয়েল।
আঞ্জুমান আরা জানান, রুয়েলকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের দ্বিতীয় তলা থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ আটক করে। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার খোকা কবে ফিরে আসবে? খোকাকে ফিরে চাই। আমার খোকার কী অপরাধ জানি না। সে অপরাধী হলে তাকে বিচার করা হোক। তাকে আদালতে হাজির করা হউক। রুয়েলের মা প্রধানমন্ত্রী, স্বারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি, র‌্যাবের মহাপরিচালকের কাছে তার সন্তানকে ফিরে পেতে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, আমার ছেলে তার কলেজের এক ছোট ভাই ‘শুভ’কে নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কের দ্বিতীয় তলায় যায়। সেখান থেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকধারী কিছু ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে এয়ারপোর্ট এলাকায় যাওয়ার পর গাড়ি থেকে শুভকে নামিয়ে দেয়। তার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি রুয়েলকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন পারিবারিক চাপে ‘শুভ’ মোবাইল বন্ধ রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ বহন করে। ঘটনার দিন সে টিউশনি করে ফিউচার পার্কে যায়। সেখান থেকে ডিবি পুলিশ সবার চোখের সামনে দিনে-দুপুরে তুলে নিয়ে গেছে। পরে যোগাযোগ করলে অস্বীকার করছে। পুলিশও তার কোনো তথ্য জানে না। তাহলে আমার সন্তান কোথায়? প্রশ্ন রাখেন এই মা।
তিনি বলেন, আমার সন্তান বেঁচে আছে না মরে গেছে কিছুই জানি না। ঢাকা মেডিকেলে মর্গে কোনো লাশের সংবাদ পেলে ছুটে যাই। আমাদের পরিবারের সকলের অস্থিরতার মধ্য দিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে রুয়েলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতেই মেহেদীর ছোট ভাই জুয়েল খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে (ডায়েরি নং-১১৮৯)।
এদিকে, পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে শেষের দিকে খবর আসে বরিশালের উজিরপুরে তিতুমীর কলেজের একটি ছেলের একটি লাশ পাওয়া গেছে। পরিবারের সদস্যরা এ সময় সবাই কাঁদতে কাঁদতে প্রেস ক্লাব ছেড়ে যায়।
পরে যোগাযোগ করা হলে দুপুরে নিখোঁজ মেহেদীর বড় ভাই মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে উজিরপুরে আমাদের লোকজন গিয়ে জানতে পারেন- পারিবারিক কলহের জেরে সেখানে তিতুমীর কলেজের এক ছাত্র মারা গেছেন। এটি আসলে ছাত্র দলের নিখোঁজ মেহেদী হাসান রুয়েল নয়। 
দৈনিক সংগ্রামের সৌজন্যে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন