ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১০ জুন, ২০১৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ঘোষিত অষ্টম জাতীয় পে-স্কেল পরিবর্তন করে সন্মানজনক পে-স্কেল নির্ধারণ করতে হবে -ছাত্রশিবির

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অষ্টম পে-স্কেল পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলের মাধ্যমে সরকার জেনেশুনে সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদাহানির ব্যবস্থা করেছে। জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকদের প্রতি সরকারের ধারাবাহিক উপেক্ষমূলক আচরণে ছাত্রসমাজ বিক্ষুদ্ধ। অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ছে দ্বিগুণ। কিন্তু অষ্টম জাতীয় পে স্কেলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। দেশে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সরকারি অফিসের একজন পিয়নের চেয়েও কম। যা দিয়ে বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে চলা খুবই কঠিন ও কষ্টকর। শিক্ষকদের বাড়ীভাড়া দেয়া হয় মাত্র ৫০০ টাকা। চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৩০০ টাকা। উৎসব ভাতা কর্মচারীরা পান বেসিকের ৫০ শতাংশ আর শিক্ষকরা পান মাত্র ২৫ শতাংশ। একই দেশে দুই ধরনের নিয়ম। এসব ভাতার নামে তামাশা এক দিকে যেমন অমানবিক, তেমনি সম্মানিত শিক্ষকদের জন্য চরম অবমাননাকর। মানুষ গড়ার কারিগররা আজ রাষ্ট্রে সবচেয়ে অবহেলিত ও বেতন বৈষম্যের শিকার। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষকদের অভাব-অনটনের মধ্যেই থাকতে হবে। ফলে শ্রেণীকক্ষে ঠিকমতো পাঠদান করতে পারবেন না। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার উপর। ফলে ছাত্র-শিক্ষক উভয় পক্ষই ক্ষতির সন্মুক্ষিন হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার মুখে মুখে শিক্ষার মান বৃদ্ধির কথা বললেও শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ হতাশা জনক। শিক্ষকদের অবহেলা করে শিক্ষার মান বৃদ্ধির কথা ধোঁকাবাজী ছাড়া কিছু নয়। উচ্চাবিলাশী বাজেট ঘোষনার পরও শিক্ষকদের প্রতি এই বৈষম্যের পিছনে কোন জাতি বিনাশী অপতৎপরতা বা ষড়যন্ত্র আছে কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শিক্ষক সমাজের প্রতি এই বৈষম্য ও অবমাননা ছাত্রসমাজ সহ্য করবে না। আমরা সম্মানিত শিক্ষক সমাজের ন্যায্য দাবীর সাথে একাত্বতা ঘোষনা করছি। অবিলম্বে শিক্ষকদের দাবী অনুযায়ী অষ্টম পে স্কেল পুনর্নির্ধরণের দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় ন্যায্য দাবী আদায়ে ছাত্র-শিক্ষক এক কাতারে দাঁড়াবে। প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে ছাত্রসমাজ দ্বিধা করবে না।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শিক্ষক সমাজের দাবী অনুযায়ী অষ্টম জাতীয় পে-স্কেল পুনর্নির্ধারণ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন