বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, মিথ্যা অভিযোগে সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, মীর কাসেম একজন সমাজসেবক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল, ব্যাংক, গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তী সময়ে যদি দেখা যায়, এ সাজা সঠিক হয়নি, তাহলে কী হবে?’
মীর কাসেম আলীর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সকাল ৯টা ৪ মিনিটে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ রায়ের বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, কিশোর জসিম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জসিম হত্যায় তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে কোনো প্রমাণ নেই। সাক্ষীরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাতে মীর কাসেম আলী সরাসরি জড়িত ছিলেন, এ ধরনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খন্দকার মাহবুব বলেন, সাক্ষীরা জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালত অসহায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত এ আইন তৈরি করা হয়েছিল ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য। কিন্তু এ আইনে বাংলাদেশের নিরাপরাধ নাগরিকদের বিচার করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন