ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬

দেশ প্রেমিকরা কেউ কি জিবিত আছেন? থাকলে নিম্নের পোষ্টটি পড়ুন?



রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্মাণ মোট ব্যয়ের 70% বিদেশী ব্যাংক থেকে ঋণ আনা হবে। ওই ঋনের সমস্ত সুদ বহন করবে বাংলাদেশ। বাকি 30% ব্যয়ের 15% বহন করবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বৈদ্যুতিক প্রতিষ্ঠান পিডিবি এবং 15% ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি।
.
প্রকল্পের লাভ ভাগ হবে ঠিক সমান হারে!
50% বাংলাদেশ, বাকি 50% ভারতীয় এনটিপিসি!

প্রকল্প কোনও রকম আর্থিক ঝুঁকির মুখোমুখি হলে সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি বহন করবে বাংলাদেশ!!
আপনার জন্য একটা ছোট্ট কুইজ, 70% ঋণ আমাদের কোন দেশ দেবে??
.
হিসাবটা খুব সহজ, 85% ব্যয় ও সমস্ত আর্থিক ঝুঁকি বহন করে বাংলাদেশের লাভের পরিমাণ (যদি আদৌ হয়) 50%, আর 15% ব্যয় ও কোনও রূপ আর্থিক ঝুঁকির ভাগিদার না হয়েই ভারতীয় এনটিপিসি'র লাভের পরিমাণ 50%!
সবাই বলুন মারহাবা
.
আর হ্যাঁ আপনি কুইজের সঠিক উত্তর দিতে পেরেছেন।আমরা পার্শ্ববর্তী বন্ধুদেশ থেকেই ঋণ নিচ্ছি
.
হিসাব এখনও শেষ হয় নি।
বালাদেশী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপ দেশে তিনটি পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করছে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে সরকার বিদ্যুৎ কিনবে 4 টাকা প্রতি ইউনিট ও খুলনার লবণচড়া এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্ল্যান্ট থেকে 3.80 টাকা দরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনা হবে। অথচ রামপাল থেকে একই কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আমরা কিনবো 8.85 টাকা দরে!!!!
দ্বিগুণেরও মাত্র বেশি কিছু টাকা।
আবারও বলুন মারহাবা
.
মেরা দোস্ত, পিকচার আভি ভি বাকি হ্যায়!
রামপালে প্রয়োজনীয় সমস্ত কয়লা আমদানি করা হবে বন্ধুদেশ থেকে।
টেনশন নিবেন না, চুক্তিও কমপ্লিট।
টন প্রতি দাম পড়বে মাত্র 145 ডলার!
প্রতিদিন লাগবে মাত্র 13000+ টন কয়লা।
বিশ্ববাজারে কয়লার টন প্রতি দামটা জানতে চান??
কোয়ালিটি অনুযায়ী সর্বোচ্চ 50- 80 ডলারের কাছাকাছি।
এবং আবারও বলুন মারহাবা
.
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যদি 20 ঘণ্টা করে 30 বছর চালু থাকে এবং ইউনিট প্রতি 4.85 টাকা আর্থিক ক্ষতি ধরা হয় কেবল তাহলেই অঙ্কটা দাঁড়াবে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা!!!
পরিবেশগত ও অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কথা বাদই দিলাম।
সূত্র: ১.জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট
২.বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট
৩.বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ওয়েবসাইট
৪.বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট
৫.ওরিয়ন গ্রুপ
৬.এনটিপিসি ওয়ে সাইট, ভারত
৭.অর্থ মন্ত্রণালয়।

কেন এই অসম চুক্তি করা হচ্ছে জবাব চাই দিতে হবে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন