চট্টগ্রাম: শনিবার জলাবদ্ধতা নিয়ে এক গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, নগরবাসী সিটি করপোরেশনের কাছে সব প্রত্যাশা করেন। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই বিদ্যমান ক্ষমতা দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের
পক্ষে কি সবকিছু করা সম্ভব ?’ আ জ ম নাছির বলেন, সিটি করপোরেশনের অনেক সীমাবদ্ধতা। সমস্যা যে পর্যায়ে তা করপোরেশনের এখতিয়ার ও ক্ষমতা দিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। করপোরেশনের মাত্র তিনটি কাজ- সড়ক ও নালা সংস্কার, পরিচ্ছন্নতা এবং আলোকায়ন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ গণশুনানির আয়োজন করে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতি ইঙ্গিত করে মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের যন্ত্রপাতি খুব সীমিত। কেউ ভাড়াও দিতে চায়না। এরপরও বর্ষা মৌসুম এসে গেছে, আমি বলে-কয়ে এনেছি।’ ‘তবে যত কঠিনই হোক, আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব।’ বলেন নাছির। যত্রতত্র আর্বজনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে নগরবাসীকে সচেতন করতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান মেয়র। নাছির বলেন, ‘১ জানুয়ারি থেকে আইন প্রয়োগ করব। আইন ভঙ্গকারীর রাজনৈতিক-সামাজিক পরিচয় যাই হোক না কেন। নির্মম-নিষ্ঠুর দায়িত্ব পালন করব।’
অবৈধ বিলবোর্ডের সঙ্গে নিজ দলের প্রভাবশালীরা জড়িত বলে মন্তব্য করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির। গণশুনানিতে অংশ নেয়া বিশিষ্টজনেরা মেয়রের নেতৃত্বে সব সেবা সংস্থার সমন্বয়ে একটি কমিটি করার প্রস্তাব দেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেলার প্রধান নির্বাহী রেজওয়ানা হাসান, স্থপতি সুভাষ বড়ুয়া, বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মু. সিকান্দার খান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি চন্দন দাশ, স্থপতি জেরিনা হোসাইন, উন্নয়ন কর্মী জেসমিন সুলতানা পারু, প্রকৌশলী আবুল কালম, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ১৩,২০১৫
আরডিজি/টিসি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন