ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

হরতাল সফল করায় নগরবাসীর প্রতি মোবারকবাদ ও অভিনন্দন: সরকারের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই মীর কাসেম আলীকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে----মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক ৩১ আগষ্ট’১৬ঃ  সকল বাঁধা-প্রতিবন্ধকতা ও সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে সরকারী হত্যাচেষ্টরা ষড়যন্ত্র বাতিল করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আহুত সকাল-সন্ধ্যার হরতাল কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করায় সকল স্তরের নগরবাসীর প্রতি মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। 

এক বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, সরকার দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে ফ্যাসীবাদী ও একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্যই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের হত্যার আত্মঘাতি খেলায় মেতে উঠেছে। দেশকে নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য একের পর এক বরেণ্য জাতীয় নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে । দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যখন গুণীজনদের প্রয়োজন, তখন সরকারের হীন দলীয় মনোবৃত্তির কারণেই গুণীজনদের হত্যার মহড়া প্রদর্শন করা হচ্ছে।

আর সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, সমাজসেবক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে ফ্যাসীবাদী ও জুলমবাজ সরকার। কিন্তু সচেতন ও ইসলামপ্রিয় জনতা সরকারের সে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, মীর কাসেম আলী বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতির অগ্রসৈনিক। তিনি সফল ও সার্থকভাবে প্রমাণ করেছেন যে, সুদবিহীন অর্থব্যবস্থায় মানবজাতির জন্য কল্যাণকর। সর্বোপরি তিনি সমাজসেবায়ও গণমানুষের মনের মনিকোটায় স্থান করে নিয়েছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রভূতসংখ্যক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তিনি দেশকে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু ফ্যাসীবাদী সরকার তার মেধা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বাকাতর হয়ে কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে দলীয় প্রসিকিউশন, সাজানো সাক্ষী ও পাতানো বাদীর মধ্যেমে একজন বরেণ্য জাতীয় নেতাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেছে। যা দেশের প্রচলিত আইন, সংবিধান, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।

তিনি আরও বলেন, সরকারের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই মীর কাসেম আলীকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। কিন্তু সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। ফ্যাসীবাদী সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে গোটা দেশেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মীর কাসেম আলীর মুক্তির দাবিতে আহুত শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল ও সার্থক করেছে। তিনি জনগণের শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচীতে সরকারের বাধাদানের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ডাদেশ বাতিল করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং হরতাল কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করায় নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন