ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬

গাজীপুর ও নড়াইলসহ সারাদেশে অন্যায়ভাবে শিবির কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী করে শিবিরের বিবৃতি প্রদান

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  গাজীপুর ও নড়াইল সহ সারাদেশে অন্যায়ভাবে শিবির কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা এবং অনতিবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী করে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে পুলিশ। গত ১২ আগষ্ট দিবাগত রাত ৩টায় কোন কারণ ছাড়াই বাসা থেকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হয় শিবির নেতা ও ফাজিল ২য় বর্ষের ছাত্র শফিকুল ইসলামকে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে। আজ ২ দিন পেরিয়ে গেলেও তাকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার বা আদালতে হাজির করছেনা পুলিশ। রহস্যজনক ভাবে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ তাকে তার খালার বাসায় পরিবারের সদস্যদের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে পুলিশ। এদিকে গতকাল গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪০ নং ওয়ার্ডের মাজুখান এলাকা থেকে মোঃ শহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম রমজান ও জাহিদ নামের চার শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা টঙ্গী কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। তাদেরকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখনো আদালতে উত্থাপন করা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন বেআইনি ও অমানবিক কাজে সারা দেশে ছাত্রদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। কোন ভাবেই পুলিশ একজন ছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির না করা এবং অস্বীকার করতে পারেনা। বিধান থাকার পরও গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার ও আদালতে না তোলায় নান শঙ্কা ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি যশোরসহ দেশের ভিবিন্ন স্থানে একই কায়দায় গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার করছে পুলিশ। সরকার ও পুলিশ নিরীহ ছাত্রদের সাথে এমন নির্মম তামাশা করে দেশে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। পুলিশের এই ধারাবাহিক বেআইনি আচরণে তার পরিবারের সাথে সাথে আমরাও গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নিরপরাধ ছাত্রদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কোন ভাবে কাম্য নয়। ছাত্রদের প্রতি এই অমানবিক ও বেআইনি আচরণে দেশবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সরকার ও পুলিশের এই অপকর্মের উদ্দেশ্য দেশবাসীর কাছে পরিস্কার। সুতরাং শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পর গুম করে রেখে কোন ষড়যন্ত্র সফল হবেনা এবং তাকে নিয়ে নিয়ে কোন প্রকার নাটক বা তার সামান্যতম ক্ষতি ছাত্রশিবির মেনে নিবে না। অবিলম্বে আমরা শিবির নেতা শফিকুল ইসলাম সহ গ্রেপ্তারকৃতদের অবস্থান নিশ্চিত ও আদালতে হাজিরের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন