ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক এম.মতিউর রহমান বলেন রহমত,বরকত ও মাগফিরাতের পবিত্র এই রমজান মাস মুসলমানদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এ মাসটির আগমন মুমিন-মুসলমানের জীবনে অধিক পরিমাণ সংযম ও ভাল কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে বহু গুণে। পূণ্যময় এই মাসে তাকওয়া এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পাশপাশি এ মাস থেকে নেয়া শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সারা বছর নিজ জীবনে লালন করাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কেননা রোজার মাধ্যমে বান্দা আত্মশুদ্ধি অর্জন করে। আমাদের সমাজে কেউ অতি ধনী আবার কেউ একেবারেই না খেয়ে অনাহারে,অর্ধাহারে তাদের দিন পার করে যাচ্ছে। সমাজের বিত্তবান এসব মানুষ কখনো না খেয়ে থাকা মানুষের দিকে দৃষ্টিপাত করছে না। এর ফলে মানব সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক বৈষম্য চরম আকার ধারন করেছে। একমাত্র ইসলামী অর্থব্যবস্থায় মানুষকে এ ধরণের চরম বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। কেননা ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম রোজা মানুষকে গরিব-দুঃখীর কষ্ট অনুধাবনের শিক্ষা লাভে সহায়তা করে। রোজার মাধ্যমে সহমর্মিতা ও সহনশীলতার শিক্ষা অর্জিত হয়। রমজান মাসে আল্লাহ মুমিন বান্দার রিযিক প্রশস্ত করে দেন। মানব জাতির হেদায়েতের জন্য কুরআন নাযিলের মাস রমযান মানুষকে ধৈর্য ধারনের শিক্ষা দেয়। ধৈর্য্যরে প্রতিফল হিসেবে আল্লাহর নিকট থেকে জান্নাত লাভ করা সম্ভব হবে। এজন্য পবিত্র মাসে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে কোন রকম ভেজাল না মেশানো এবং দ্রব্যমূল্য সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জোর দাবী করেন। সে সাথে সমাজে বিত্তবানদের গরিব-দুঃখীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
নগরীর মহসিন কলেজ শাখা শিবিরের উদ্যোগে কর্মচারীদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (২০.০৬.’১৫) এসব কথা বলেন। মহসিন কলেজ শিবির সভাপতি এম.আর.সোহেল’র সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর সভাপতি নুরুল আমিন,কলেজ শিবির নেতা আর.এইচ.জিসান,এম.এস.মাহমুদ,এ.মর্তুজা,এম.জাহাঙ্গীর,সাজ্জাদুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা রমজান মাসে অধিক পরিমানে কুরআন অধ্যয়ন করার পাশাপাশি আল-কুরআনের সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন