ঢাকার নিউজ-০৬ মার্চ ২০১৫: দেশে নতুন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমতি না দিয়ে চালু স্টেশনগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এরকম একটি প্রস্তাব তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন। সরকারও এরকম চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।
আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের হলরুমে চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে শিল্পমন্ত্রী একথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, অপচয়রোধে সব ধরণের পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন। গ্যাসের অপচয়ের কারণে মজুদ কমে আসছে। বিদেশের মতো বাসা-বাড়িতে সিলিন্ডার দিয়ে গ্যাস ব্যবহার করলে অপচয় কমবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, কোটি টাকা দিয়ে প্রাইভেট কার কিনে কম পয়সায় গ্যাস ব্যবহার করা যুক্তিসঙ্গত নয়। এছাড়া, বাস মালিকরাও স্বল্পমূল্যে গ্যাস নেন, কিন্তু বাস ভাড়া কমান না। এটা মেনে নেয়া যায় না। তাই পর্যায়ক্রমে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত।
ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে আধুনিকায়নের আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওই এলাকায় নতুন আরেকটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, দেশে ও বিদেশে আগরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সরকার আগরকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। কেউ আগর ফ্যাক্টরিকে ইন্ডাষ্ট্রিতে রূপান্তর করতে চাইলে সরকার সহযোগিতা করবে।
দেশের পর্যটন খাতের বিকাশ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার সিলেটসহ সারাদেশের পর্যটনের ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করছে। সার্কভূক্ত দেশগুলোর সাথে চুক্তি করে পর্যটনের উন্নয়নে সরকার কাজ করবে।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে নির্মাণাধীন শাহজালাল সারকারখানা আগামী জুন মাসে উদ্বোধন হবে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সারকারখানাটির ১১টি ইউনিটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আটটি ইউনিটের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। নতুন কারখানাটি উদ্বোধন করা হলে পুরাতন সারকারখানাকে অ্যামোনিয়া কারখানায় রূপান্তর করা হবে। এতে অ্যামোনিয়া আমদানি কমবে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সালাহ উদ্দিন আলী আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ মিসবাহ, ব্যবসায়ী নেতা কলন্দর আলী, আবদুল মান্নান, মুশফিক জায়গীরদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, আলীমুল এহসান চৌধুরী, নোমান মাহমুদ, আবুল মিয়া প্রমুখ।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, এখানে পুঁজির কোনো সঙ্কট নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ, বাজার, কাঁচামাল কোনো কিছুরই অভাব নেই বৃহত্তর সিলেটে। কেবলমাত্র ইচ্ছা ও সরকারের আগ্রহ থাকলেই সিলেট হয়ে উঠতে পারে সমৃদ্ধ উৎপাদনশীল শিল্পনির্ভর একটি জনপদ। সিলেটে কেমিক্যাল, কাচ, সিমেন্টসহ বিশেষ শিল্পকারখানা গড়ার সুযোগ রয়েছে। এই শিল্পাঞ্চল ভারতের সেভেন সিস্টারের বাজার সুবিধা গ্রহণ করে লাভবান হবে। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সিলেটের খাদিমনগর বিসিক শিল্প নগরীকে উন্নত ও বর্ধিতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন