ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫

খালেদা জিয়া জামায়াতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে


বাংলাদেশে বৃহত্তম বিরোধীদল বিএনপির নেতাদের অনেকে বলেছেন, তাদের দলের সাথে জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে দেশের ভিতরে-বাইরে বিরূপ মনোভাবের প্রেক্ষাপটে দলের ভেতরেও এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে গত সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী দল বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া ভোটের হিসেবনিকেশের কারণে জামায়াতের সাথে এখনও ঐক্য রাখার পক্ষে বলেই বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন।
জামায়াতের সাথে ঐক্য নিয়ে বিএনপিকে বিভিন্ন সময়ই সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। এখন বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ঐক্যের ভবিষ্যত কি?
বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী চার দলীয় জোট গঠন করে ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দল দুটির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
সেই জোটের সরকারে জামায়াতের শীর্ষ দু’জন নেতাকে মন্ত্রী করায় এ নিয়ে সমালোচনা হলেও তখন বিএনপি এসব সমালোচনাকে আমলে নেয়নি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর চার দলীয় জোট বাড়িয়ে ২০-দলীয় জোটে পরিণত করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিল।
এই জোট ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করে লাগাতার অবরোধ হরতাল করেছে এবং এ বছরও প্রথম তিন মাসে তাদের লাগাতার একই কর্মসূচি ছিল। দুই দফার এই লাগাতার আন্দোলনকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয় যানবাহনে পেট্রোল বোমা হামলাসহ সহিংসতা ।
পশ্চিমা অনেক দেশই জামায়াতের সাথে বিএনপির ঐক্য নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে। এখন দেশের ভিতরে সাবেক বিএনপি নেতা অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ দলটির সমমনা অনেকে একই সমালোচনা করছেন।
তবে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ বলেছেন, তাদের দলের মধ্যেও প্রশ্ন উঠছে জামায়াতের সাথে ঐক্য নিয়ে।
বিএনপি নেতাদের অনেকে আবার বলেছেন, দেশের কিছু এলাকায় জামায়াতের শক্ত অবস্থান এবং সারাদেশেই দলটির সংগঠন এবং একটা ভোট ব্যাংক আছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোটের রাজনীতি থেকেই বিএনপি জামায়াতের সাথে ঐক্য ধরে রাখছে।
জামায়াত প্রশ্নে বিএনপিতে দুটি ধারা
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, জামায়াতের সাথে ঐক্যের পক্ষে বিপক্ষে দু’টি ধারা সব সময়ই ছিল। তবে এখন দু’টি ধারাই আবার সক্রিয় হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক তারেক শামসুর রহমান বলছিলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব জামায়াতের সাথে ঐক্য বহাল রাখার পক্ষে বলেই তার ধারণা।
বিএনপি নেতাদেরও অনেকে বলেছেন, জামায়াতের সাথে ঐক্য প্রশ্নে বিএনপি আরও কৌশলী হতে পারে, তাদের মধ্যে এমন আলোচনাও রয়েছে।
বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা এবং খুলনার একজন সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বলেছেন, জামায়াতের সাথে বিএনপির যে ঐক্য, সেই অবস্থান থেকে এখন বিএনপির সরে আসার সুযোগ নেই।
তবে বিএনপি নেতারা এটাও মনে করেন, যখন আন্দোলনে ফল না পেয়ে দলটিতে হতাশা রয়েছে, তখন জামায়াত ইস্যূ তাদের আরও বেকায়দায় ফেলছে।
সে জন্য কয়েকদিন আগে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা বলা হয়, জামায়াতে সাথে তাদের এ সম্পর্ক আদর্শিক কোন জোট নয়। এটা ভোটের জোট।
তথ্য- কাদির কল্লোল বিবিসি বাংলা, ঢাকা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন