ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫

“যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপরাধী সাজিয়ে বিচার করা আসলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামীর এক বিশাল উপকার করেছে.”- মোঃ জাহিদ হাসান.


সেই ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, জামায়াত একটা রাজাকারের দল যারা ‘৭১ এ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, নারী ধর্ষন করেছে। ক্লাস নাইন থেকে শিবির করার আগ পর্যন্ত আমিও এটাই বিশ্বাস করতাম। আমজনতার মধ্যেও এই বিশ্বাসটি বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সামান্য আবেগ আছে এমন মানুষ জামায়াত-শিবিরে যোগ দিতে এমনকি জামায়াত-শিবিরের পক্ষে কথা বলতেও অস্বস্তি বোধ করতো। কিন্তু, যখন থেকে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে যেনতেন ভাবে একেকজন জামায়াত নেতার ফাঁসির রায় দেয়া হলো, তখনি আমজনতার কাছে
দিনের আলোর মতোই একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেলো যে, আসলেই জামায়াত নেতারা এসব কুকর্মের সাথে জড়িত নয়।কারন, সত্যিই যদি গোলাম
আজম, নিজামী, মুজাহিদ,কাদের মোল্লারা একাত্তরে এসব কুকর্ম করতো তবে, মিথ্যা স্বাক্ষী সাজিয়ে, আসামী পক্ষের স্বাক্ষীকে অপহরন করে,পছন্দসই বিচারক বসিয়ে,বিদেশ থেকে মামলার রায় লিখে নিয়ে এসে, পত্রিকার কাটিং আর আমি ওমুকের কাছ থেকে শুনেছি যে তিনি খুন করেছেন এই টাইপ থার্ড পার্টি স্বাক্ষীদের দিয়ে যেনতেন ভাবে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানোর ব্যবস্থা করতে হতো না। আওয়ামী লীগ নিজেও জানে না, জামায়াত ৪৪ বছরে নিজেদের গায়ের যে ময়লা দুর করতে পারেনি, আওয়ামীলীগ মাত্র কয়েক বছরে সেই ময়লা দু করে সাফ করে দিয়েছে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে যে কেউ যে কোন নিরপেক্ষ মানুষ কে জিজ্ঞেস করুন, ভাই আপনি কি মনে করেন কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধী ছিল,কামারুজ্জামান যুদ্ধাপরাধী ছিল....??? দেখবেন মানুষের কথায় ই প্রকাশ পাবে যে, এই মিথ্যা বিচার ব্যবস্থা আর তাদের প্রহসনের বিচার বিনামূল্যে জামায়াতের পক্ষে প্রচার মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে।কেবল সাধারন মানুষই নয় বিএনপি, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীরাও বুঝতে পেরেছে, জামায়াতকে তারা এতো বছর খামাখাই ভূল বুঝেছে। আর ঢাকা শহরের বিভিন্ন পাবলিক কিংবা প্রাইভেট ভার্সিটিতে আইন বিষয়ে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা যারা কোর্ট-কাচারীর সাথে টুকটাক যোগাযোগ রাখে, ট্রাইব্যুনালের ২/১টি শুনানীতে দর্শক সারিতে হাজির ছিলো, এমন কারো কাছে ট্রাইব্যুনাল নিয়ে প্রশ্ন করলে দেখবেন তারা হেসেই অস্থির, উত্তর দিবে-ভাই, এমন নাট্যশালা জীবনে দেখিনি। কোন রায় হলে, আওয়ামীলীগ পন্থী সকল মিডিয়া একযোগে উলুধ্বনি দিয়ে বলতে শুরু করে, ট্রাইব্যুনাল বলেছে, অমুকে এই কাজ করেছে, তমুকে ঐ কাজ করেছে, অমুক অভিযোগে ফাঁসি হয়েছে, ব্লা ব্লা ব্লা....!!!
কিন্তু তারা এতো বছরে ২/১টা পত্রিকা কাটিং ছাড়া সামান্য একটা প্রমানও তুলেধরতে পারে না টিভি স্ক্রিনে, একজন প্রত্যক্ষদর্শীকেও ক্যামেরার সামনে বলাতে পারে নি যে, অমুক জামায়াত নেতাকে দেখেছি এই অপরাধ করতে। কতো বড় ধোকাবাজি আর দেউলিয়াত্বের প্রমান এটা, জাতি কি বোঝে না.....??? অবশ্যই বোঝে। সুতরাং, ইসলামী আন্দোলনের ভাই ও বোনেরা, আপনার মোটেই হতাশ হবেন না। শহীদ কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানরা শহীদ হয়ে আমাদের ইসলামী আন্দোলনের বন্ধুর পথটিকে অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছেন, হয়তো মুজাহিদ, নিজামী সাহেবরা চলে গিয়ে এদেশে ইসলামী আন্দোলনকে সফলতার চুড়ান্ত রূপ দিয়ে যাবেন। তাই হতাশ না হয়ে প্রস্তুতি নিন, আমাদের বড় ভাইদের এই ত্যাগের ফসল হিসেবে যেন
আমরা ইসলামী আন্দোলনকে এদেশের জমিনে সফল করতে পারি এবং সেই সফলতাকে যেন আমরা মিসরের মতো ব্যর্থ হয়ে যেতে না দিই।
আমরা যেন সকল ক্ষেত্রে একটি দেশ পরিচালনার সেই পরিমান যোগ্যতা অর্জন করতে পারি যাতে, শত্রুরা সহজেই যেন আমাদের এতো বছরের ত্যাগ-তিতিক্ষার অর্জনকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে না পারে। যাঝাকাল্লাহ........
মোঃ জাহিদ হাসান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন