ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, বিশাল সম্পদের সমাহার ও অপার সম্ভাবনা থাকার পরও পরনির্ভরতা জাতিকে দিন দিন পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। তাই জাতিকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিজেদের গঠন করতে হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির কিশোরগঞ্জ জেলা উত্তর শাখার সাথী শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি খালেদ হাসান জুম্মনের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, একটি পরনির্ভরতা আরও পরনির্ভরতার জন্ম দেয়। জাতি বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়না। এই পরনির্ভরতাই বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ। অথচ আমাদের রয়েছে বিশাল মানব সম্পদ, মেধার সম্পদ ও পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ। রয়েছে অপার সম্ভাবনা। কিন্তু এসব সম্পদের পরিকল্পিত সুষ্ঠু ব্যবহার না করার কারণে এর সুফল থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের বিশাল জনসম্পদকে আপদ ভাবা হচ্ছে। হাজারো মেধাবী বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে অবিস্মরণীয় মেধার স্বাক্ষর রাখলেও দেশের জন্য তেমন কাজে আসছে না। দেশের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদের বিশাল অংশ চলে যাচ্ছে বিদেশে। নতজানু নীতির কারণে নিজ দেশের সর্বনাশ করে অন্যদেশেকে অনৈতিক সুবিদা দেয়া হচ্ছে। সবই হচ্ছে পরনির্ভর মানষিকতার কারণে। এভাবে চলতে থাকলে ধীরে ধীরে আমরা সর্ব ক্ষেত্রে নিজস্বতা হারিয়ে ফেলব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। কারণ হতাশার পরিণতি ব্যর্থতা। কেউ পাশে থাকুক বা না থাকুক নিজেরাই নিজেদেরকে সর্বোচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে। একই সাথে প্রতিটি ছাত্রকে বিশেষ করে মেধাবীদের সকল অশুভ বলয় থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তাদেরকে প্রকৃত যোগ্যতা সম্পন্ন করতে কোরআনের আলোকে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা সেই কোরআনের পথের যাত্রী, যেই কোরআন বিশ্বে মুসলীম জাতিকে একটি আত্মনির্ভরশীল সোনালী যুগ উপহার দিয়েছিল। সেই সোনালী যুগের স্বপ্ন বুকে লালন করে দৃঢ়তা নিয়ে নিরলস ভাবে শপথের কর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন