ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১৬

পুলিশের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নিন্দাঃ পুলিশ হেফাজতে থাকা মাওলানা ইদরিস আলীকে হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জামায়াতে ইসলামী


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ১২ আগস্ট ২০১৬, শুক্রবার, আজ ১২ আগস্ট ভোরে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ড উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা ইদরিস আলীকে পুলিশের নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ১২আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা ইদরিস আলীকে পুলিশ আটক করার ৮ দিন পরে নৃশংসভাবে হত্যা করে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে যে, সে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। পুলিশের এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই। 
গত ৪ আগস্ট ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা ইদরিস আলীকে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যায় এবং গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করতে থাকে। ৯ আগস্ট তার পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তার সন্ধান ও মুক্তির দাবী জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ তা গ্রাহ্য করেনি। আজ ১২ আগস্ট হরিণাকুন্ড সদরের জোড়পুকুরিয়া এলাকার রাস্তার পাশ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে যে, সে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। মাওলানা ইদরিস আলী মাদ্রাসার শিক্ষক ও মহিষ গাড়ী জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। 
তাকে তুলে নিয়ে ৮ দিন আটক রেখে হত্যা করে পুলিশ দেশের আইন, সংবিধান ও মানবাধিকার চরমভাবে লংঘন করেছে। ঝিনাইদহ জেলায় ইতোপূর্বেও জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের বহুসংখ্যক নেতা ও কর্মীকে পুলিশ হত্যা করেছে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধরে ধরে হত্যা করছে এবং গুম করছে। শুধু তাই নয় পুলিশ নিরাপরাধ লোকদের ধরে থানায় ও পুলিশ ক্যাম্পে আটক রেখে লোকদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করছে। আইন-শৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ সব অপকর্মের দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। 
পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাওলানা ইদরিস আলীকে হত্যা করার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 
নিহত মাওলানা ইদরিস আলীকে শহীদ হিসাবে কবুল করার জন্য আমি মহান আল্লাহর দরবারে বিনয় অবনত চিত্তে দোয়া করছি এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে দোয়া করছি, আল্লাহ তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন