জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ড কার্যকরের কার্যক্রম স্থগিতের আহবান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গত মঙ্গলবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ আহবান জানায় এ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি।
অ্যামনেস্টি অভিযোগ করে বলে, অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ কার্যক্রমের মাধ্যমে মীর কাসেমের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তার আসন্ন ফাঁসির কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে।
‘বাংলাদেশ: হল্ট ইমিনেন্ট এক্সিকিউশন অব মীর কাশেম আলী আফটার আনফেয়ার ট্রায়াল’ অর্থাৎ ‘বাংলাদেশ: অন্যায় বিচারের পর মীর কাশেম আলীর আসন্ন ফাঁসি কার্যক্রম স্থগিত কর’ শিরোনামে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক চম্পা পাটেল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য বাংলাদেশের মানুষ বিচার পাওয়ার যোগ্য। মৃত্যুদন্ডের অব্যাহত ব্যবহারের মাধ্যমে সেটা অর্জন হবে না। এভাবে ফাঁসি কার্যকর কেবল অভ্যন্তরীণ উত্তেজনাকে উদ্দীপ্ত করবে এবং দ্বিখন্ডের মাধ্যমে একটি সমাজকে আরও বিভক্ত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদন্ড বাতিল করে পুনরায় তার বিচার শুরু করার আহবান জানায়। তার বিচার প্রক্রিয়ায় কিভাবে অব্যাহত অনিয়ম করা হয়েছে তা তুলে ধরেন তারা।
পাটেল বলেন, শুরু থেকেই বিচার প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু বিচার বিষয়টিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। মৃত্যুদন্ড একটি নিষ্ঠুর ও অপূরণীয় শাস্তি। যা কেবল বিচার প্রক্রিয়ায় অবিচারের মিশ্রন ঘটাবে। ১৯৭১ সালে যারা নৃশংসতার শিকার তারা ত্রুটিপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়ার চেয়ে ভাল কিছু প্রাপ্য। এই শাস্তির উচ্ছেদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে সমস্ত মৃত্যুদন্ড কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে।
সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়া মীর কাশেম আলীর ছেলে মীর আহমেদ বিন কাশেমের পরিণতি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি। গত ৯ আগস্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই তাকে আহমেদ কাশেমকে আটক করা হয় বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চম্পা বলেন, আন্তর্জাতিক গুম দিবসে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবিলম্বে, পুঙ্খানুপুঙ্খ মীর কাশেম আলীর জোরপূর্বক গুমের তদন্ত করতে হবে।
সূত্র জানতে এই লিংকে ক্লিক করুর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন