বাংলঅদেশ বার্তা ডেস্কঃ কাশিমপুর কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মীর কাসেমের স্ত্রী
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে তার পরিবারের শিশুসহ ৯ সদস্য দেখা করেছেন। এসময় তারা কারাগারে এক ঘণ্টা সময় কাটান। বুধবার দুপুর আড়াইটায় তারা কারাগারে প্রবেশ করেন এবং ৩টা ৪০ মিনিটে কারাগার থেকে বের হন।
কাশিমপুর কে›ন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের মধ্যে রয়েছেন স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন, কন্যা সুমাইয়া রাবেয়া, তাহেরা তাসনিম, পুত্রবধূ সাহেদা তাহমিদা, তাহমিনা আক্তার, ভাতিজা হাসান জামান খান ও পরিবারের তিন শিশু।
এসময় সাংবাদিকরা তাদের সাক্ষাতের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে মীর কাসেমের স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, আমার এক ছেলেকে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। ছেলেকে খুঁজে পাওয়া গেলে তার সঙ্গে কথা বলে উনি (মীর কাসেম) সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকালে মীর কাসেম আলীকে রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। রায় শোনার পর মীর কাসেমকে কিছুটা চিন্তিত এবং বিমর্ষ দেখায়। তার চেহারায় উদ্বিগ্নতার ছাপ দেখা গেছে। কারাগার সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, প্রাণভিক্ষার জন্য যে সময় তিনি চেয়েছেন সে ব্যাপারটি আইনগত ভাবেই দেখা হবে। তার এ সময় চাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে তিনি কারাগারে তার কাছে থাকা রেডিওর মাধ্যমে রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায় শুনেছিলেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এসে পৌঁছে দেওয়া হয়। রাত অনেক বেশি হওয়ায় রাতে মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শোনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে রায় পড়ে শোনানো হয়।
৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কে›ন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। গ্রেফতারের পর ২০১২ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে তিনি এ কারাগারে হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়।
উৎসঃ banglatribune
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন