কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল রোববার দেয়া যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, টানা বর্ষণে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিয়েছে। কক্সবাজারে বন্যার পানি ও পাহাড় ধসে ইতিমধ্যে নারী শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে বোয়ালখালী, পটিয়া, সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। চাঁদপুরে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে স্কুল, ঘরবাড়ীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বান্দরবানে পাহাড়ের ঢালুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এসব এলাকায় ফসলের জমি, পুকুর তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। অসংখ্য মসজিদ ডুবে যাওয়ায় মানুষ নামায আদায় করতে পারছেনা। লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সহায়তার জন্য হাহাকার উঠলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের জন্য সহায়তার তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। ফলে পবিত্র রমযানে ঠিক মত সেহরী ইফতার করতে পারছেনা হাজারো মানুষ। দিন দিন অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ সরকার ও জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, বন্যায় মানুষের প্রাণহানি ও ত্রাণের জন্য হাহাকার উঠলেও সরকারের নিষ্ঠুর নীরবতা চরম দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ। মাহে রমযানে এমন অমানবিক আচরণ মেনে নেয়া যায়না। অবিলম্বে বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। পানিবন্দি ও পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারী মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। একই ভাবে সামর্থবানরাও দায় এড়াতে পারেনা। তাদের উচিৎ যার যার অবস্থান থেকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, কারো উপর দায় চাপিয়ে বসে থাকা ছাত্রশিবিরের কাজ নয়। সুতরাং প্রতিটি নেতাকর্মীকে যার যা আছে তা নিয়েই বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের সহায়তার জন্য ছাত্রজনতাকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি যার যার অবস্থান থেকে সবাই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলে অল্প সময়ে বন্যার্তদের কষ্ট লাঘব করা সম্ভব।
নেৃতবৃন্দ বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে সরকার, সামর্থবান ও নেতাকর্মীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন