বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আজ ২২ জুন, ২০১৫ সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স ও কূটনীতিকগণের সম্মানে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এ ইফতার পার্টিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরাক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বেইসান জে. আবদুল লতিফ, ওমান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ওমর মুহাম্মদ রামাদান আল-বুসাইরী, পাকিস্তান হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার সামিনা মেহতাব, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. লুসিনডা বেল, ফিলিস্তিন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব দ্য মিশন ইউসেফ এস. ওয়াই রামাদান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ডেপুটি চীফ অব মিশন মি. ফিরিডেরিক মাদুরাউড, আইআরআই-এর রেসিডেন্ট কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. ডিসিধর স্টোজকভ, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন বাহরাম সাঈদ জাদে, এনডিআই-এর কান্ট্রি পরিচাল জনাব সাইফুল করিম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভ্যাটিকান সিটি, ব্রিটিস, জাপান, তুরস্ক, সুইডেন, চীন, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশের কূটনীতিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ ইফতার পার্টিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এড. জসিম উদ্দিন সরকার, জনাব আবদুর রব, এড. মশিউল আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সহকারী সেক্রেটারী জনাব মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য জনাব মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
এ ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদের একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
জনাব মকবুল আহমাদ এ ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, চার্জ দ্যা এফেয়ারস ও কূটনীতিকগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইসলাম ও গণতন্ত্রের কণ্ঠস্বর। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দৃঢ়ভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং জামায়াতে ইসলামীর আছে দীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাস। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বর্তমান সময়ের দাবী, তার রূপকার জামায়াতে ইসলামী। গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের জন্য যে বহুদলীয় জোট গঠন করা হয়েছে জামায়াতে ইসলামী তার শরীক দল। এ জোট বাংলাদেশে গণতন্ত্র, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করেনা। বরং সন্ত্রাসবাদকে পাপের কাজ বলে ঘৃণা করে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জামায়াতের ইসলামীর সংগ্রামের গৌরবজনক ইতিহাস আছে। কিছু অন্যায়কারী লোক ছাড়া কেউই জামায়াতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনতে পারে না। বর্তমানে দেশের জনগণের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। দেশের জনগণ ভয়ভীতি ও উদ্বেগের মধ্যে আছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য আপনাদের দেশগুলো অব্যাহত প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারাগারে বন্দী জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং জেলের বাইরে অবস্থানকারী আমি জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমরা দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, বর্তমান ক্ষমতাসীন অগণতান্ত্রিক সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার তার হিং¯্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আমাদের অত্যন্ত সুপরিচিত দুই জন কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতা শহীদ আবদুল কাদের মোল্লা ও শহীদ মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানকে অসুষ্ঠু ও অত্যন্ত বিতর্কিত বিচার প্রক্রিয়ায় হত্যা করেছে।
এ পবিত্র রমজান মাসে আমি আপনাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে পবিত্র কুরআনের সূরা মায়েদার ২ নং আয়াতটি উল্লেখ করছি,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
মায়েদা-২
“নেকী ও আল্লাহভীতির সমস্ত কাজে সবার সাথে সহযোগিতা করো এবং গুনাহ ও সীমা লঙ্ঘনের কাজে কাউকে সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় করো। তাঁর শাস্তি বড়ই কঠোর। ”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন