জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিমউদ্দিন বলেছেন, রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মহান মাস পবিত্র রমযান। রহমতের এই ধারা অব্যাহত রাখতে রমযানের শিক্ষাকে ব্যক্তিজীবনে ধারণ করতে হবে। মু’মিনের আত্মগঠন ও ব্যক্তিচরিত্র উন্নয়নে রমযানের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পারলেই রোজার সার্থকতা। সেই সঙ্গে আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ নিয়ে ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করার শিক্ষা নিতে হবে রমযান থেকে।
গতকাল শুক্রবার জামায়াতে ইসলামী যাত্রাবাড়ী (পূর্ব) থানা আয়োজিত এক শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে শিক্ষা বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াত নেতা রুহুল কুদ্দুস, মীজানুল হক, আব্দুল করিম, মিজানূর রহমান মালেক প্রমুখ।
সেলিমউদ্দিন আরো বলেন, ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে অপপ্রচার ও জুলুম-নির্যাতন চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। সকল নিপীড়ন উপেক্ষা করে জাতীয় মুক্তির সংগ্রামকে বিজয়ী করতেই নেতা-কর্মীদের কুরআনের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনে কুরআনের মাসকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, পবিত্র রমযান মাসে আজ ইসলামপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক নেতৃবৃন্দ কারাগারে বন্দী। তাদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যার নারকীয় ষড়যন্ত্র করছে সরকার। নব্বইভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের ওপর এই নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র অত্যন্ত দুঃখজনক। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। তিনি আরো বলেন, এই রমযান মাসে বদরের যুদ্ধে হক ও বাতিলের চিরন্তন দ্বন্দ্বে হকপন্থীদের বিজয়ের যে ইতিহাস রচিত হয়েছিলো তারই ধারাবাহিকতায় বাংলার জমীনে সকল মিথ্যাচার ও অপশক্তি নির্মূলে জনগণ আবারো ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি দেশের জনগণের ইচ্ছা-আকাক্সক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অবিলম্বে সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন