ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

মহান আল্লাহ চৌদ্দশত বছর আগেই এই ভি চিহ্নের জবাব তার পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরাআনে দিয়ে রেখেছেন

ওরা অবাক হয়, ক্ষণিকের তরে হলেও ওদের কুত্সিত খুনপিপাসু জিঘাংসা ভরা মন বিস্মিত হয় – কেন কাদের মোল্লা, কামরুজ্জামান, মীর কাশেমরা ভি দেখায়, কেন নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ওরা জীবন ভিক্ষা চায় না, কেন ওদের স্ত্রী-সন্তানেরা বিজয়ের বার্তা শোনায়, কেন ওদের চোখে পানি আসে না, কেন ওরা উন্মাদের মত ছটফট না করে বিকেলের নীল সাগরের মত শান্ত থাকে, ওরা জবাব পায় না। ওরা চেষ্টা করে, ওরা নানা কৌশল খাটায়, নাটক করে, মহান নেতাকে ওরা মচকানোর তদবির করে। কিসের তৈরি এরা, জানার জন্য ওদের মন আকুলি বিকুলি করে। এই মহাবিশ্বের মহান সৃষ্টিকর্তার সাথে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় উদগ্রীব নেতার, নেতার পরিবারের, আনুসারীদের আচরনে সত্য প্রকাশের ভয়ে ওরা ভড়কে যায়, শংকিত হয়। ওদের বিকৃত মস্তিষ্ক নানা ব্যাখ্যা দাড় করায়, কিন্তু ওদের মন ভরে না। ওরা ভাবে, এই রকম তো হওয়ার কথা ছিল না।
ওরা জানে না আগেও ক্ষমতার লোভে অন্ধ ওদের পূর্বসূরিরা এই প্রশ্ন গুলোর জবাব জানতে পারেনি যাদের অন্তরে মহান প্রতিপালক সিলমোহর মেরে দিয়েছিলেন। ওরা জানেনা যে, মহান দয়াময় রহমানুর রাহিম আজ থেকে চোদ্দশত বছর আগেই এই ভি চিহ্নের জবাব তার পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরাআনে দিয়ে রেখেছেন। ওরা জানেনা যে, মোল্লা- জামান-আলীরা পবিত্র গ্রন্থের এই আয়াতটি মনে মগজে খোদাই করে নিয়েছে- “প্রকৃত ব্যাপার এই যে, আল্লাহ‌ মুমিনদের থেকে তাদের প্রাণ ও ধন-সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে এবং মারে ও মরে। তাদের প্রতি তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে(জান্নাতের ওয়াদা) আল্লাহর জিম্মায় একটি পাকাপোক্ত ওয়াদা বিশেষ। আর আল্লাহর চাইতে বেশী নিজের ওয়াদা পূরণকারী আর কে আছে? কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে যে কেনা-বেচা করছো সে জন্য আনন্দ করো। এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য।” (সূরা আত তাওবা-১১১ নং আয়াত)
এই বড় সাফল্য সুনিশ্চিত ভাবে পেয়ে যাওয়ার কারনেই কাদের মোল্লা, কামরুজ্জামান, মীর কাশেমরা ভি সাইন দেখায়, তাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারন করে তাদের স্বামী আর পিতার কথা, কর্মীরা গর্বিত উচু শিরে চলে নেতার আদর্শের পথে, জন্ম হয় লাখো কাদের মোল্লার…………..
Hasan Jamil

মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিতে অ্যামনেস্টির আহ্বান

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ড কার্যকরের কার্যক্রম স্থগিতের আহবান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

গত মঙ্গলবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ আহবান জানায় এ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি।

অ্যামনেস্টি অভিযোগ করে বলে, অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ কার্যক্রমের মাধ্যমে মীর কাসেমের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তার আসন্ন ফাঁসির কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে।

‘বাংলাদেশ: হল্ট ইমিনেন্ট এক্সিকিউশন অব মীর কাশেম আলী আফটার আনফেয়ার ট্রায়াল’ অর্থাৎ ‘বাংলাদেশ: অন্যায় বিচারের পর মীর কাশেম আলীর আসন্ন ফাঁসি কার্যক্রম স্থগিত কর’ শিরোনামে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক চম্পা পাটেল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য বাংলাদেশের মানুষ বিচার পাওয়ার যোগ্য। মৃত্যুদন্ডের অব্যাহত ব্যবহারের মাধ্যমে সেটা অর্জন হবে না। এভাবে ফাঁসি কার্যকর কেবল অভ্যন্তরীণ উত্তেজনাকে উদ্দীপ্ত করবে এবং দ্বিখন্ডের মাধ্যমে একটি সমাজকে আরও বিভক্ত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদন্ড বাতিল করে পুনরায় তার বিচার শুরু করার আহবান জানায়। তার বিচার প্রক্রিয়ায় কিভাবে অব্যাহত অনিয়ম করা হয়েছে তা তুলে ধরেন তারা।

পাটেল বলেন, শুরু থেকেই বিচার প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু বিচার বিষয়টিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। মৃত্যুদন্ড একটি নিষ্ঠুর ও অপূরণীয় শাস্তি। যা কেবল বিচার প্রক্রিয়ায় অবিচারের মিশ্রন ঘটাবে। ১৯৭১ সালে যারা নৃশংসতার শিকার তারা ত্রুটিপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়ার চেয়ে ভাল কিছু প্রাপ্য। এই শাস্তির উচ্ছেদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে সমস্ত মৃত্যুদন্ড কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে।

সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়া মীর কাশেম আলীর ছেলে মীর আহমেদ বিন কাশেমের পরিণতি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি। গত ৯ আগস্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই তাকে আহমেদ কাশেমকে আটক করা হয় বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চম্পা বলেন, আন্তর্জাতিক গুম দিবসে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবিলম্বে, পুঙ্খানুপুঙ্খ মীর কাশেম আলীর জোরপূর্বক গুমের তদন্ত করতে হবে।
 সূত্র জানতে এই লিংকে ক্লিক করুর

‘আল্লাহ আকবার’ বলে মন্দিরে হামলা, হিন্দু যুবক আটক :

বাংলঅদেশ বার্তা ডেস্কঃ  গাজীপুরের টঙ্গীতে ‘আল্লাহ আকবার’ বলে চিৎকার দিয়ে মন্দিরে হামলা চালিয়েছে সঞ্জয় সাহা (২৮) নামে এক হিন্দু যুবক। এসময় ওই দুর্গামন্দিরের পুরোহিত অনিল কুমার ভৌমিককে মারধর ও প্রতীমায় লাথি মেরে ভাংচুরের চেষ্টা চালায়।

সোমবার সকালে টঙ্গী বাজারেরে শ্রী শ্রী দুর্গামন্দিরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।

সঞ্জয় সাহার (২৮) বাবা গণেশ সাহা টঙ্গীর জামাইবাজারের সফিকুলের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

মন্দিরের পুরোহিত অনিল কুমার ভৌমিক ও এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল মন্দিরে তিনি পূজা অর্চনা করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৫-৬ জনের একদল যুবক হঠাৎ ‘আল্লাহ আকবর’ বলে চিৎকার করে মন্দিরে হামলা চালায়। এসময় সঞ্জয় সাহা মন্দিরে প্রবেশ করে মূর্তি ভাংচুর করা জন্য উপর্যুপরি লাথি মারতে থাকে। এতে বাধা দিলে সে পুরোহিতকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সঞ্জয়কে আটক করলেও তার সঙ্গে থাকা অপর সহযোগিরা পালিয়ে যায়।

সূত্র: এই লিংকে

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল: জামায়াতে নেতা মীর কাসেম আলী সহ সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবী

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন,একের পর এক জামায়াত নেতা ও কর্মীদের হত্যা করছে সরকার।
নেতৃবৃন্দদেরকে হত্যা করে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করা যাবেনা। তিনি অবিলম্বে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীসহ গ্রেফতারকৃত সকল শীর্ষ নেতা ও কর্মীদের নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানান। বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, নগর দক্ষিণ ছাত্রশিবির সভাপতি আবু জাফর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জামায়াত নেতা বেলায়েত হোসেন, ছাত্রশিবির নেতা আদনান সালেহ ও মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহালের প্রতিবাদে আগামীকাল ৩১ আগষ্ট ২০১৬ইং তারিখ বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে এক বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যার প্রতিবাদে নগর জামায়াতের উদ্যোগে অপর এক সমাবেশ ও মিছিল নগর জামায়াতের মজলিশে শূরার সদস্য এ.কে আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন নাজিব আহছান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এস.কে সিকদার প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আগামীকাল ৩১ আগষ্ট ২০১৬ইং তারিখ বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে এক বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

Farakka dam is destroying Bangladesh, alleges Acting Secretary General; calls for Justified solution

বাংলাদেশ বার্তা (Bangladesh Barta) Desk:   Acting Secretary General of Bangladesh Jamaat-e-Islami, Dr. Shafiqur Rahman has issued the following statement on 28th August, 2016 urging to find out an amicable and Justified solution of the Farakka dam crisis.

“Farakka dam has become an unbearable crisis for the 16 crore people of Bangladesh. It becomes the core demand of the Bangladeshi people to find out a reasonable and prompt solution to this crisis.

India had built this controversial Farakka dam on the Ganges River in order to deprive the people of Bangladesh from their due rights of water. As per the approval of the first government of Bangladesh, the Indian government had started Farakka dam’s test operation on 21st April of 1975, just for 41 days. In those days, the people of Bangladesh had anticipated the disastrous impact of this dam and hold a major protest. The then popular leader, Maulana Abdul Hamid Khan Bhashani also led a massive long march program towards the dam. Though 41 years have been elapsed but that 41 days of duration of the so called test operation has not been expired yet. As the adverse impact of Farakka dam, a huge portion of land in Bangladesh’s North-Western region is turning into desert. As a common phenomenon of the dry season, water level is going down alarmingly. It also becomes tough to get water from the tube well. Resultantly, crops, trees and plants are being died in want of water. Poisonous arsenic is found in the deep water level, which takes many lives and the overall ecology is being doomed. Many people become bankrupt subsequently losing their homes, crop land and cattle. Many homes and establishments also became submerged due to massive river erosion. Bangladesh is losing millions of money yearly for the adverse impact of frequent floods.

Not only Bangladesh, but also several Indian provinces are being affected by the devastating Farakka dam. Under the circumstances, demands have been raised even from the internal quarters of India to demolish the Farakka dam. To save several provinces, couple of days back, India has opened all gates of the Farakka dam. Subsequently, in Bangladesh, the water of the Padma River is flowing over the danger level and already several districts including Chapai Nawabganj, Rajshahi and Kushtia are suffering from heavy floods.

In this backdrop, Bangladesh desires a Justified solution of Farakka dam crisis. The people of Bangladesh want to see that the government would avoid all sorts of biasness and tricky strategies and undertake some effective and Justified steps to resolve the Farakka crisis through an open minded discussion with India.”

Followup Click here to see the velnerness

প্রধানমন্ত্রীর কাছে মীর কাসেম আলী সাহেবের সহধর্মিনী Ayesha Khandkar এর আবেদন

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী
যথাযথ সম্মানপুর্ক নিবেদন-
আমি এক অসহায় মা। মীর কাসেমের মৃত্যুদন্ড বহাল থাকায় আপনার নিকট আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আরজ এই যে আমার পরিবারে কোন পুরুষ লোক নেই। আমার সন্তান ছোট ছেলে Mir Ahmad BinQuasem -ব্যারিস্টার মীর আহমদ আলীই একমাত্র তার বাবা ও আমাদের পরিবারের যাবতীয় কাজ করত। অর অবর্তমানে আমরা খুবেই অসহায়।

তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ৯ই আগস্ট সাদা পোষাকে উঠিয়ে নেয়ার পরে আজ পর্যন্ত কোন খোঁজ পাইনি।
জনাব প্রধানমন্রী, আমি স্বামীর এই শেষ মুহুর্তে তাকে অবশ্যই আমাদের মাঝে পেতে হবে। ওকে ছাড়া আমাদের কোন কাজই করতে পারা সম্ভব নয়।
যে কোন ভাবেই হোক মানবীয়ভাবে এবং বাস্তব প্রোয়োজনেই আমাদের কাছে আরমান ফিরয়ে দিতে দিন।
- Ayesha Khandkar

হরতাল সফল করায় নগরবাসীর প্রতি মোবারকবাদ ও অভিনন্দন: সরকারের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই মীর কাসেম আলীকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে----মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক ৩১ আগষ্ট’১৬ঃ  সকল বাঁধা-প্রতিবন্ধকতা ও সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে সরকারী হত্যাচেষ্টরা ষড়যন্ত্র বাতিল করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আহুত সকাল-সন্ধ্যার হরতাল কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করায় সকল স্তরের নগরবাসীর প্রতি মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। 

এক বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, সরকার দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে ফ্যাসীবাদী ও একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্যই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের হত্যার আত্মঘাতি খেলায় মেতে উঠেছে। দেশকে নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য একের পর এক বরেণ্য জাতীয় নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে । দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যখন গুণীজনদের প্রয়োজন, তখন সরকারের হীন দলীয় মনোবৃত্তির কারণেই গুণীজনদের হত্যার মহড়া প্রদর্শন করা হচ্ছে।

আর সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, সমাজসেবক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে ফ্যাসীবাদী ও জুলমবাজ সরকার। কিন্তু সচেতন ও ইসলামপ্রিয় জনতা সরকারের সে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, মীর কাসেম আলী বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতির অগ্রসৈনিক। তিনি সফল ও সার্থকভাবে প্রমাণ করেছেন যে, সুদবিহীন অর্থব্যবস্থায় মানবজাতির জন্য কল্যাণকর। সর্বোপরি তিনি সমাজসেবায়ও গণমানুষের মনের মনিকোটায় স্থান করে নিয়েছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রভূতসংখ্যক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তিনি দেশকে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু ফ্যাসীবাদী সরকার তার মেধা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বাকাতর হয়ে কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে দলীয় প্রসিকিউশন, সাজানো সাক্ষী ও পাতানো বাদীর মধ্যেমে একজন বরেণ্য জাতীয় নেতাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেছে। যা দেশের প্রচলিত আইন, সংবিধান, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।

তিনি আরও বলেন, সরকারের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই মীর কাসেম আলীকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। কিন্তু সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। ফ্যাসীবাদী সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে গোটা দেশেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মীর কাসেম আলীর মুক্তির দাবিতে আহুত শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল ও সার্থক করেছে। তিনি জনগণের শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচীতে সরকারের বাধাদানের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ডাদেশ বাতিল করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং হরতাল কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করায় নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানান।

গুমের সঙ্গে জড়িতরা রেহাই পাবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  তিনি বলেছেন, 'অপহরণ বা তুলে নিয়ে যাওয়া জাতিসংঘের ঘোষণায় ঘৃণ্যতম অপরাধ। আজকে বাংলাদেশে যারা এই ঘৃণ্যতম অপরাধ করছেন, তারা যদি মনে করে থাকেন, তারা রেহাই পেয়ে যাবেন- এটা ভুল।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'তারা কেউই রেহাই পাবেন না। একদিন না একদিন জনগনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন অবশ্য এই ঘৃণ্যতম অপরাধের জন্য দায়ী তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।'

মঙ্গলবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ 'জংলি' রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'একদিকে ভয়াবহ জঙ্গিবাদ ও আগ্রাসন, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদের আক্রমণ এদেশকে পুরোপুরি জংলি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।'

তিনি বলেন, 'একটা জঙ্গলের মধ্যে যেন বাস করছি আমরা। এখানে মনে হয় যে, চতুর্দিকে পশু। এজন্য আসুন আমাদের প্রিয় দেশ ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করবার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।'

দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার 'সরকারি চক্রান্তে'র সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'যারা জিয়াকে অস্বীকার করবেন, তারা স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করবেন।'

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, 'আজকে গণতন্ত্র নেই বলে রাজনীতি নেই। যে রাজনীতি আছে সেটা একদলীয় একটি অপরাজনীতি। এটা সুষ্ঠু রাজনীতি নয়।'

নিখোঁজ হওয়া পরিবারের মধ্যে সাবেক সাংসদ হুমায়ুন কবীর পারভেজের স্ত্রী শাহনাজ আখতার, ছাত্রদলের আদনান চৌধুরীর বাবা রুহুল আমিন চৌধুরী, নাজমুল ইসলামের স্ত্রী সাবেরা নাজমুল, নিজামউদ্দিন আহমেদ মুন্নার বাবা শামসুদ্দিন আহমেদ, সেলিম রেজা পিন্টুর বোন মুন্নী আখতার, খালেদ হাসান সোহেলের শিশুপুত্র আরিয়ান, চঞ্চল আহমেদের শিশুপুত্র আহাদ, সেলিম শাহিনের শিশুপুত্র আফতাব আহমেদ, পারভেজ হোসেনের শিশুকন্যা হৃদি হোসেন তাদের স্বজনদের ফিরে পাওয়ার আর্তি জানান।

সভায় 'ধানের শীষ' পত্রিকার সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ান্থ 'অনন্ত অপেক্ষা...' নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। এতে ২০০৯-২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নিখোঁজ বা গুম হওয়া দলের নেতাকর্মীদের পরিচয় তুলে ধরা হয়।

নিখোঁজ ছেলেকে ছাড়া সিদ্ধান্ত দেবেন না মীর কাসেম

বাংলঅদেশ বার্তা ডেস্কঃ  কাশিমপুর কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মীর কাসেমের স্ত্রী
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে তার পরিবারের শিশুসহ ৯ সদস্য দেখা করেছেন। এসময় তারা কারাগারে এক ঘণ্টা সময় কাটান। বুধবার দুপুর আড়াইটায় তারা কারাগারে প্রবেশ করেন এবং ৩টা ৪০ মিনিটে কারাগার থেকে বের হন।
কাশিমপুর কে›ন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের মধ্যে রয়েছেন স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন, কন্যা সুমাইয়া রাবেয়া, তাহেরা তাসনিম, পুত্রবধূ সাহেদা তাহমিদা, তাহমিনা আক্তার, ভাতিজা হাসান জামান খান ও পরিবারের তিন শিশু।
এসময় সাংবাদিকরা তাদের সাক্ষাতের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে মীর কাসেমের স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, আমার এক ছেলেকে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। ছেলেকে খুঁজে পাওয়া গেলে তার সঙ্গে কথা বলে উনি (মীর কাসেম) সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকালে মীর কাসেম আলীকে রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। রায় শোনার পর মীর কাসেমকে কিছুটা চিন্তিত এবং বিমর্ষ দেখায়। তার চেহারায় উদ্বিগ্নতার ছাপ দেখা গেছে। কারাগার সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, প্রাণভিক্ষার জন্য যে সময় তিনি চেয়েছেন সে ব্যাপারটি আইনগত ভাবেই দেখা হবে। তার এ সময় চাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। 
এর আগে মঙ্গলবার সকালে তিনি কারাগারে তার কাছে থাকা রেডিওর মাধ্যমে রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায় শুনেছিলেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এসে পৌঁছে দেওয়া হয়। রাত অনেক বেশি হওয়ায় রাতে মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শোনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে রায় পড়ে শোনানো হয়।
৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কে›ন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। গ্রেফতারের পর ২০১২ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে তিনি এ কারাগারে হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়।
উৎসঃ banglatribune

আমার ছোট্ট প্রশ্নঃ জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী বছরে ট্যাক্স দিতেন কতো ?


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  মীর কাসেম আলীকে নিয়ে মিডিয়ার আগ্রহের শেষ নাই । তিনি নাকি জামায়াতে মুল অর্থ দাতা, কোটি কোটি টাকার মালিক । তার অর্থের কারনে নাকি খোদ আমেরিকাও নড়া চড়া করে, এমনি ধারনা দেয় আমাদের মিডিয়া । এনিয়ে মীর কাসেমের মেয়ের জামাই সাইফুল ইসলাম ফেসবুকে কিছু লিখেছেন । চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল আমেরিকায় উচ্চশিক্ষায় রত । তিনি লিখেছেন, 
"মীর কাসেম আলির হাজার কোটি টাকা..."। " মীর কাসেম বিচার বন্ধ করার জন্য কয়েক মিলিওন ডলার দিয়েছে আমেরিকাকে..." । আরো কত নিউজ !! আহা উনি যদি কিছু টাকা আমেরিকায় উনার মেয়েকে দিতো । বেচারা ২ বাচ্চা নিয়ে এক বেড রুমের বাসায় গাদাগাদি করে থাকে । আরেক মেয়ে মালয়েশিয়াই পার্ট টাইম চাকরি করে নিজের পড়াশুনা চালায় । ২ ছেলের কোথা শুনলে সাংবাদিকদের মিথ্যুক না বলে আমাদেরকেই মিথ্যুক বলবে । আর ২ দিন পর মারা যাবে, এখনও হাজার কোটির টাকাটা কোথায় মীর কাসেম আলি ফ্যামিলি কে জানাছে না । নিশ্চয় মৃত্যুর পর সেই টাকা নিয়ে কোন প্লান আছে !
২০০৮ এ সুইডেনে মেয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন মীর কাসেম আলি । তখন উনার আরও রমরমা অবস্থা। এখন সরকারে ভয়ে টাকা পয়সা কোথাও লুকিয়ে রেখেছে হয়ত কিন্তু তখন তো তার দল ক্ষমতায় ! অথচ তার মেয়ের বাসায় তখন খাট নাই । এক বড় ভাই, হাসান ভাই, এর বাসা থেকে একটি ছোট বিছানার ব্যবস্থা করলাম। হাসি মুখে উনি কষ্ট করে থাকল । আমি মনে মনে বললাম, মেয়ের এই অবস্থা দেখে এবার কিছু পাবো । যাওয়ার সময় বুকে জড়িয়ে ধরে বলে, " মিয়া, সৎ ভাবে কষ্ট করে থাকার মাঝেই আনন্দ" । গত বছর আমার মেয়ে, তুবা, ইশারা-ইঙ্গিতে বলছিল, তার Disney Land যাওয়ার শখ । সে যেহেতু বুঝে এটা বাবার জন্য কষ্ট হবে, তাই সরাসরি বলে না কিন্তু বাবার জন্য তো ইশারাই যথেষ্ট । বাকিটা ম্যানেজ করেছি । Took her to Disney last year। যে বাবার হাজার কোটি টাকা কিন্তু ছেলে মেয়েরা কষ্ট করে জীবন কাটায় । এটা কি ধরনের মানুষ !
অপেক্ষা একটা কম্পনের। সেটা মানুষ সৃষ্টি হোক অথবা প্রাকৃতিক হোক, সেটা অবশ্যই হবে । মিথ্যা, অবিচার, জুলুম, নির্যাতনের উপর নির্মিত সমাজ either বিনির্মিত হবে অথবা ভেঙ্গে পরবে । আমাদের কান্না এবং কষ্টের দিন শেষ । আমরা জুলুমের শেষ পর্যায়ে। আমাদের মানসিক প্রশান্তির অনেক কিছু আছে, আছে কোরআনের পাতায় পাতায় সান্ত্বনা । আছে অনেক মানুষের নিঃস্বার্থ ভালবাসা । ধৈর্যর বিনময়ে পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা । কিন্তু তাদের কিছুই পাওয়ার নাই । তোমাদের কান্না/হতাশা শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি । আর থাকবেনা কোন মানসিক প্রশান্তি । জ্বলো প্রতিহিংসার আগুনে, জ্বলতে থাকো প্রতিনিয়ত-প্রতিক্ষন ।। সংগৃহীত

মাওলানা আবদুল আউয়াল, তার দুই পুত্র ও শিবিরের ৪ জন কর্মীসহ অধ্যাপক ইউনুস আলীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদ


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লা উত্তর সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, তার দুই পুত্র ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪ জন কর্মীকে গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত ১টায় তার বাসা থেকে এবং ২৯ আগস্ট সকালে নাটোর জেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক ইউনুস আলীকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ আজ ২৯ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করার উদ্দেশ্যেই পুলিশ কুমিল্লা উত্তর সাংগঠনিক জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবদুল আউয়ালকে ও তার দুই পুত্র এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪ জন কর্মীকে ও নাটোর জেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক ইউনুস আলীকে অন্যয়ভাবে গ্রেফতার করেছে। 

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা ব্যতীত পুলিশের মাওলানা আবদুল আউয়াল ও তার দুইপুত্র এবং ছাত্রশিবিরের ৪ জন কর্মীকে ও নাটোর জেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক ইউনুস আলীকে গ্রেফতার করার আর কোন কারণ নেই। স্বৈরাচারী সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা সকল সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সারা দেশেই সরকার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

কুমিল্লা উত্তর সাংগঠনিক জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল ও নাটোর জেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক ইউনুস আলীসহ সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

মিথ্যা অভিযোগে সাজা দেয়া হয়েছে- খন্দকার মাহবুব

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, মিথ্যা অভিযোগে সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, মীর কাসেম একজন সমাজসেবক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল, ব্যাংক, গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তী সময়ে যদি দেখা যায়, এ সাজা সঠিক হয়নি, তাহলে কী হবে?’
মীর কাসেম আলীর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সকাল ৯টা ৪ মিনিটে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ রায়ের বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, কিশোর জসিম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জসিম হত্যায় তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে কোনো প্রমাণ নেই। সাক্ষীরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাতে মীর কাসেম আলী সরাসরি জড়িত ছিলেন, এ ধরনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

খন্দকার মাহবুব বলেন, সাক্ষীরা জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালত অসহায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত এ আইন তৈরি করা হয়েছিল ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য। কিন্তু এ আইনে বাংলাদেশের নিরাপরাধ নাগরিকদের বিচার করা হচ্ছে।

জাফলংয়ে আওয়ামী নেত্রীর বাড়িতে জঙ্গী আস্তানা : অস্ত্র উদ্ধার আটক ১


সিলেটের জাফলংয়ে কথিত আদিবাসী ও স্থানীয় এমপির আশীর্বাদপুষ্ট আওয়ামী নেত্রী নেরুলা থেনসন-এর বাড়ি জঙ্গীদের আস্তানা। অভিযান করতে গিয়ে পাল্টা হামলায় আহত হয়েছে পুলিশ। একঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর এ জঙ্গী আস্তানা থেকে একজনকে আটক ও কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৯আগস্ট) ভোররাত ৩টায় এ অভিযান চালায় সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তবর্তী জাফলংয়ের আদিবাসী আওয়ামী নেত্রী নেরুলা থ্যানসনের বাড়িতে উপজাতি জঙ্গীরা অবস্থান করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ৩টায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় জঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে অনবরত গুলি ছুড়তে থাকলে পুলিশও পাল্টা ১৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। প্র্য়া একঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর জঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ স্ট্যালিন তারিয়ান নামের এক উপজাতি জঙ্গীকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে তার সঙ্গী আরে ৪/৫জঙ্গী পালিয়ে যায়। অভিযানকালে জঙ্গীদের গুলিতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেনসহ ৮পুলিশ আহত হয়েছেন। আটক উপজাতি যুবক স্ট্যালিন তারিয়ানের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউজায় বলে জানা গেছে।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেরোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযানকালে নেরুলা থ্যাসনের বাড়ি থেকে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ২টি পিস্তল,১টি কাটা রাইফেল,১টি পাইপগান,১৫ রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হযেছে বলে জানান তিনি।

বিডিটুডে নেট

জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে হত্যা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আহুত সকাল-সন্ধা হরতালের সমর্থনে চান্দগাঁও জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

বাংলাদেশ বার্ত ডেস্কঃ বাংরাদেশ জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আহুত দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে চান্দগাঁও থানা জামায়াতের উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।
৩১ আগষ্ট ২০১৬ই. বুধবার চান্দগাঁও জামায়াত নেতা আবু জাওয়াদের নেতৃত্বে বাংরাদেশ জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আহুত দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে চান্দগাঁও থানা জামায়াতের উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে মুহাম্মদ ইবনে হোসাইন, আবু ইসমাম, আবু নাহিদ, মহানগর ছাত্রনেতা এরশাদুল্লাহ, সাইফুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। 
সমাবেশে বক্তারা ক্রমাগতভাবে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে বিচারিক হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের বিচারিক হত্যা ষড়যন্ত্র বন্ধকরে, প্রতহিংসার রাজনীতি পরিহার করে বাংলাদেশের একজন সফল শিল্প উদ্যোক্তা, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালনকারী, সন্ত্রাস দূর্নীতিমুক্ত, ক্ষুধা ও দারিদ্রমূক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম নেতা  মীর কাসেম আলীসহ কারাবন্দী সকল জামায়াত নেতাকর্মীকে অনতি বিলম্বে মুক্তিদানের আহবান জানান।

Bangladesh: Halt imminent execution of Mir Quasem Ali after unfair trial


The Bangladesh authorities must halt the imminent execution of a senior political leader who has been sentenced to death following a deeply flawed trial, Amnesty International said today.

“The people of Bangladesh deserve justice for crimes committed during the War of Independence. The continued use of the death penalty will not achieve this. It only serves to inflame domestic tensions and further divide a society riven by violence,” said Champa Patel, Amnesty International’s South Asia Director.

The Bangladesh Supreme Court today upheld the conviction and death sentence against Mir Quasem Ali, a key financier of the Jamaat-e-Islami party, after rejecting his review appeal. It follows an International Crimes Tribunal (ICT) judgement – a Bangladeshi court examining war crimes during Bangladesh’s 1971 War of Independence – that found Mir Quasem Ali guilty of committing crimes against humanity in November 2014.

Last week a group of UN experts urged the Bangladeshi government to annul the death sentence against Mir Quasem Ali and grant him a retrial, noting how the proceedings had reportedly been “marred” by “irregularities”. 

Amnesty International and other leading human rights organization have raised serious fair trial concerns about the ICT proceedings. These include denying defence lawyers adequate time to prepare their cases, and arbitrarily limiting the number of witnesses they could call on.

“The ICT proceedings have been marred by fair trial issues from the start. The death penalty is a cruel and irreversible punishment that will only compound the injustice of the proceedings. Those who suffered through the horrific events of 1971 deserve better than a flawed process. All executions must be halted immediately as a first step towards abolition of this punishment,” said Champa Patel.

The organisation also fears for the fate of Mir Ahmed Bin Quasem, Quasem Ali’s son and a member of his legal defence team. Mir Ahmed Bin Quasem was arrested without a warrant by men in plainclothes on 9 August. He has been held incommunicado ever since, and has not been charged with any crime.

“On the International Day of the Disappeared, the Bangladesh’s authorities must promptly, thoroughly, and effectively investigate the enforced disappearance of Mir Ahmed Bin Quasem,” said Champa Patel.

Background
The ICT is a Bangladeshi court set up by the Government in 2010 to investigate mass scale human rights violations committed during the Bangladeshi 1971 Independence War. Amnesty International welcomed the Government’s move to bring those responsible to justice, but insisted that the accused should receive fair trials without recourse to the death penalty. The proceedings of the Tribunal in previous cases were marked with severe irregularities and violations of the right to a fair trial.

Five people sentenced to death by the ICT have so far been executed since 2013. In 2016, Amnesty International has recorded a total of eight executions in Bangladesh, including the hanging on 10 May of Motiur Rahman Nizami who had been sentenced to death by the ICT.

Amnesty International opposes the death penalty in all cases without exception regardless of the nature or circumstances of the crime; guilt, innocence or other characteristics of the individual; or the method used by the state to carry out the execution. The organization campaigns for total abolition of capital punishment.

http://goo.gl/LjYpDE

মীর কা‌শেম আলীর আল্লাহর দরবা‌রে হা‌জিরা ------‌গোলাম মওলা র‌নি


মীর কাসেমের ২টি অভ্যাস নিয়ে আমরা হাসা হাসি করতাম। প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সে একেক সেট পোশাক পরতেন। আমরা চার ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করতে গিয়ে দেখতাম প্রতিবারই তিনি পোশাক পরিবর্তন করে আসতেন। মামুন ছিলো দারুন মুখপোড়া প্রকৃতির- বলতেন কেন চার বেলা পোশাক পরিবর্তন করেন ? তিনি বলতেন - ৪ বেলা নয় - আমি তো ৫ বেলা পোশাক পরিবর্তন করি। একজন রাজা বাদশাহ বা সম্মানীত লোকের দরবারে আমরা যেমন পরিপাটি নতুন পোশাকে হাজির হই- তেমনি আল্লাহর দরবারে হাজির হতে গিয়ে আমি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় পোশাক পরিবতর্ন করি।

পোশাক পরিবর্তন ছাড়াও তার আরেকটি অভ্যাস ছিলো প্রতি বিকেলে নীচে নেমে সকলের সঙ্গে সালাম বিনিময় ও করমর্দন করা। আমাদের সেলের প্রধান গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি রাস্তায় চলাচলকারী আসামী এবং অন্য সেলের কয়েদীদের সঙ্গে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। আসামীদের মধ্যে কিলার আব্বাস সহ বেশ কয়েকজনের বাড়ী ছিলো মিরপুরে। তিনি তাদের সঙ্গে একটু বেশী আন্তরিকতা দেখাতেন। মামুন টিপ্পনি কাটতেন - স্যার মিরপুর থেকে ইলেকশন করবেন তো ! তাই জেলে বসে সব কিছু ঠিক ঠাক করছেন। তিনি শান্ত শিষ্ট ভঙ্গিতে সিরিয়াস হয়ে উত্তর দিতেন- আরে নাহ;কোন ইলেকশন না । আমি প্রতিবেশীর হক আদায় করার চেষ্টা করছি।

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬

রামপালের বিরোধীতা করায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

সুন্দুরবনের রামপাল প্রকল্পের বিরোধীতা করে ফেসবুকে স্টাটাস দেয়ায় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ নিজু।
গত ২৭ আগস্ট কলেজ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মো:জুয়েল রানা স্বাক্ষরিত বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের প্যাডে লেখা হয় “বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ অাহমেদ নিজুকে সংগঠন বিরোধী কাজে জড়িত থাকায় বহিষ্কার করা হল”।
সেখানে কোনো কারণ লেখা না থাকলেও একটি সূত্রে জানা গেছে নিজু তার ফেসবুক আইডিতে রামপালের বিরোধীতা করে একটি স্টাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন “সুন্দরবনে বাঘ না থাকলে ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশের বিড়ালের সাথে লড়াই করবে?”। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তারা এই নেতার বহিষ্কার দাবি করেন।
তবে এভাবে প্রেস রিলজ দিয়ে বহিষ্কারের নিয়ম না থাকলেও গঠনতন্ত্র ভেঙ্গে নিজুকে বহিষ্কার করায় অনেকেই তা নিয়ে সমালোচনা করেছেন।

বুধাবার দেশব্যাপী জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক ৩০ আগষ্ট’১৬ঃ  আগামীকাল বুধবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা (সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা) শান্তিপূর্ণ হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি ও দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে এ হরতাল ডাক দেয়া হয়েছে বলে দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের এম. আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। 

তবে এ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ী, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, হজ্জ্বযাত্রীদের বহনকারী যানবাহন ও সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

মীর কাসেম আলীঃ এক স্বপ্নদ্রষ্টার প্রতিচ্ছবি... -ব্লগার পুস্পিতা


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক ৩০ আগষ্ট’১৬ঃ  চে গুয়েভারার বলিভিয়ান ডায়েরি আমি পেয়েছিলাম হঠাৎ করেই। কলেজ শিক্ষিকা এক আত্মীয়ের টেবিলে দেখে নিয়ে এসেছিলাম। তার আদর্শ ও কৌশলের সাথে একমত না হয়েও বলা যায় আদর্শের প্রতি তার একাগ্রতা, তা প্রতিষ্ঠার জন্য কঠিন সংগ্রাম সাম্প্রতিক সময়ে আসলেই বিরল। কিউবা বিপ্লবের পর চে চাইলে খুব সুখেই জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু ওই যে বিপ্লব রক্তে ঢুকে গিয়েছিল, তা তাকে কিউবাতে স্থির থাকতে দেয়নি। বলিভিয়ায় ছুটে গিয়েছিলেন আরেক বিপ্লবের উদ্দেশ্য। সফল হননি। সেখানে চে আটক হলেন। জীবন মৃত্যুর ব্যবধান এক সুতো। সিআইএ এজেন্টের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে চুপ থাকলেও সর্বশেষ যখন প্রশ্ন করা হলো, এখন কি ভাবছেন? তখন উত্তর না দিয়ে পারেন নি। বলেছিলেন, "ভাবছি- বিপ্লবের মৃত্যু নেই।"

মীর কাসেম আলী। তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি জানতাম না। জানার চেষ্টা করেছি। যা বুঝেছি তা হলো আধুনিক বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লবের ব্যাতিক্রমী এক স্বপ্নদ্রষ্টা। আমার রিয়েলাইজেশন সম্পূর্ণ ঠিক নাও হতে পারে। তবে বাংলাদেশে যারা ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেন তাদেরকে শুধুমাত্র রাজনীতি, ওয়াজ মাহফিলের ভিতর সীমাবদ্ধ না রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য, সমাজসেবা, শিক্ষা, মিডিয়া, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ইত্যাদির ভিতর নিয়ে এসে সবকিছুকে ইসলামের আলোকে সাজানোর এক প্রবল বাসনা আছে মীর কাসেম আলী ও তার সমমনাদের।

সফলও হয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতির ক্ষেত্রে নূতন এক ডাইমেনশান সৃষ্টি করেছে। একবার পড়েছিলাম, তুরস্কের নাজমুদ্দীন আরবাকান সবসময় বলতেন, "Turkey is in her way back to Islam" তিনি কাজ শুরু করেছিলেন একটা কফি হাউস দিয়ে। সেটা ছিল এক নতুন কৌশল, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ইস্তাম্বুলে ঐ ক্যাফেটা এখনও আধুনিক তুরস্কের ইসলামী আন্দোলনের সুতিকাগার হিসেবে পরিচিত। তাকে একবার তার বন্ধু প্রশ্ন করেছিলেন- নাজমুদ্দীন, একটা ফুল দিয়ে আপনি কিভাবে বসন্ত আনবেন? তিনি বলেছিলেন- বসীর, বসন্ত শুরু হয় দুই একটা ফুল ফোটার মধ্য দিয়ে। দেখবেন, তূর্কীতে আবার ইসলামি হুকুমাত আসবেই আসবে। 

তিনিই প্রথম বলেছিলেন, "যদি এখনই চাও ইসলামি হুকুমাত কায়েম করতে তাহলে আমরা ব্যর্থ হব। কারণ তখন আমাদের শত্রুরা ভেতর ও বাইরের সব দিক থেকে আঘাত হানবে। আসুন আমরা প্রথমে নিজেদেরকে ইসলামের খাটি অনুসারী করে তুলি, আর দুই একটা করে ইসলামের সৌন্দর্য সমাজে ফুটিয়ে তুলি। আসুন আমরা মানুষকে বুঝাই ইসলামি জীবন বিধানের প্রায়োগিক দিক গুলো। ব্যবসা করে শিখাই 'ইহাই ইসলামী ব্যবসা নীতি'।" দেখা গেল আধুনিক তুরস্কের ব্যবসা বাণিজ্য তার লোকদের হাতেই এসে গেল। তিনি বলেছিলেন, 'স্কুল-মাদ্রাসা বানিয়ে আসুন সবাইকে দেখিয়ে দিই ইসলামী শিক্ষা কাকে বলে'। ফলে এমন কোন গ্রাম আজ তুরস্কে নেই যেখানে আরবাকানদের প্রতিষ্ঠিত স্কুল নেই এবং মানের দিক দিয়ে সেগুলো সব চেয়ে ভাল স্কুল। সেখান থেকে পাস করে অন্ততঃ ইসলাম বিদ্বেষী কেউ হচ্ছে না।

মীর কাসেম আলীরা হয়তো সেই কৌশলই নেয়া শুরু করেছিলেন। গতানুগতিক ধর্মীয় ওয়াজের বিপরীতে সর্বস্তরের মানুষের বোধগম্য ভাষায় কুরআনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার কার্যকর পন্থা নিয়েছিলেন মাওলানা সাঈদী। তিনিও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের হাতে আটক। ব্যবসা-বাণিজ্যকে ইসলামীকরণের ব্যাতিক্রমী পন্থায় কাজ শুরু করেছিলেন মীর কাসেম আলী। এখন তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার নামের নাটকে শিকার তিনিও। অনেক কুসংস্কারের বিপরীতে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে মৌলিক ইসলামের আলো ছড়ানোর পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। তিনিও প্রতিহিংসার শিকার। আর বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতির দিকপালদের তো কারাগারে ঢুকানো হয়েছেই।

যাদের আটক করা হয়েছে তারা সবাই বিদেশে চাইলে খুব ভাল ভাবেই উন্নত জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু ওই যে ইসলামী বিপ্লবের চেতনা রক্তে ঢুকে গিয়েছে সেই চেতনা তাদের দেশ ত্যাগ করতে দেয়নি। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা তাদের চুড়ান্ত আঘাত হানা শুরু করেছে। এ অবস্থায় কি আলোর পথে চলা বন্ধ হয়ে যাবে? না বন্ধ হতে পারেনা। বিভিন্ন দেশে এসব কঠিন পথ পাড়ি দিয়েই বিজয় এসেছে। এখানেও আসবে...
মীর কাসেম আলীর একটি বক্তব্য শুনতে এখানে ক্লিক করুর

মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ করে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখায় শিবিরের প্রতিক্রিয়া


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  মীর কাসেম আলী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার-ছাত্রশিবির
প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইবুনালে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে প্রহসন মূলক রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখাকে ন্যায়ভ্রষ্ট উল্লেখ করে বিবৃতি প্রদান করেছে ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার মীর কাসেম আলী। তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় নির্ধারিত ছকে প্রহসনের রায় দিয়েছিল প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইবুনাল। এই রায় ন্যায় বিচারের ইতিহাসকে করেছিল কলঙ্কিত। জনগণ আশা করেছিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানেও জাতিকে অবিচারের নমুনা দেখতে হলো। এই রায়ে ন্যায় বিচারের প্রতিফলন হয়নি বলে মনে করে জনগণ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলা, সাক্ষী ও তদন্ত সব ছিল বানোয়াট। চট্টগ্রামের যে ঘটনার সাথে তাকে জড়ানো হয়েছে তার সাথে মীর কাসেম আলীর কোন সম্পর্ক নেই। তিনি সে সময় ঢাকায় ছিলেন। তাছাড়া তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং রাষ্ট্রপক্ষের দাখিলকৃত তথ্য প্রমানাদি এবং সে সময়ে দৈনিক আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় মীর কাসেম আলীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রকাশ সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণ করে তিনি সে সময় ঢাকায় ছিলেন।
মীর কাসেম আলীর পক্ষে চট্টগ্রামের দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষী দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৭ সালে জন্ম নেয়া সাক্ষী আর মিথ্যাচারকে পুঁজি করে এ মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্য রাষ্ট্রপক্ষকে বলেছিলেন যে ‘আপনাদের ডকুমেন্টেই রয়েছে, ঘটনার সময় মীর কাসেম আলী ঢাকায় ছিলেন’। তার কথায় রেশ ধরে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, যে এর পর আর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগের ঘটনার বিবরণে ভিন্নতা ও তথ্যে অসংলগ্নতা ছিল স্পষ্ট। তারপরও কিভাবে তার মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা যায় তা বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষের প্রশ্ন। কোন বিশেষ মহলকে খুশি করতেই এই রায় বহাল রাখা হয়েছে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সামান্যতম বিবেচনা বোধ সম্পন্ন মানুষ এ রায় মেনে নিতে পারেনা।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রাজনৈতিক কারণে বার বার ন্যায় বিচার থেকে একজন নিরপরাধ মানুষকে বঞ্চিত করা চরম অমনাবিকতা। ন্যায় বিচার পাওয়ার সর্বশেষ জায়গা থেকেও ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়া জাতির জন্য চরম দূর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু নয়। যা জনগণকে বিচার বিভাগের উপর আস্থাহীন করে তুলবে। আমরা সরকারকে এ অপরাজনীতি ও বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ করে মীর কাসেম আলীসহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।

জনাব মীর কাসেম আলীকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের নিন্দা ও প্রতিবাদঃ ৩১ আগস্ট সারা দেশে শান্তিপূর্ণ হরতাল -ডা: শফিকুর রহমান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য বিশিষ্ট ইসলামী অর্থনীতিবিদ, সমাজ সেবক এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জনাব মীর কাসেম আলীকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনিসহ আটক সকল জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচী ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান আজ ৩০ আগস্ট,২০১৬ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ- 

“সরকার পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে একের পর এক হত্যা করছে। সরকারের সেই ষড়যন্ত্রের শিকার জনাব মীর কাসেম আলী। সরকার তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগে জনাব মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে নিজেদের দলীয় লোকদের দ্বারা আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।

মাননীয় আদালত সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় সাজানো সাক্ষীর ভিত্তিতে আজ ৩০ আগস্ট তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের রায় ঘোষণা করেছেন। এ রায়ে তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। 

জনাব মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে সরকারের আনীত অভিযোগের সাথে তার কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতাও নেই। সরকার পক্ষ আদালতে জনাব মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে যে সব ডকুমেন্ট দাখিল করেছেন সেখানে জনাব মীর কাসেম আলীর নাম নেই। অভিযোগে ঘটনার স্থান, সময় এবং যে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সরকারের দাখিল করা ডকুমেণ্ট অনুযায়ী ঐ সময়ে জনাব মীর কাসেম আলী ঐ স্থানে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি তখন ঢাকায় ছিলেন। জনাব মীর কাসেম আলী তার ঢাকায় অবস্থানের প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেছেন। তাতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে, অভিযোগ সংঘটিত হওয়ার সময়ে জনাব মীর কাসেম আলী ঢাকায় ছিলেন, চট্টগ্রামে ছিলেন না। চট্টগ্রামের ঘটনাস্থলে তার অনুপস্থিতির প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও সরকার পক্ষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করিয়ে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার ব্যবস্থা করেছে। জনগণ সরকারের দায়ের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার রায় গ্রহণ করেনি। 

সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে যে প্রহসনের আয়োজন করেছে দেশে-বিদেশে তার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাগণ বিভিন্ন সময়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের লক্ষ্য করে যে বক্তব্য রেখেছেন তা আদালতের ওপর এক নগ্ন চাপ সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছু নয় বলে দেশের জনগণ মনে করে। সরকারের প্রভাবে জনাব মীর কাসেম আলী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে তার পরিবার-পরিজন মনে করেন। ট্রাইবুনালের বিচার থেকে শুরু করে রিভিউ পর্যন্ত এ মামলার বিভিন্ন স্তরে সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বিচারকে প্রভাবিত করার জন্য অবাঞ্ছিত ভূমিকা পালন করা হয়েছে। সরকারের এ ভূমিকা বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। দেশবাসী অবগত আছেন যে, সরকারী পৃষ্ঠপোকতায় শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ স্থাপিত হওয়ার পর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ‘সমাবেশের দাবি বিবেচনায় নিয়ে রায় দেয়ার’ জন্য বিচারপতিদের প্রতি আহ্বান জানান। মাননীয় আপীল বিভাগের রায়ের পূর্বে সরকারের দুইজন মন্ত্রী জনাব মীর কাসেম আলীর মামলা নিয়ে বেআইনী বক্তব্য দিয়েছিলেন। সে জন্য মাননীয় আদালত তাদের শাস্তি দিয়েছিলেন। 

জনাব মীর কাসেম আলীকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও তিনিসহ জামায়াতের আটক সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ৩১ আগস্ট বুধবার সারা দেশে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করছি। 

ঘোষিত এ কর্মসূচী সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা এবং কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ ও পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তথা দেশের আপামর জনতার প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।” 

বিঃ দ্রঃ এ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ী, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, হজ্জ্বযাত্রীদের বহনকারী যানবাহন ও সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।

মীর কাসেমের রিভিউ খারিজ, মৃত্যুদণ্ড বহাল

স্টাফ রিপোর্টার,টাইম নিউজ বিডি, ৩০ আগস্ট, ২০১৬ ০৯:১১:৫৮: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে আপিলে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মীর কাসেমের করা আবেদনের ওপর রবিবার (২৮ আগস্ট) উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়। ওই দিনই ৩০ আগস্ট মামলাটির রায়ের দিন নির্ধারণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আসামিপক্ষে রিভিউ শুনানিতে অংশ নেন মীর কাসেমের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। শুনানিতে মীর কাসেমের ফাঁসির দণ্ড পুনর্বিবেচনা চান তিনি। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার আর্জি জানান।
মীর কাসেম আলীর মামলাটি গত ২৫ জুলাই রিভিউ শুনানির জন্য উঠেছিল। ওই দিন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন দুই মাস সময়ের জন্য আবেদন করলে আদালত এক মাস সময় মঞ্জুর করে ২৪ আগস্ট শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
সেদিন মীর কাসেমের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন পুনরায় সময় আবেদন করলে তা নাকচ করে দেন আদালত। ওই দিন রিভিউ আবেদনের ওপর প্রথম দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। কিছুক্ষণ শুনানির পর ২৮ আগস্ট পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন আদালত। সে অনুযায়ী রবিবার (২৮ আগস্ট) রিভিউ আবেদনটি আবার শুনানির জন্য ওঠে। আর সেদিনই উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৩০ আগস্ট রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
গত ১৯ জুন মীর কাসেম আলী আপিলে মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। ৮৬ পৃষ্ঠার আবেদনে ১৪টি যুক্তি দেখিয়ে ফাঁসির দণ্ড থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন তিনি। ওই আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করতে ২১ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করে তা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন রাজধানীর মতিঝিলে তার মালিকানাধীন দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় জামায়াতের এই ব্যবসায়ী নেতাকে। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে মীর কাসেম সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন। গত ৮ মার্চ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। তবে ট্রাইব্যুনাল দু’টি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিলেও আপিল বিভাগ একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
মীর কাসেমের বিরুদ্ধে আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে তার আপিল আংশিক মঞ্জুর করে ৪, ৬ ও ১২ নম্বর অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর ২, ৩, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আপিল নাকচ করে ট্রাইব্যুনালের রায়ই বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগ থেকে এই জামায়াত নেতা মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি পেলেও ১১ নম্বর অভিযোগ সর্বোচ্চ সাজাই বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ৬ জুন এই আপিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনাল থেকে লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠায় ট্রাইব্যুনাল। সেই মৃত্যু পরোয়ানা মীর কাসেম আলীকে পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ।
আইন অনুযায়ী, রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে তা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করার সুযোগ ছিল মীর কাসেমের সামনে। সেই অনুযায়ী ১৯ জুন তিনি রিভিউ আবেদন করেন। রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়াতে আর কোনো আইনি প্রতিকার তার থাকল না।
সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। সেই আবেদন গৃহীত না হলে সরকারের নির্বাহী আদেশে কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ড কার্যকর করবে।
মীর কাসেম আলী ষষ্ঠ ব্যক্তি যিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে আপিলেও চূড়ান্তভাবে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন। এর আগে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না------খন্দকার মাহবুব


মীর কাসেম আলীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আমরা আদালতে বলেছি, এই মামলায় যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ দেয়া হয়েছে, তাতে দেখা যায়, কোনো সাক্ষী বলেনি যে, মীর কাসেম সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ যেসব সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়েছে তাতে প্রমাণ হয় না যে তিনি অপরাধ করেছেন। আর সরাসরি অপরাধের সঙ্গে জড়িত না থাকায় কারণে তার গুরুদণ্ড তথা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না। 

আজ আপিল বিভাগে শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টবার ভবনের সভাপতির কক্ষের সামনে এক ব্রিফিংয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন এ কথা বলেন। 

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আপিল বিভাগ বলেছে, সরাসরি কোনো প্রমাণ পাওয়া না যায়, তাহলে ওই সময়ে প্রকাশিত বই-পত্র ছিল, তা পর্যালোচনা করে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে। জবাবে আমরা বলেছি, জসীমের মামাতো বোন হিসেবে দাবি করেছেন প্রসিকিউশনের ১৭ নম্বর সাক্ষী। তিনি একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই পত্রিকায় জসীমের কথা বলেননি। প্রসিকিউশন থেকে আরেকটা বই দেয়া হয়েছে। সেটা হলো অ্যাডভোকেট শফিউল আলমের লেখা একটি দীর্ঘ বই। সেখানেও জসীমের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কোনো কিছু বলা হয়নি।

আরেকটা রিসার্চ পেপার চিটাগাং থেকে দেয়া হয়েছে, সেখানে জসীম কিভাবে কোথায় মারা গেছে, তার হদিস দেয়া হয়নি। মীর কাসেম আলী কিভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, এটাও দেখানো হয়নি। যে সাক্ষ্য প্রমাণ আছে, অন্তত এই অভিযোগের জন্য তার অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। তারপরও যদি আপনারা মনে করেন, অপরাধ প্রমাণ হয়েছে, তাহলে আমাদের নিবেদন থাকবে, যেহেতু মীর কাসেম আলী এই হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রিন্সিপাল অফেন্ডার হিসেবে প্রমাণ হয়নি। সেক্ষেত্রে তাকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া আইনগতভাবে উচিত হবে না। 

মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সময় আসামির চরিত্র দেখা হয়। মীর কাসেম আলী বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সেবার সেক্ষেত্রে ইবনে সিনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাসপাতাল করেছেন। এইভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি একটি টিভি চ্যানেলের কর্তা ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড জড়িত ছিলেন। এই আসামির মনে যদি বিন্দুমাত্র কোনো আশঙ্কা থাকতো, তাহলে এই মামলার যখন তদন্ত চলছিলো, ওনি বিদেশে গিয়েছেন, ফিরে আসতেন না। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। 

এই সব কিছু বিবেচনা করে, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত হবে না।

শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬

হিজাব পরতে পারবে তুরস্কের মহিলা পুলিশরা

আজ (২৭ আগষ্ট) তুরস্কের মহিলা পুলিশদের জন্য কর্মস্থলে হিজাব পরার বৈধতা সম্বলিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তুরস্ক সরকার। সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তুরস্কের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে এরদোয়ান সরকার কর্তৃক প্রণীত ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়া’র অংশ হিসেবে আজ এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের মিডিয়াগুলো। এই গেজেট প্রকাশের ফলে পুলিশ সেক্টরে কর্মরত নারীদের জন্য হিজাব পরে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে সরকারী বাধা দূরীভুত হলো।
এ সংক্রান্ত জারি করা এক আদেশে বলা হয়েছে যে, “মহিলা পুলিশের সদস্যরা তাদের পুলিশি ড্রেসের রংয়ের সাথে মিলিয়ে মুখ খোলা রেখে হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরিধান করতে পারবে”। উল্লেখ্য, শতকরা নিরান্নব্বই ভাগ মুসলমান অধ্যূষিত তুরস্কে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বোরকা ও হেডস্কার্ফ পরিধানের নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। 
এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন একে পার্টি ক্ষমতায় আসার পর সর্বপ্রথম ২০০৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারীতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে হিজাব পরে ক্লাশ ও পরীক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে জাতীয় সংসদে এক বিল পাশ করা হয়। বিলটি ৫১৮ আসন বিশিষ্ট সংসদে ৪১১-১০৩ ভোটে পাশ হলে তুরস্কের ইসলাম প্রিয় নারীদের জন্য এক নব যুগের সুচনা হয়। তারপর ২০১৩ সালে সরকারী অফিস আদালতে হিজাব পরে কাজ করা ও পাবলিক সেক্টরে হিজাব পরে চলাফেরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আরেকটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তুরস্ক সরকার।
গত ১৫ জুলাই ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর গৃহীত সেনা সংস্কার আইনের আওতায় সেনাবাহীনির অফিসারদের স্ত্রীদের হিজাব পরে জনসাধারণের সামনে চলাফেরার নিষেধাজ্ঞাও রহিত করা হয়েছিল। সর্বশেষ, আজ মহিলা পুলিশদের হিজাব পরে ডিউটি পালনের অনুমতি প্রদান সম্বলিত আদেশ জারির মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে নারীদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার পথ আরকেটু উন্মুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন তুরস্কের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 
উইকিপিডিয়ায় প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১৯২৩ সাল থেকে তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের উদ্যোগে ইউরোপীয় করণের নামে তুরস্কের মাটি থেকে ইসলাম নির্মুলের সর্বাত্মক প্রক্রিয়া শুরু হলেও তখনো পর্যন্ত সংবিধানে ‘ইসলাম’ই রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল ছিল। তারপর ১৯২৮ সালে 'ইসলাম'কে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বাদ দেয়া হলেও ‘ধর্ম নিরপেক্ষতাকে তখনো স্থলাভিষিক্ত করা হয়নি। ১৯৩৭ সালে সংবিধানের এক সংশোধনীর মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে ধর্মীয় পোশাক পরে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের ক্ষেত্রে কোন আইনী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি এবং পুরুষদের ‘তুরবান’ বা বিশেষ পাগড়ি পরার ক্ষেত্রেও কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। কিন্তু রাষ্ট্র সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ায় হিজাব, বোরকা ও পাগড়ী পরে চলাফেরা করা, চাকুরি করাসহ সবক্ষেত্রে বিচরণের ক্ষেত্রে নানা বিড়ম্বনা ও অত্যাচারের শিকার হতে থাকেন ছয়শত বছরের অধিককাল স্থায়ী হওয়া উসমানী সালতানাতের রাজধানী তুরস্কের ধর্মপ্রাণ জনগণ।
শত বিড়ম্বনার পরেও ১৯৬০ ও ১৯৭০ দশকের দিকে বোরকা পরিহিত ছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ১৯৮৪ সালে বোরকা পরে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রী ও শিক্ষিকারা, অফিস-আদালত, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সকলক্ষেত্রে হিজাব পরিহিত নারীরা নানা বঞ্চনা, নির্যাতন ও রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছিলেন। এমনকি ১৯৯৯ সালে শুধুমাত্র হিজাব পরিধানের অভিযোগে মেরভে কাভাকচি নামে একজন নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছিল দেশটির তখনকার জাতীয় সংসদ। ২০০২ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন একে পার্টি সরকার গঠন করলে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে দ্রুত গতিতে। যার ধারাবাহিকতায় আজ পুলিশ সেক্টরেও নারীদের জন্য হিজাব পরার অনুমতি প্রদান করা হলো। 
সুত্র: উইকিপেডিয়া ও হাবেরলারডটকম.তেরে

শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৬

মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ: অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করুণ- হেফাজতে ইসলাম চট্রগ্রাম।


চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি নানুপুর জামিরিয়া কিন্ডারগার্ড়েনের ছাত্র-শিক্ষকদের উপর বিদআতি মাজারপূজারীদের চিহ্নিত সন্ত্রাসী কর্তৃক অতর্কিত নগ্ন হামলায় আহত হয়েছেন আল্লামা শাহ জমিরুদ্দীন (রহঃ)এর সুযোগ্য সাহেবজাদা,উক্ত মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা বেলালুদ্দীন সাহেব সহ প্রায় বিশজন ছাত্র-শিক্ষক। উক্ত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চট্রগ্রাম মহানগর হেফাজতের নেতৃবৃন্দরা বলেন, অবিলম্বে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উপর হামলাকারী বিদআতি মাজারপূজারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

নেতৃবৃন্দরা বলেন, এধরণের নগ্ন হামলাকারীরা বর্তমানে সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতিব জরুরি অন্যতায় যে কোন কঠিন প্রস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
নেতৃবৃন্দরা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে প্রাশাসনেরর প্রতি আহবান জানান। বিবৃতি দাতারা হলেন, নগর সভাপতি মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম, নগর সেক্রেটারি মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী, মাওলানা হাজী মুজাম্মেল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা কারী মুবিনুল হক, মাওলানা সুহাইল সালেহ, মাওলানা জয়নাল আবেদিন কুতুবী, মাওলানা আমিন শরীফ, মাওলানা ফয়সাল তাজ, মাওলানা আবু তাহের উসমানী, মাওলানা আ ন ম আহমদ উল্লাহ, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা ইকবাল খলিল, মাওলানা জুনাইদ জওহর, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা ওসমান কাসেমী প্রমুখ

আমান আযমীর মায়ের জিডি গৃহীত হয়নি

তিন দিন ধরে নিখোঁজ সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর মা আফিফা আযম (৮৪) লিখিত আকারে রমনা থানায় তার ছেলেকে তুলে নেয়ার বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে তার লিখিত অভিযোগটি থানা পুলিশ অফিসিয়ালি গ্রহণ করেনি। পুলিশ বলেছে, বিষয়টি তারা তদন্ত করবেন, এরপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আফিফা আযম রাজধানীর রমনা থানায় অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ নুরুজ্জামানের মাধ্যমে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে তা অফিসিয়ালি গ্রহণ না করে আবেদনের কপি রেখে তদন্ত করে দেখবেন বলে কর্তব্যরত অফিসার মৌখিকভাবে জানান। গত বুধবার রাতে লিখিত এই সাধারণ ডায়েরি নিয়ে তারা থানায় গিয়েছিলেন। সেখানে আফিফা আযম লিখেছেন, তার চতুর্থ ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে (৫৭) গত ২২ আগস্ট রাত অনুমান ৯টার সময় রমনা থানার বড় মগবাজারের ১১৯/২ কাজী অফিস লেনের বাসা থেকে ২০-৩০ জন লোক তুলে নিয়ে যায়। তারা জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করে। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এ সময় বাসার গার্ড, গৃহকর্মী ও বাসার লোকজনের ব্যবহৃত সাতটি মোবাইল, একটি ট্যাব ও সিপিওসহ আযমীকে বলপূর্বক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় তারা। বাসার নিচে গার্ড ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন বাইরে আরো ২৫-৩০ জনের একটি দল অবস্থান করছিল। আযমীকে বহনকারী গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৪-১৬৮০। বহরে ২০টির মতো গাড়ি ছিল বলে আফিফা আযম তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সর্বমোট ৫০-৬০ জনের দলের অনেকে নিজেদেরকে ডিবির পরিচয় প্রদান করে। পরে আমরা থানা ও ডিবি অফিসে খোঁজ নিলে তাহারা জানায় আমার ছেলে তাহাদের কাছে নাই। পরের দিন পত্রিকায়ও এ ধরনের আটক/নিখোঁজ খবর প্রকাশ করে।’

আফিফা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ‘আমি বৃদ্ধা মানুষ। আমার ছয় সন্তানের অন্যরা দেশের বাইরে অবস্থান করায় এই ছেলের সেবায় কোনো রকমে বেঁচে আছি। আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর অনুপস্থিতিতে আমি বিভ্রান্ত, সাথে সাথে আপনাদেরকে বিষয়টি অবহিত করতে পারিনি। এমতাবস্থায় আমার ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী নিখোঁজ থাকার বিষয়টি আপনার থানায় সাধারণ ডায়েরির অন্তর্ভুক্ত করে সন্ধান প্রদানে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।’

এ দিকে সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে গত রাত পৌনে ৮টায় রমনা থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার এসআই মাসুদ জানান, এই নামে থানায় কেউ সাধারণ ডায়েরি করেননি।

সূত্র: নয়াদিগন্ত