ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৬

নোয়াখালীতে গ্রাম্যসালিশে স্কুলছাত্রীকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান


সুবর্নচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সুবর্নচরে রাবেয়া বেগম (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেদড়ক পিটিয়ে আহত করে করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্যশালিশে এ ঘটনা ঘটে। রাবেয়া উপজেলার ২নং চরবাটা ইউপির মধ্যচরবাটা গ্রামের ছায়েদুল হকের বাড়ির দিনমজুর মো. হানিফের মেয়ে। সে চরবাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় রাবেয়ার বাবা মো. হানিফ (৫০) মা খতিজা খাতুন (৪০) খালা শামছুর নাহারকে (৩৫) ও পিটিয়ে আহত করে ওই চেয়ারম্যান।
আহত রাবেয়ার বাবা মো. হানিফ জানায়, গত কয়েক মাস ধরে একই বাড়ির হাসানের পরিবারে সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলছে। এ নিয়ে হাসান গ্রাম্য সালিশে তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান পরিষদে পরিবারের সবাইকে সালিশে উপস্থিত হতে বলে। 
সালিশে উপস্থিত হওয়া মাত্রই আমাকে, আমার স্ত্রী ও শালিকাকে বেদড়ক পিটিয়ে আহত করে। ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার দিয়ে বাড়ি থেকে আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধরে নিয়ে আসে। এ সময় শত শত লোকের সামনে আমার মেয়ে রাবেয়া বেগমকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। তাদের পিটুনিতে আমার মেয়ে রাবেয়া বেগম চিত্কার করলেও স্থানীয় লোকজন চেয়ারম্যানের ভয়ে উদ্ধার করতে আসেনি। রাত ১০টার সময় চেয়ারম্যন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলে যাওয়ার পর আমি আমার মেয়ে, স্ত্রী ও শালিকাকে উদ্ধার করে চরজব্বর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করি। 
এ ঘটনায় কোন মামলা না হয় সেজন্য চেয়ারম্যান আমার পরিবারের লোকজনকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। রাবেয়ার মা খতিজা খাতুন বলেন, চেয়ারম্যানের পায়ে ধরে চিত্কার করার পরও চেয়ারম্যান আমার স্কুল পড়ুয়া ছোট মেয়েকে ছেড়ে দেয়নি। খতিজা এঘটনার সরকারের কাছে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।
সরেজমিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিচানায় কাতরাচ্ছে ১৫ বছরের কিশোরী দশম শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া বেগম। পাশে বসে বিলাপ করছে অসুস্থ মা খতিজা খাতুন। অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেউই এগিয়ে আসেনি এখন পর্যন্ত। সাংবাদিকদের দেখে রাবেয়া চিত্কার করে কেঁদে উঠে, তার কান্নায় ভারি হয়ে উঠে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ। 
সে বারবার চিত্কার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শুধু বলতে থাকে আমাকে কোন অপরাধে চেয়ারম্যান এভাবে শত শত গ্রামবাসীর সামনে পিটিয়েছে। চরবাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, সে আমার স্কুলের মানবিক শাখার ছাত্রী। তার উপর নির্যাতনের খবর আমরা শুনেছি। সে চেয়াম্যানের নির্যাতনে আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ ধরনের কোন বিচার হয়নি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন