বাংলাদেশ বার্ত ডেস্কঃ ১৩ আগষ্ট ২০১৬ঃ খুব ছোটবেলার কথা! দাদুকে বললাম, আমি আর নামাযই পড়ব না! সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত!
.দাদু হতবাক হয়ে প্রথমেই ইন্নালিল্লাহ পড়লেন! দাদু আমাকে আদর করে কোলে নিয়ে বললেন, ভাইয়া! নামাযের উপর এত রাগ কেন? এবার আমি অভিযোগের সুরে বলতে শুরু করলাম। জানেন দাদু কি হয়েছে!
.যোহরের নামায পড়তে মসজিদে গিয়েছি! রুকুতে যাবো, এমন সময় একজন আমার হাত ধরে পিছনে নিয়ে আসলেন! আর আমার জায়গায় নিজে দাড়িয়ে গেলেন! আমার খুব কস্ট লাগছে। তাই আমি আর নামাযই পড়ব না। আমার নামাযের কোন মূল্যই নাই।
.দাদু ঘটনাটা শুনে খুব কস্ট পেলেন! তারপর বললেন, এখন থেকে তুমি আমার পাশে দাড়াবে। তাহলে আর কেউ কিচ্ছু বলবে না। আমিও তাতে রাজি হয়ে গেলাম! পরের শুক্রবার জুম্মার খুতবার আগে মাইক নিয়ে দাড়িয়ে গেলেন! এতে অবাক হবার কিছু নেই। মসজিদ কমিটির সভাপতি হবার কারণে দাদুকে প্রায়ই এভাবে মাইক নিয়ে কথা বলতে হয়। দাদু বেশ কিছু ভূমিকা টেনে শিশুদের সাথে রাসূল (সঃ) এর আচরন ব্যাখ্যা করে আসল কথা বললেন! আপনারা আমাদের আগামী প্রজন্মের সঙ্গে এমন কোন ব্যবহার করবেন না যাতে তারা মসজিদে আসতে ভয় পায়! নামাযের প্রতি অনীহা সৃস্টি হয়।
.কয়েকদিন আগে এক মসজিদে জুম্মার নামায পড়লাম! সেখানে বাচ্চারা নাকি একটু হাসাহাসি করেছিল, তাতেই মসজিদের খাদেম কয়েকটা বাচ্চাকে কসা ধাপ্পড় কসালেন! ওয়াল্লাহি! আমার তখন ইচ্ছে করছিল, ঐ খাদেমের হাতটা ভেঙ্গে দেই! সেই খাদেম কি তার শৈশব ভুলে গেছে! ছোটবেলায় মসজিদে নামায পড়তে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে হাসাহাসি করেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। হয়ত ঐ খাদেমই অনেকবার এমন হাসাহাসি করেছেন। এই ধাপ্পড় খাওয়ার পর, ঐ বাচ্চারা আর কখনো মসজিদে আসার কথা সানন্দে ভাববে কিনা দৃঢ় সংশয় রয়েছে।
.আসুন না ভাই! আমরা একটু সচেতন হই। আমাদের আগামী প্রজন্মকে মসজিদে যেতে উৎসাহিত করি। তাদেরকে ধাপ্পড় দিয়ে নয়, আদর করে ভালোবেসে মসজিদের আদব কায়দা শিখিয়ে দেই। আর আপনার একটু উদার মানসিকতাই পারে, মুসলিম শিশুদেরকে মসজিদের প্রতি আকর্ষণ সৃস্টি করতে।
(কালেকশন)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন