ছাত্রশিবির ঢাকা অঞ্চলের কলেজ দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, বাতিল আদর্শের অনুসারীরা পেশি ও অস্ত্রের শক্তির প্রভাব খাটিয়ে ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরাও বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দিব না। ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের চারিত্রিক মাধর্যতা দিয়েই ক্যাম্পাসে দাওয়াত ও সংগঠনের প্রসার ঘটাতে হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা অঞ্চলের কলেজ দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রেজাউল করিম। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত।
শিবির সভাপতি বলেন, ক্যাম্পাসগুলো এখন আর শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্র নয়। বরং লজ্জাজনকভাবে বিভিন্ন অপকর্মের লালন ভূমিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের সরাসরি মদদে অবাধে চলছে টেন্ডারবাজী ও চাঁদাবাজী। সরকারের পোষ্য ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের পরস্পর ও প্রতিপক্ষের উপর হামলা হত্যা নিত্য দিনের কাজে পরিণত হয়েছে। অনেক ক্যাম্পাসকে পরিণত করা হয়েছে অবৈধ অস্ত্রের মিনি ক্যান্টনম্যান্টে। এসব ছাত্র নামধারীদের নিয়ন্ত্রণে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। প্রায়ই ক্যাম্পাসে ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট ঘটনার খবর শুনে জাতিকে লজ্জিত হতে হয়। সবই হচ্ছে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে। কিন্তু কেউ এসব প্রতিরোধ না করে উল্টো তাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতাই দিয়ে যাচ্ছে। কারণ রাষ্ট্রীয় শক্তি অনৈতিকভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল রেখে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত। আর ছাত্রনামধারী সন্ত্রাসীরা পেশি ও অস্ত্র শক্তির প্রভাব খাটিয়ে ক্যাম্পাস দখলে রাখতে ব্যস্ত।
তিনি কলেজ দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা এভাবে আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। আবার সন্ত্রাসীদের মতো অস্ত্র ও পেশি শক্তি নির্ভর রাজনীতির দিকেও হাঁটতে পারি না। অথচ আগামী প্রজন্মকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। তাই শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় প্রতিটি ক্যাম্পাসে কুরআনের দাওয়াত ও সংগঠনের প্রসার ঘটাতে হবে। আর এজন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো চারিত্রিক মাধুর্যতা দিয়ে ছাত্রসমাজকে কুরআনের পথে আহবান করা। হাজারো প্রতিকূলতার পরও আমাদের অব্যাহত অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক হলো ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের চারিত্রিক মাধর্যতা। তাই প্রতিটি দায়িত্বশীল ও নেতাকর্মীকে কুরআনের চর্চা এবং নিজের জীবনে তা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে হবে। আর কুরআন চর্চার জন্য পবিত্র মাহে রমযান সর্বোত্তম সময়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন