ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬

৬ মাস জেল খাটা চোরের মুখে এ কেমন বাক্য:- "বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেল খানায় ইসলাম কায়েম হয়ে গেছে"


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  চুম্বকের সাথে লোহা বসবাস করতে থাকলে এক সমায় লোহা চুম্বক-চুম্বক ভাব নেই, লোহা এবং চুম্বক এক সাথে রেখে কিছু দিন পরে লোহা আলাদা করলে লোহাটাই চুম্বক হয়ে যায়,কিন্তু চুম্বক কখনোই লোহা হয়না। বাংলাদেশের সমস্ত জেলখানা আজ আলেম ওলামা
হুজুর দিয়ে ভর্তী। চোর,ডাকাত ,বদমাইশ ,বেয়াদব ও হুজুর আজ একসাথেই দিন কাটাচ্ছে জেল খানাতে,কথা হচ্ছিলো ৬ মাস জেল খাটা এক চোরের সাথে, তাকে দেখলে চিনায় যাবেনা, মুখে দাড়ি মাথায় টুপি আর সব সমায় গায়ে পাঞ্জাবি, -আমি জিজ্ঞেস করলাম, ভাই তুমিনা দাড়ি টুপি পাঞ্জাবি দেখলে রাগে খিটিমিটি করতে কিন্তু এখন নিজেই হুজুর হয়ে গেলে? -জেল খাটা লোক টি উত্তর দিলো,হুজুরদের সাথে না মিশলে বুঝাই যাবেনা যে কেমন তারা। 


-তুমি চুরি করতে? কিন্তু সেটা ছেড়ে দিলে? -হ্যাঁ,জেলখানার ভিতরে ওয়াদা করেছিলাম আর চুরি করবোনা, তাই ওটা ছেড়ে দিয়েছি।
-তুমি নামাজি হলে কিভাবে?
-যখন জেলখানায় ছিলাম আযান হলে জামায়াত শিবিরের ভাইয়েরা নামাজে ডেকে নিয়ে যেত, কোন ভাবেই শিবিরের ভাইদের এড়িয়ে চলতে পারিনি, কি মিল ছিল আমাদের, এখনো ভুলতে পারিনি সেই সব ভাইদের কথা, যারা নিজে না খেয়ে আমাদের খোজ নিত, মনে হচ্ছে আরও কিছুদিন থেকে আসি।
-জেলখানার ভিতরে কি কি শিখেছো?
-কুরআন তেলাওয়াত শিখেছি সমস্ত মাসলা মাসয়ালা শিখেছি এমনকি ওয়াজ করতে পারি কুরআন হাদিসের দারস দিতেও শিখে
ফেলেছি।
-আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে শিখলে এত কিছু?
-৬ মাসে প্রত্যেক দিন সকালে ফজরের নামাজ বাদ জামায়াত ইসলামের হুজুররা ওয়াজ করতো, কুরআন হাদিসের কথা বলতো আর বিকাল মক্তব পড়তে হত। সেখানে আরবি কায়দা থেকে আম্পারা পরে কুরআন শিখেছি।
-আচ্ছা ভাই যারা জেল খানায় আছে তারা কোন দল সাপোর্ট করে?
-যতদূর বুঝলাম শতকরা ৯৯% লোক জামায়াত শিবির ভক্ত হয়ে গেছে। বাদ বাকি ১% অমুসলিম তারাও জামায়াত ইসলাম ভালবেসে ফেলেছে।
-সব মিলিয়ে জেলখানার অবস্থা কেমন?
-সব মিলিয়ে ৯৫% ইসলাম জেলখানায় কায়েম হয়ে গেছে।জামায়াত শিবিরের সহযোগিতার কারনে। আযানের সমায় যখন আযান হতো "হায়্যেয়ালাছ ছলাহ" তখন সবাই উর্ধ গতিতে ছুটে যেত নামাজের স্থানে, জান্নাতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গেছে জেলখানায়, একজন আরেকজনের সাথে দেখা হলে সালাম মুসাফাহা কুলাকুলি হাসাহাসি আর কত মিল মহাব্বত।
ভুলতে পারিনি জেলখানার ৬ মাসের জান্নাতি দিন গুলোর কথা.জামায়াত শিবিরের ভাইদের সাথে মিশার কারনে সত্যিকারের
ইসলাম বুঝার তাওফিক হলো। সাথে সাথে রাজাকার ভাইদের চিনে ফেল্লাম, আমি তার কথা শুলে অসাড় হয়ে গেলাম.আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতে লাগলাম। এতক্ষণ কি শুনলাম এইসব।
বাংলাদেশে ইসলাম কায়েমের আর বেশি দেরি নাই।
জেল থেকেই সূত্রপাত হয়ে আসছে এক টু ধর্য্য আর এক টু অপেক্ষা।...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন