ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাথী শপথের কর্মীদের একটাই লক্ষ্য কুরআনের সমাজ বাস্তবায়ন করা। যে সমাজ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে সুখে শান্তিতে রাখবে। এজন্য নিয়মিত কুরআন হাদীসের চর্চা করা জরুরী। একমাত্র রাসুলুল্লাহ (সা:) এর আদর্শ অনুসরণে একজন আদর্শিক ব্যক্তি গঠন সম্ভব। দেশের এই পাপিষ্ট দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে আখেরাতের ভয় ও দেশপ্রেমকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। তাই আদর্শিক ব্যক্তি গঠনে সকলকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হওয়ার আহবান জানান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শিবিরের উদ্যোগে দারুল হিকমা মিলনায়তনে বোয়ালখালী, চন্দনাইশ ও আনোয়ারা উপজেলার সাথীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সাথী শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শিবিরের সভাপতি জাওয়াদ মাহমুদের সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারী আলী আদনানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় এইচ.আর.ডি সম্পাদক বদিউল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি ও লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর নুরুল হোসাইন, সাবেক জেলা সভাপতিবৃন্দ আ.ক.ম ফরিদুল আলম ও অধ্যাপক শাহাদাত হোসাইন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শিবিরের নেতৃবৃন্দ রকিবুল ইসলাম, হাসিব আল হাসান ও মিছবাহুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, কুরআনের সমাজ বাস্তবায়ন একটি কঠিন কাজ। কিন্তু ছাত্রশিবির সব সমস্যাকে সামনে রেখেই এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। কারণ ছাত্রশিবির সত্য ও ন্যায়ের পথের যাত্রী। আর সত্যর সামনে মিথ্যার পতন হবেই এটা ঐতিহাসিক বাস্তবতা। সুতরাং কোন পরিস্থিতিতে যেমন হতাশ হওয়া যাবেনা তেমনি অধৈর্যও হওয়া যাবেনা। অসীম ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে ছাত্রসমাজের কাছে কুরআনের আহবান পৌছাতে হবে। প্রত্যেক শপথের কর্মীকে একেক জন রাহবারে পরিণত হয়ে জনে জনে দাওয়াতী কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের রক্তচক্ষুকে ভয় না করে মহান আল্লাহর উপর ভরসা রেখেই লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের বিপন্ন গণতন্ত্র উদ্ধারে দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতি আহবান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন