ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০১৫

জননেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ


মোঃশফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাই তখন ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ভাই তখন জোট সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রী। মাঝেমাঝে ইসলামি ছাত্রশিবিরের কর্মপরিষদের কিছু জরুরী বৈঠক হয়, এই বৈঠকগুলো সাংগঠনিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাসুদ ভাই সন্ধারাতে মন্ত্রী মুজাহিদ ভাইয়ের কাছে ফোন করলেন। সালাম-দোয়া বিনিময়ের পর মাসুদ ভাই বললেন, আমাদের একটা জরুরী বৈঠক আছে, এই সময়ের মধ্যে বসার মত তেমন কোন উপযুক্ত জায়গা পাচ্ছিনা, ফজরের নামাযের পর ৪০/৪৫ মিনিট সময়ের জন্য আমরা ৮/১০ জন লোক আপনার বাসায় বসতে চাচ্ছি, যদি আপনার কোন অসুবিধা না হয়। তখন মন্ত্রী মুজাহিদ ভাই বললেন, সমস্যা নাই আপনারা আসতে পারেন। ঠিক ২০/২৫ মিনিট পর মন্ত্রী মুজাহিদ ভাই মাসুদ ভাইকে ফোন করে বললেন, মাসুদ ভাই আপনারা কি আমার বাসা ছাড়া অন্য কোথাও বসতে পারবেন না! ফোনের অপর প্রান্তে মাসুদ ভাইকে চুপ থাকতে দেখে মন্ত্রী মুজাহিদ ভাই আবার বললেন, ভাই আসলে হয়েছে কি, আমি যে আমার বাসায় আপনাদের বসতে দিবো, আপনাদের বসানোর মত কোন সোফাসেট অথবা ভাল চেয়ার আমার বাসায় নাই। তখন মাসুদ ভাই বললেন, সমস্যা নাই, আমরা ফ্লোরেই বসবো। মাসুদ ভাইয়েরা যখন প্রোগ্রাম করতে বাসায় গেলেন তখন মন্ত্রী মুজাহিদের বাসার সাদামাটা ডেকোরেশন দেখে কেউ সেইদিন নিজেদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি।
মন্ত্রীর জন্য সরকারি গাড়ি ও নিরাপত্তা বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকে। একদিন সকালবেলা জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ  মুজাহিদ তাঁর মন্ত্রনালয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে সরকারি গাড়িতে মাত্র বসলেন, নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ তাদের গাড়িতে উঠতে যাবে, ঠিক ঐ সময় মন্ত্রী মুজাহিদ ভাইয়ের ছোট ছেলে উনারগাড়ির দিকে আসতে দেখে গাড়ির গ্লাস অপেন করলেন। বাবার কাছে এসে ছেলে বললেন, আব্বু আমার স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছে, আপনার গাড়িতো আমার স্কুলের সামনের রাস্তা দিয়েই যাবে, আমাকে একটু স্কুলের সামনে নামিয়ে দিবেন? তখন মুজাহিদ ভাই বললেন, বাবা এটা তোমার আব্বু মুজাহিদের গাড়ি না, এটা মন্ত্রী মুজাহিদের গাড়ি। আজ তোমাকে গাড়িতে উঠালে কাল হাশরের ময়দানে রাষ্ট্রীয় গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছি বলে আল্লাহর দরবারে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ছেলের হাতে দশ টাকার একটা নোট দিয়ে বললেন, বাবা এই টাকা দিয়ে তুমি লোকাল বাসে করে চলে যাও। উপস্থিত পুলিশ অফিসার ও অন্যরা মন্ত্রীর এই আচরনে কেউ নিজেদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি।
এই দুইটা ঘটনা ২০০৫ সালের শেষের দিকে এক কর্মী সমাবেশে ইসলামি ছাত্রশিবিরের জেলা পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীলের মুখ থেকে শুনেছিলাম।ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকার ও হাছিনা সরকার দূরবীন দিয়েও বিগত জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও শিল্প মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ১ টাকা পরিমান দুর্নীতি খুজে বের করতে পারেনি। হে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা আমাদের ক্ষমা করে
দিও, আমরা অসহায় জাতী তোমাদের চিনতে পারিনি, পারিনি তোমাদের মর্যাদা দিতে...ইনশাআল্লাহ দেখা হবে জান্নাতে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন