ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১০ জুন, ২০১৫

অধীনতামূলক মিত্রতা: করুণ পরিণতি মনে আছে কি?

অধীনতামূলক মিত্রতা নামক এক জঘন্য রাজনীতি বৃটিশ ভারতে প্রথম চালু করেছিলেন লর্ড ডালহৌসি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে তিনি ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন ১৮৪৮ সাল থেকে ১৮৫৬ সাল অবধি। অতিমাত্রায় কূটনীতির চাল-চালাকি এবং অতি রাজনীতির কারণে তিনি ছিলেন তৎকালীন ভারতে মূর্তিমান আতঙ্ক। একইসাথে তিনি ছিলেন ঘৃণিত ব্যক্তি। তার কারণেই ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ হয়। পরিনতিতে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাজত্ব হারায়। অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি অনুসারে তিনি দেশীয় রাজ্যগুলোকে প্রস্তাব করেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে বহুমুখী চুক্তি এবং প্রটোকল স্বাক্ষর করার জন্য। চুক্তিতে ছিল- ইংরেজ সৈন্যরা অবাধে ঐসব রাজ্য দিয়ে চলাফেরা করতে পারবে। প্রতিটি রাজ্য তাদের নিজ খরচে একদল ইংরেজ সৈন্য পুষবে এবং ইংরেজরা কারো সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে দেশীয় রাজ্যগুলো সৈন্য, অর্থ এবং সমর্থন দিয়ে সাহায্য করবে। বিনিময়ে ইংরেজরা ঐসব রাজ্য আক্রমণ করবে না। দেশীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম হায়দরাবাদের নিজাম এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই অঞ্চলেরই বাসিন্দা। ডালহৌসি ছিলেন বিট্রিশ ভারতে উন্নয়নের অগ্রপথিক। তিনি রোজ ১৮ ঘণ্টা পরিশ্রম করতেন এবং অফিসের টেবিলে বসেই সকাল-দুপুর ও রাতের খাবার খেতেন। তিনি বিধবা বিবাহ চালু করেন। ভারতে প্রথম রেল যোগাযোগ, টেলিগ্রাফ সার্ভিস, গঙ্গা ক্যানেল নির্মাণ, পুল, ব্রিজ, কালভার্টসহ হাজারো স্থাপনা নির্মাণ করেও তিনি ভারতবাসীর ঘৃণাকে একটুও কমাতে পারেননি। তার কার্যকাল শেষ হয় ১৮৫৬ সালে। তিনি যখন ইংল্যান্ডে পৌঁছান তার কিছুদিন পরই শুরু হয় ভারতে সিপাহী বিদ্রোহ। সারা ইংল্যান্ডে তার বিরুদ্ধে শুরু হয় ছি-ছি রব। অন্যদিকে ভারতবাসীদের অভিশাপতো ছিলই। ফলে তিনি রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন। প্রায় একবছর নির্মম মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করে তিনি যেদিন মারা যান, সেদিন তার বিভৎস মৃতদেহের রূপ দেখার মতো একটি সহৃদয় লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি। 
(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন