বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক নিউজঃ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ঘোষিত- বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ- নীতিমালা মেনে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম শহর থেকে তাদের সকল একাডেমিক কার্যক্রম গুটিয়ে আগষ্টের শুরুতে নিজস্ব ক্যাম্পাসে ছাত্র এবং ছাত্রীদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার প্রথম সপ্তাহেই সড়ক দূর্ঘটনায় এক ছাত্রীর মর্মান্তি মৃত্যু ঘটেছে। বিশ্বদ্যিালয় সংশ্লিষ্টার বলছেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম-এর ২৪ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।
জানা যায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম স্থাপনকালে কুমিরা ক্যাম্পাসে একপাশে ছাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা একটি একাডেমিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীকালে ছাত্রী অভিভাবক ও ছাত্রীদের প্রবল দাবীর কারণে ছাত্রীদের শিক্ষাগ্রহণ সহজ ও নিরাপদ করার লক্ষে শহরের চান্দগাঁও এলাকায় বহুতল বিশিষ্ট একাডেমিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করে সেখানে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম মেয়েদের শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্চিলেন।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ঘোষিত সকল নীতি যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
ইতোপূর্বে অন-অনুমোদিত ক্যাম্পাস বন্ধ করার নোটিশ দিলে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূর্বহতে ভর্তিকৃত ছাত্রদের ক্লাস এখানে সমাপ্ত করার আবদন করে এবং নতুন ভর্তিকৃত সকল ক্লাস কুমিরা ক্যাম্পাসে করার আবদন করে। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ শহর থেকে যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম গুটিয়ে কুমিরায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর ওয়েবসাইটে সমস্যগ্রস্ত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের নামের পাশে স্টার(*) মার্ক দিলে নানা সমস্যায় পড়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। স্টার(*)মার্কের কারণে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চতর শিক্ষা নিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে, সনদ ব্যবহার করে বিভিন্ন চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছিল বলে জানাজানি হলে, গত রমজানের শেষ দিকে তাদের এসকল সমস্যা সমাধানের দাবীতে শহরের লিয়াজোঁ অফিসে আন্দোলনে নামে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করে একাডেমিক কার্যক্রম স্তগিত করে।
ঈদে েছুটির পর ছাত্রদের সাথে ছাত্রীরাও তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আন্দোলনে নামে ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বোর্ড
অব ট্রাস্টীজ হতে শুরু করে ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তা এমনকি অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রী প্রতিনিধিদের সাথেও সমস্যা সমাধানের জন্য মতবিনিময় সভা করে এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন্
পরবর্তীতে আদালত কর্তৃক দারুল ইহসান নামক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করলে, ইউজিসিও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামও বিপাকে পড়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ঘোষিত নীতি মেনে আগষ্টের শুরুতেই শহরের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে কুমিরার নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়।
ইউজিসির শর্ত মেনে শহর থেকে একাডেমিক কার্যক্রম কুমিরা ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের প্রথম সপ্তাহেই সড়ক দূর্ঘটনায় আইআইইউসির ১ছাত্রীর মৃত্যু ঘটলো।
ছাত্রী এবং অবিভাবকদের দাবী মেয়েদের দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে কুমিরা ক্যাম্পাসে না নিলে এই ধরণে দূর্ঘটনা আর প্রাণহানির ঘটনা ঘটতো না। তাদের দাবী আজকের এই দূর্ঘটনার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন শহরে মেয়েদের একাডেমিক কার্য্ক্রম চালানোর অনুমতি দানের বিষয়টি পূনঃবিবেচনা করে দেখবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন