প্রেসক্লাবে গাছে উঠে জালাল উদ্দীন মজুমদারের অভিনব কায়দায় ধর্মঘট পালন। উপর মহলের লোকেরা শুনতে পায় না, তাই গাছে উঠে অভিনব কায়দায় এই প্রতিবাদ
পেট্রোলবোমা,ক্রসফায়ার বন্ধ ও গনতন্ত্রের মুক্তির দাবিতে এবার হাতে-পায়ে শিকল পড়ে গাছে উঠে এক ব্যতিক্রমী কায়দায় অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মজুমদার। সোমবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি গাছের উপর এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তিনি। ২৪ ঘণ্টার এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত। গাছের উপর বসে থেকেই লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। এসময় হ্যান্ডমাইকে তিনি বলেন, 'পেট্রোলবোমার আগুনে পোড়া মানুষের চিৎকারে,হরতাল-অবরোধে ব্যবসায়ীদের চিৎকারে, ক্রসফায়ারে মৃত মানুষদের চিৎকারে এই ৫৬ বছর বয়সেও গাছের উপরে উঠে দাবি জানাতে বাধ্য হলাম। কারণ মাটিতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করলে উপরের লোকেরা শুনতে পায় না। তাই গাছের উপর উঠেই প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হলাম।'
জালাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, '১৯৭১ সালে একজন লোক মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন এবং আমরা সাত কোটি মানুষ তা শুনেছিলাম। এখন স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও ১৬ কোটি মানুষ আত্মচিৎকার করে বলছে, আগুনে পুড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে আর ব্যবসায়ীরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাদের এই আত্নচিৎকার খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনা কেউ শুনছেন না।'তিনি আরও বলেন, 'সংলাপে বসার দাবি জানানোর কারণে পুলিশ বঙ্গবীরের মতো নেতার কাঁথা-বালিশ নিয়ে গেছে। সেই ভয়ে আমি কাঁথা-বালিশ আনিনি সোজা উঠে পড়েছি গাছে। উল্লেখ্য, জালাল উদ্দিন মজুমদার ১৯৫৭ সালে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের নবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। তিনি নিজেকে দার্শনিক হিসেবে পরিচয় দেন। আর পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক ও ঠিকাদার। —
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন