জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ নেতাদের সব মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
এসময় দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে জুলুম-নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।
জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার ঘৃণ্য নীলনঁকশা হিসেবেই তারা জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার হরণ করে প্রহসনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অবৈধ আওয়ামী সরকারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, মানবাধিকার লংঘন ও সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর নিকট একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
জামায়াতের এই নেতা আরো বলেন, মুক্তিকামী জনগণ অবশ্যই একদিন এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো কোন দাম্ভিক স্বৈরাচারি সরকারের শেষ রক্ষা হয়নি আওয়ামী লীগেরও হবে না। ইতিহাস তাদের কখনোই ক্ষমা করবে না। আওয়ামী সরকারের প্রতিটি ষড়যন্ত্র, জুলুম-নির্যাতন, হত্যা-গুমের জবাব জনগণের কাছে দিতে হবে।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় ইব্রাহীমপুর কচুক্ষেত এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, মোহাম্মদ সোলাইমান, কাফরুল থানা সেক্রেটারি আব্দুল মতিন খান,
ভাষানটেক থানা সেক্রেটারি আলাউদ্দিন মোল্লা, জামায়াত নেতা আবুল বাশার প্রমুখ। এছাড়া কাফরুল থানা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের নেতৃত্বে আরো ৭টি স্পটে লিফলেট বিতরণ করে কাফরুল থানা জামায়াত।
এদিকে ভাষানটেক বাজার, ১৪ নং মোড়, রজনীগন্ধা মার্কেট ও তামান্না কমপ্লেক্সে লিফলেট বিতরণ করেছে ভাষানটেক থানা জামায়াত। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য ও ভাষানটেক থানা আমীর মোহাম্মদ সোলাইমান, সেক্রেটারি আলাউদ্দিন মোল্লা, থানার কর্মপরিষদ সদস্য ইকবাল হোসেন, আব্দুর রহিম, জামায়াত নেতা লোকমান আহমেদ, শাহ আলম, ছাত্রশিবির ভাষানটেক থানার সভাপতি তোহা মিয়া প্রমুখ।
যাত্রাবাড়ি পূর্ব থানা ১১টি স্পটে লিফলেট বিতরণ করেছে। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি নিজামুল হক, থানার কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান খান, জাফরুল্লাহ মুনশি, উমর ফারুক, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের, রমজান আলী প্রমুখ।
যাত্রাবাড়ি পশ্চিম থানা ২টি স্পটে লিফলেট বিতরণ করেছে। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি তাজউদ্দিন, জামায়াত নেতা আসাদুজ্জামান রাসেল, মনির হোসেন, নওসের আলম, মাঈনুদ্দিন মামুন প্রমুখ।
ডেমরা থানা ১১টি স্পটে লিফলেট বিতরণ করেছে। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, থানার কর্মপরিষদ সদস্য মিজানুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া, জামায়াত নেতা এনামুল হক, মোস্তফা মাহমুদ প্রমুখ।
কদমতলী পূর্ব থানা ৪৩টি স্থানে লিফলেট বিতরণ করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা আমীর আবুল কাশেম, কর্মপরিষদ সমস্য জিয়াউদ্দিন, আতিকুর রহমান, কামাল উদ্দিন আনসারী, মনির হোসেন প্রমুখ।
১১টি স্পটে লিফলেট বিলি করেছে কদমতলী পশ্চিম থানা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি আব্দুর রহিম, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, উমর ফারুক প্রমুখ।
শ্যামপুর থানা ৬টি স্পটে লিফলেট বিতরণ করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানার কর্মপরিষদ সমস্য কামরুল হাসান. মনির হোসেন, নাজির আহমেদ ভূঁইয়া, জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন, আবুল কাশেম, আনোয়ার হোসেন, শামসুদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন