যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত মীর কাশেম আলীর ছেলে আইনজীবী মীর আহমেদ বিন কাশেমকে ‘অপহরণে’র ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডের বার কাউন্সিল ও বার হিউম্যানস রাইটস কমিশন(বিএইচআরসি )। গত মঙ্গলবার বার কাউন্সিলের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এক যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ আন্তর্জাতিক সংগঠনদ্বয় বিশ্বব্যাপী আইনজীবী, বিচারক ও মানবাধিকার রক্ষাকর্মীদের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে।
বিবৃতিতে জরুরিভিত্তিতে আহমেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানিয়েছে বিএইচআরসি। তাকে বিশেষ কোন অপরাধের গ্রহণযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হয় অভিযুক্ত করতে অথবা অবিলম্বে মুক্তি দিতে আহবান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মীর আহমেদ বিন কাশেম ‘অনারেবল সোসাইটি অব লিঙ্কনস ইন’ এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বারের একজন সদস্য। যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করে, মীর আহমেদ নিখোঁজের ঘটনা বিচার ব্যবস্থায় আইনজীবীরা যে ভয়াবহতা মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরছে। বাংলাদেশে আইনের শাসন হুমকির মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়।
সংগঠনদ্বয় বলছে, আইনজীবীরা ন্যায়শাসন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তারা যাতে শারীরিক হামলা ও নিপীড়নের শঙ্কা থেকে মুক্ত হয়ে গ্রাহকদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে তাদের সেই সক্ষমতা অবশ্যই থাকতে হবে।
‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এসব খবর তদন্ত করার আহবান জানাচ্ছি এবং বিষয়টি গুরুতর হওয়ায় আহমেদ কোথায় আছেন এবং তার আইনি অবস্থান প্রকাশ করার আহবান জানাচ্ছি।’
আহমেদ বিন কাশেম নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন এমন খবরে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএইচআরসি। বিশেষ করে বাবার বিরদ্ধে মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী হওয়ায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। এটাকে বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষাকর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর চলমান দমন প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও বিবৃতিতে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবোধকতা বাস্তবায়ন করতে এবং আইনজীবী, বিচারক, মানবধীকার রক্ষাকর্মীদের নিরাপত্তা শক্তিশালী করার পরিস্কার প্রস্তাব প্রদান করতে আহবান জানানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ৯ আগস্ট বাসার সামনে থেকে মি. আহমেদকে তুলে নিয়ে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। তাকে কোথায়, কারা, অথবা কোন সন্দেহে বা অভিযোগে আটকে রাখা হয়েছে তার কোন তথ্য দেয়া হয়নি। বার কাউন্সিল ডট অর্গ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন