প্রস্তাবিত বাজেটকে জনগণের ওপর শোষণ জুলুম চালিয়ে সরকারের আখের গোছানোর বাজেট বলে আখ্যা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এই মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে বাজাটের নানা ক্রটি তুলে ধরে জামায়াত।
বাজেটকে ঋণ নির্ভর আখ্যা দিয়ে জামায়াতের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, 'পাঁচ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান বাদ দিলে বাজেট ঘাটতি ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।'
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতকরা ১০ ভাগ মূল্য সংযোজন করারোপের প্রস্তাবে আত্মঘাতী বলে বলে মন্তব্য করে শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, 'শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল, সেখানে সরকার তা না করে মূল্য সংযোজন করারোপের মাধ্যমে শিক্ষা সংকোচন নীতিই গ্রহণ করেছে। যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো পেছনে ঠেলে দিবে।'
কৃষি খাতকে বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করে জামায়াতের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, 'কৃষি ও কৃষকের ভর্তুকির পরিমাণ এক টাকাও বাড়ানো হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্প ধ্বংস করার প্রবণতা বিদ্যমান। রাজস্ব আদায়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা অর্জন অসম্ভব বলে অর্থনীতিবিদগণ মন্তব্য করেছেন।'
দরিদ্র জনগণের ওপর করের বোঝা চাপানোর অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, '৪১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকার নতুন করসহ ১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৪ কোটি টাকার কর চাপবে জাতির ঘাড়ে। বড় অংশই ব্যয় হবে সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে।'
শফিকুর রহমান বলেন, 'জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের পরিবর্তে দলীয় ও আজ্ঞাবহ প্রশাসন লালনের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করার আয়োজন করেছে। মূলতঃ জনগণের ওপর শোষণ ও জুলুম চালিয়ে নিজেদের আখের গোছানোই প্রস্তাবিত বাজেটের মূল লক্ষ্য।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন