গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়। প্রতিবছর এ সময় নানাবিধ স্বাস্থ্য-সমস্য দেখা দেয় এবং তীব্র তাপপ্রবাহে কিছু মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে প্রাণহানির কোন সংবাদ পাওয় না গেলেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তীব্র তাপদাহে মৃৃতের সংখ্যা দু হাজার ছড়িয়ে গেছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্তি গরমের কারণে স্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। যে কোন সময় যে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তীব্র তাপদাহে যাদের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে হয়-
১. দু বছরের কম বয়সের শিশু।
২. স্কুলগামী শিশু।
৩. হার্টের রোগী।
৪. মৃগী রোগী।
৫. কিডনি রোগী এবং যারা প্রস্রাবের নানাবিধ সমস্যায় ভোগেন।
৬. ডায়াবেটিসের রোগী, বিশেষ করে যারা ইনসুলিন নির্ভর।
২. স্কুলগামী শিশু।
৩. হার্টের রোগী।
৪. মৃগী রোগী।
৫. কিডনি রোগী এবং যারা প্রস্রাবের নানাবিধ সমস্যায় ভোগেন।
৬. ডায়াবেটিসের রোগী, বিশেষ করে যারা ইনসুলিন নির্ভর।
এ অবস্থায় কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সাম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানো যায়।
তাপপ্রবাহ প্রতিরোধে করণীয় :
গরমের সময় মানুষের ঠাসাঠাসি গাদাগাদি অবস্থান পরিহার করুন। হাল্কা ওজনের, হাল্কা রঙ এর ঢিলেঢালা সূতি পোষাক পরিধান করুন। গরমে এলকোহল, কফি, সোডা এবং চা পান থেকে বিরত থাকুন। কারণ এসব শরীরের পানি শূণ্যতা এবং হিট রিলেটেড নানা উপসর্গ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। ভারী ব্যায়াম পরিহার করতে হবে। গরমের দিনে যতটা সম্ভব কাজের সময় পরিবর্তন করে নিন। দিনের প্রথম ভাগে অথবা শেষ ভাগে। দিনের যে সময়ে অতিরিক্ত গরম পড়ে বিশেষ করে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ে রোদে বের হওয়া এবং ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকা ভাল। এমনকি যতট সম্ভব দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম কমিয়ে দিতে হবে, প্রয়োজনে বিরত থাকতে হবে।
তাপসূচক যখন বেশি থাকে তখন যতটা সম্ভব বাইরে বের না হয়ে,পর্যাপ্ত বায়ু প্রবাহ আছে এমন স্থানে অবস্থান করা ভাল। যদি বাইরে যেতেই হয়,তাহলে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা দরকার-
রোদে ছাতা ব্যবহার করা। বের হবার সময় পানির বোতল সাথে রাখা। তাহলে যখনই প্রয়োজন হয়, পানি পান করা যাবে। কাজের সময় ঘন ঘর পানি পান করুন। প্রতি বিশ মিনিট পরপর ৮ আউন্স করে পানি পান করা ভাল। এমনকি পিপাসা না লাগলেও পানি পান করতে হবে। শরীরের পানি শূন্যতা রোধে এটা খুব জরুরি।
পানি শূণ্যতা রোধে বশি পরিমাণে পানি পান করুন। সাধারণত একজন মানুষের দৈনিক অন্ততঃ আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। গরমকালে তা আরো বেশি। সব সময় প্রস্রাবের রঙ এর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। প্রসাবের রঙ স্বাভাবিক না থাকা মানে জটিলতা। এমতাবস্থায় প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
রাতে বাসার/রুমের দু পাশের ঝানালা খোলা রাখতে হবে, যাতে এক পাশের ঝানালা দিয়ে বাতাস ঢুকে অন্য পাশের ঝানালা দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে তাপপ্রদাহ প্রতিরোধে প্রচুর পানি পানের বিকল্প নেই।
আপনার শিশু কি স্কুলে যায়? স্কুলের ব্যাগে পানির বোতল দিতে ভুলবেন না। ঘর থেকে বের হবার আগে তাকে পানি পান করান। বাচ্চাকে স্কুল থেকে যখন আনতে যাবেন,প্রথমেই তাকে জিজ্ঞেস করুন সে পানি পান করেছে কি না। ঘামের কারণে শরীর থেকে লবণ বেরিয়ে যায়। লবনের ঘাটতি জনিতকারণে সচরাচর হিট রিলেটেড উপসর্গসমূহ দেখা দেয়। এ সময় লবণ মিশ্রিত লেবুর সরবত ভাল কাজ করে।
আমাদের দেশে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে,লেবুর রস গ্যাস্ট্রিক বৃদ্ধি করে। না,এটা সত্য নয়। কারো কারো হয়ত এরকম হতে পারে,সবার জন্য নয়। ভারা পেটে পানির সাথে মিশিয়ে লেবুর রস পান করুন,ভাল লাগবে। শরীরের বাড়তি ওজন এবং মেদ কমাতেও লেবু সহায়ক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন