ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬

যশোরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত সন্তানের সন্ধান দাবী করে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  গত ৪ আগষ্ট যশোর থেকে কলেজ ছাত্রকে আটকের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের আদালতে হাজির না করায় উদ্ধেগ প্রকাশ ও অনতিবিলম্বে তার সন্ধান দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
আজ দুপুরে রাজধানীর এক রেষ্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গ্রেপ্তারকৃত রেজুয়ানের মা সেলিনা বেগম। তিনি বলেন, গত ৪ আগষ্ট দুপুর ১২টায় বেনাপোল পোর্ট সংলগ্ন দূর্গাপুর বাজার থেকে কোন কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয় আমাদের সন্তান রেজুয়ানকে। খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে। এর পর থেকে আমরা বার বার আইনশৃঙ্খলা বাহীনির দারস্থ হচ্ছি। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার কোন খোঁজ বা আদালতে তোলেনি পুলিশ। উল্টো রহস্যজনক ভাবে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ তাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকান কর্মচারী, মালিকসহ অসংখ্য মানুষের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানতে পেরেছি আমাদের সন্তান পুলিশ হেফাজতেই আছে। একজন নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে অস্বীকার করা এবং এতদিন হয়ে গেলেও আদালতে না উঠানোয় এলাকাবাসীসহ সবাই বিস্মিত এবং উদ্ভিগ্ন। এটা কোন ভাবেই দায়িত্বশীল পুলিশের কাজ হতে পারেনা বরং তা সরাসরি প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন। স্বয়ং পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার ও দ্বীর্ঘ দিন পর্যন্ত তাকে আদালতে না তোলায় আমাদের মনে নান শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি যশোরে এমন ভাবে দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার করে পরে রাতের আঁধারে পায়ে গুলি করেছে পুলিশ। যা আমাদের উদ্ধেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে দেশে গুম হত্যা চলছে। যার শিকার হচ্ছেন মূলত নিরপরাধ ছাত্ররা। এর আগে বহু ছাত্রকে আটকে পর আটকের নির্মম নির্যাতন করে আদালতে উঠানো হয়েছে। কাউকে আবার গভীর রাতে বন্দুক যুদ্ধের নাটক সাজিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা তার জীবন নিয়ে শঙ্কাবোধ করছি। আমাদের জানা মতে, সে কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয়। এর পরও সে যদি কোন অপরাধ করেও থাকে, তাহলে এর জন্য দেশের আইন মেনেই বিচার হওয়ার কথা। কিন্তু পুলিশ তা করছে না। স্বয়ং পুলিশই যদি বেআইনি ও অমানবিক কাজ করে তাহলে আমরা যাব কোথায়?
তিনি বলেন, আমরা আইন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পবিত্র দায়িত্ব পদপৃষ্ট করবেন না। পুলিশের কাছে আমার সন্তানের নিরাপত্তা দাবি করছি। আমাদের আকুল আবেদন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সন্তানকে যেন আদালতে উপস্থাপন করেন। সে যেন নির্যাতন বা কোন ভাবে বিচার বহি:র্ভূত হত্যার শিকার না হয়। আমাদের সন্তান যদি সত্যিই কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাকে আদালতে বিচারের সম্মুখীন করা হোক। আমরা জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে আমাদের সন্তানদের আইনের আশ্রয় পাবার অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। যদি সরকার আমাদের সন্তানদের জীবন নিয়ে কোনো নাটক সাজানোর চেষ্টা করে তাহলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কাছে আমরা আমাদের অভিযোগ পেশ করতে বাধ্য হবো।
তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সন্তানের সন্ধান ও আদালতে সোপর্দ করার দাবি জানিয়ে বলেন, দয়া করে আমাদের আদরের সন্তানকে আমাদের বুকে ফিরিয়ে দিন। বাবা- মায়ের আকুতি পদদলিত করবেন না। তিনি তার ছেলের সন্ধানের জন্য সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন