ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫

যে জেলায় ৬৯ হাজার আসামির বসবাস...

হরতাল-অবরোধ ও নাশকতায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬৯ হাজার নেতাকর্মীকে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ৭শ' আসামি।
আর এসব মামলায় পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে জেলার লক্ষাধিক মানুষ। এদের মধ্যে রয়েছেন- চাকরিজীবী, দোকান, ব্যবসা-বাণিজ্য, জেলেসহ নানা পেশার মানুষ। আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন এসব পরিবারের অবুঝ শিশু-বৃদ্ধ ও নিরপরাধরা। এসবই ঘটে চলেছে গাইবান্ধা জেলায়।
জানা যায়, ২০১৩ সালে সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর রংপুরের মিঠাপুকুর, পীরগাছা, গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের দখলে চলে যায়। হাজার হাজার সাঈদীভক্ত রাস্তায় নামে।
এতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা বাধা দিলে রংপুরের মিঠাপুকুরে সংঘর্ষ বাধে। ৪ পুলিশ সহ অন্তত ৩ জন নিহত হয়। থানা, পুলিশ ফাঁড়ি সহ ২ শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এছাড়া গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৬ মামলায় ৬শ’, সাদুল্যাপুরে ২ মামলায় ৬শ’, পলাশবাড়িতে ২২ মামলায় ২০ হাজার, গোবিন্দগঞ্জে ৬ হাজার, সুন্দরগঞ্জে ৬ মামলায় ৫ হাজার, সাঘাটায় ১ মামলায় ১৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত ৭০টি মামলায় সুন্দরগঞ্জে ৯৩ জনের নামসহ ৫৯ হাজার ২শ’ জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকর্মীকে আসামি করা হয়। আর গ্রেফতার করা হয়েছে ৭শ’ জনকে।
পুলিশ হত্যার ঘটনায় ৩৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এতে ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। নাম ছাড়াও আরও ৫ হাজার ব্যক্তিকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এদিকে মামলায় জড়িতদের নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সার্টিফিকেট বাণিজ্য শুরু হয়।
যারা স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে তাদের দেয়া হয় দলীয় সার্টিফিকেট। সার্টিফিকেট পেতে দিতে হয়েছে ২৩ থেকে ৫০ হাজার টাকা। সে কারণে প্রকৃত অভিযুক্তদের অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আর যারা আওয়ামী লীগের সার্টিফিকেট নিতে ব্যর্থ হন তারা মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
যাদের নামে মামলা করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন চাকরিজীবী রয়েছেন। তাদের অনেকে মিথ্যা মামলার শিকার। ফলে গ্রেফতার ও হয়রানি এড়াতে এসব চাকরিজীবীরা ঘড়বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে গাইবান্ধা জেলাজুড়ে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ওইসব এলাকার সাধারণ মানুষ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন