ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬

পায়ে গুলিবিদ্ধ মাহবুবের অবাক তাকিয়ে থাকা...


গত দু'দিন ধরে একটা চাহনী আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো না। সে তাকিয়ে ছিলো সামনে দাড়ানো পুলিশদের দিকে। মাটিতে পড়ে আছে, পাঁচ ছয়জন পুলিশের তান্ডবের মাঝখানে পড়ে এক পায়ের জুতা হারিয়ে গেছে। অন্য পায়ের জুতা খুলে যায়নি। ছয়বার গুলি করা হয়েছে ঐ পায়ে, পা থেকে রক্ত বেরুনো শুরু হয়েছে মাত্র।

তাকে রিকশা থেকে টেনে নামিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে কয়েকজন। এরা দেখতে তার মতোই মানুষ। অন্য কোন জাতির বা দেশের না। ওদের গায়ে পুলিশের ভারী পোশাক, হাতে বিভিন্নরকম অস্ত্র। নামিয়েই পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেছে একের পর এক ছয় বার। ধাম ধাম ধাম ধাম ধাম ধাম। 

শরীরের ভেতর গুলী প্রবেশ করার সাথে সাথে অনুভব করা যায় না। কেবল একটা ধাক্কা লাগে, বিবশ একটা অনুভব হয়। পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ড পর ব্যাথা শুরু হয়। মাহবুব গুলী খাওয়ার পরও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে পুলিশের দিকে। হয়তো সে বুঝতে পারেনি কি হয়ে গিয়েছে। অথবা হয়তো বুঝতে পেরেছে, কিন্তু ব্যাথাকে ছাপিয়ে গিয়েছে আশ্চর্য। বিশ্বাস করতে পারছে না সে, যেসব ঘটনার কথা শুনে আসছিলো তা তার সাথেই ঘটে গিয়েছে। 

সামনে অনেক কাজ পড়ে আছে। অনেক ঝামেলা। যারা তাকে গুলী করেছে তাদেরকেই ধাপে ধাপে কমপক্ষে ষাট-সত্তর হাজার টাকা দিতে হবে রিমান্ড আর হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য। জেলখানায় টাকা দিতে হবে, আদালতে টাকা দিতে হবে। টাকা দিতে হবে হাসপাতালে। পা টা কেটে ফেলতে হতে পারে। ভাগ্য ভালো হলে প্যারালাইজড বা অক্ষম হওয়ার উপর দিয়েও সেরে যেতে পারে। পঙ্গু হতে হবে হয়তো বাকী জীবনের জন্য। ছোট বাচ্চা আর স্ত্রী নিয়ে সংসারটাকে প্রচুর ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

তাতে এই দেশের, এই তথাকথিত মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কিছু আসে যায় না। মানবাধিকার এখানে কৌতুক, গায়ের জোরই শেষ কথা। গুলী খাওয়ার পর মাহবুবের মাথায় এতো কিছু ভাবার সময় তখনও হয়নি। তবে সে যেভাবে তাকিয়ে আছে আমি নিশ্চিত, ঘটনাটা তখনো সে বিশ্বাস করে উঠতে পারেনি। হয়তো অবাক হয়ে সে ভাবছে এ মানুষগুলো এভাবে তাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে কেন। কিসের এতো রাগ? কি তার অপরাধ? ব্যাথা আর ভোগান্তিকে পেছনে ফেলে আশ্চর্য স্থবিরতার এ চাউনি গত দুদিন যাবত আমাকে শান্তি দিচ্ছে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন