বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক ০৩ আগষ্ট ২০১৬; জেলার সরকারি চরফ্যাশন কলেজে কমিটি গঠনের জের ও আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্র লীগের দুই গ্রুপে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে কম পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে ক্যাম্পাস দুই গ্রুপের অস্ত্র নিয়ে মহড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বেশ কিছু দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
অভিযোগ রয়েছে কলেজ ছাত্র লীগের দুই গ্রুপের পেছনে সেল্টার দাতারা হচ্ছেন উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি ইউছুফ হোসেন ঈমন ও সাবেক স্বেচ্ছাসেক লীগ সভাপতি সোলায়মান।
সংঘর্ষের বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ দুলাল জানান, এটা কলেজের কোন বিষয় নয়। ছাত্র লীগের দুই গ্রুপের বিষয় ছিল। তবে এদের এমন সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য কলেজের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটে। এজন্য একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, আধিপত্ত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। পুলিশের অভিযানে ক্যাম্পস এলাকা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৭টি কিরিস (পাতলা রামদা), বেশ কিছু লোহার রড উদ্ধার করা হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেউ আটক করা হয়নি।
কলেজ সূত্র জানায় গত ৬ ডিসেম্বর সম্মেলন ও গোপন ব্যালটের ভোটে কলেজ ছাত্র লীগের কমিটি গঠন হয়। ওই সময় শিপন সভাপতি. আমিনুল সম্পাদক নির্বাচিত হয়। এরা হচ্ছে সোলায়মান গ্রুপের।
অপরদিকে ঈমনের গ্রুপের রাফি ও ছোটন মুন্সি পরাজিত হয়। একমিটিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব গত কিছু দিন ধরেই চলছে। একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হলে প্রতিদিন উভয় গ্রুপই ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়ার চেস্টা করে।
মঙ্গলবার রাফি ও ছোটন বহিরাগত স্কুল ও মাদ্রসার ছাত্রদের নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে এমন প্রচারণা চালায়। এসময় শিপন তাদের বাধা দেয়। এনিয়েই তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধিনরা হচ্ছে নাহিদ, জোবায়ের, মনির, রাকিব, জোবার হোসেন।
এদিকে সংঘর্ষে দ্বিতীয় বর্ষেও ছাত্র নাঈমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালে শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ এণ্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরির্পোট বিকেল ৬টায় লেখা পর্যন্ত এলাকায় ধমধমে অবস্থা বিরাজ করছিল। আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্ক করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বাংলামেইল২৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন