পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। নিমজ্জিত হয়েছে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার তীরবর্তী আড়াই শতাধিক চরগ্রাম ও দ্বীপচর। এতে প্রায় ৩৫ হাজার পরিবারের ১ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় গত ২৪ ঘন্টায় ব্রক্ষপুত্রে ২ সেন্টিমিটার, ও দুধকুমারে ৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। ধরলায় ৬ সেন্টিমিটার পানি কমলেও এখনও বিপদসীমার কাাছাকছি অবস্থান করছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কুড়িগ্রাম সদর,উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুরের ৪০টি ইউনিয়নের চলাঞ্চল ও নদ-নদী তীরবর্তি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার কারণে এসব এলাকার সকল গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে। নৌকা ছাড়া যোগযোগের উপায় নেই এসব এলাকায়। বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেছে। সদর উপজেলার যাত্রাপুরে নৌকাডবিতে মারা গেছে ৯টি গবদী পশু। ৪-৫দিন ধরে পানিবন্দী থাকায় বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অনেকেই ঘরের ভেতর উঁচু মাচায় আশ্রয় নিলেও দেখা দিয়েছে জ্বালানী,মানুষ ও পশু খাদ্যের সংকট।
এখনও শুরু হয়নি ত্রণ তৎপরতা। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু না হলেও তারা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা দিয়েছেন। ত্রাণ পেলে দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে।
ঢাকার নিউজ/জহুরুল হক,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন