ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫

বধিরতার আশঙ্কা ১১০ কোটি মানুষের : হু


নতুন বার্তা: ভয়ানক পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ ৷ আশঙ্কাজনকভাবে কমে আসছে আমাদের শোনার ক্ষমতা ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সম্প্রতি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তার ভিত্তিতে বলা যায় পৃথিবীর অন্তত ১১০ কোটি মানুষের বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ৷

এমন পৃথিবীর কল্পনা করা রীতিমতো কষ্টকর ৷ যে পৃথিবীতে ভোরে সূর্য ওঠে ঠিকই, কিন্তু শোনা যায় না পাখির ডাক ৷ পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় জমান ট্যুরিস্টরা কিন্তু শোনা যায় না ঝর্ণার কল কল শব্দ।
১২-৩৫ বছরের মধ্যেকার জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫০ শতাংশের শোনার ক্ষমতা ভয়াবহ ভাবে কমে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে হু ৷ মার্চের ৩ তারিখ, ‘আন্তর্জাতিক ইয়ার কেয়ার ডে’র একদিন আগে যে রিপোর্ট হু প্রকাশ করেছে তাতে জানা গেছে, স্মার্টফোন বা আইফোনে উচ্চগ্রামে বাজতে থাকা গান ইয়ারগ্লাগের মাধ্যমে ক্রমাগত শুনতে থাকার অনিবার্য পরিণতি অকাল বধিরতা৷ গবেষকরা বলছেন, ৮৫ ডেসিবেল শব্দ এক নাগাড়ে আট ঘণ্টা বা ১০০ ডেসিবেল শব্দ ক্রমাগত ১৫ মিনিট শুনলে শ্রবণযন্ত্রের ভয়াবহ ক্ষতি হয় ৷ অত্যাধুনিক ফোনগুলো থেকে এমনই জোরে গান শুনতে অভ্যস্ত নতুন প্রজন্ম ৷
এখানেই শেষ নয়। হু’র অভিযোগের তালিকায় রয়েছে নাইটক্লাব ও বিভিন্ন বারের শব্দ উৎপাদক বিশাল পাওয়ারহাউস বা অন্য অতিকায় স্পিকারগুলোও৷ এই ক্লাব ও বারগুলোতে তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট এবং শব্দ নিরোধক ঘরে প্রবল আওয়াজে গান ও বাজনা শোনানো হয় ৷ তরণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের শ্রবণযন্ত্র এর ফলেও ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷
হু’র পক্ষ থেকে এতিয়েন ক্রুগ জানিয়েছেন, ‘প্রতিদিন আরও বেশি বেশি করে তরুণ-তরুণী এই পথে এগোচ্ছেন এবং নিজের শ্রবণযন্ত্রটিকে বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন ৷ 
এমনিতেই কয়েকশ’ বছর আগে, বজ্র-বিদ্যুতের আওয়াজকেই চূড়ান্ত বলে মনে করা হতো ৷ কিন্তু, যন্ত্রসভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃত্রিম শব্দের প্রাবল্য বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে ৷ ভিড় রাস্তায় গাড়ি- ঘোড়ার আওয়াজে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা কাটাতে হয় যাদের, তাদের কানের অবস্থাও বেশিদিন ভালো থাকবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন হুর বিজ্ঞানীরা ৷ তাই, যন্ত্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে প্রকৃতির আশ্রয় নেয়ার উপদেশ দিচ্ছেন হু’র গবেষকরা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন